সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইথোনি


ইথোনি

আমি সাধারনত খুব সকালে উঠি বলতে গেলে এক প্রকার মুমিন টাইপের মানুষ আমি নইতো ভোরে উঠতাম না। ভোরের পরিবেশ ভালো লাগার কারনে আমার ঘুম থেকে উঠা। মাঝে মাঝে একটু ধ্যানটেন করি আরকি মন শান্ত রাখার জন্য। যাই হোক একদিন খুব সকালে লম্বা সাদা দাঁড়ি ওলা জোব্বা পড়া তিনটা সুন্দরি পুরুষ লোক আচমকা কোথা থেকে আমার ঘরের বানান্দাই এসে হাজির। প্রথমে তাদের বাংলাদেশের কোন লুচ্চা টাইপের হুজুর মুখ বাদে দেখলে সেই হুজুরের ঈমান দন্ড খাড়ায়ে যাবে। মুমিন না হাওয়ার কারনে আমার অবশ্য তেমনটা হয় নি। হুজুর টাইপের লোক দেখলে আমার আবার সিগারেট ধরাতে মন বলে। আমি একটা সিগারেট ধরিয়ে তাদের দেখতে থাকলাম। অবাক করার বিষয় বাইরে গ্রিল লাগানোর পরেও তারা ভিতরে চলে আসল। আমি উঠে ঘরের দিকে যাব কারন আমার চাপাতির ভয় আছে আর তাদের দেখতেও দাঁড়ি ওলা মোল্লা মনে হচ্ছে। কিন্তু আবাক করার বিষয় হলো আমার শরীলে কোন অঙ্গ আর কাজ করছে না আগের থেকে চোখে আর কানে ভালো শুনছি দেখছি এই দুইটা অঙ্গ বাদে বাকি সব আচল। আমি ভয় পেয়ে গেলাম আমার অসড় শরীল এরপরেও কাঁপছে। হুজুর টাইপের তিনটা লোক এসে আমার সামনে বসল আমাকে বল্ল পড় "ইথোনি শুদ্ধ শান্ত এবং সত্য আমি পড়ালাম। তারা দেখি শুদ্ধ বাংলাই কথা বলছে  প্রথমে তার আমার নাম জানতে চাওয়াই আমি বল্লাম মুহাম্মদ সজিব হোসেন। তারা একসাথে একটু ভয় পেয়ে উঠল। মুখটা কালো কিন্তু আমি বুঝতে পারছি তারা ভয় পেয়েছে। যদিও তাদের থেকে আমি বেসি ভয়তে অবাস করা শরীল নিয়ে তখনও কাঁপছি। তারা প্রথমে বল্ল আপনি তো নাস্তিক আমরা আপানার মনে খরব জানি তারপরেও যেই লোকটা আপনি এত্তো ঘৃনাকরেন তার নাম কেন আপনি আপনার নামের প্রথমে নিলেন। আমি বল্লাম মানতেই হয়।


তারা একটা ঘটনা বলার জন্য মূলোতো আমার কাছে এসেছে। আবাক করার বিষয় তারা তিনজন কিন্তু আমি শুনছি একজন বলছে অথচ তারা তিনজনিই মুখ নাড়িয়ে কথা বলছে ।
এবার তাদের মুখের ঘটনাটা বলি " বুঝলেন সজিব সাহেব দুনিয়াই বহুত ঠকবাজ দেখেছি কিন্তু ১৪০০ বছর আগে এক ঠকবাজ পাইছিলাম। আমরা হলাম ইথোনি আমার আপনাদের গ্রহের থেকে ১৭ কোটি আলোকবর্ষ দূরে থাকি আমারা মাঝে মাঝে প্রানের সন্ধান করি প্রথম এসেলাম ফেরাউনের রাজত্বকালে পাহাড়ের উপর একঝলক মারতেই পাগলা মুছা তো বেঘোরে পড়ে গেলো। জ্ঞান ফেরার পর তো সে চিল্লাই বলে বেড়াতে লাগলো আল্লার দেখা পেয়েছে আমরা তো ইথোনি আল্লা হতে যাব কেন! যাই হোক ওই মিথ্যাচার আর তার ভাওতাবাঁজির কারনে পরের বার আসলাম আরবের একটা এতিম ছেলে মুহাম্মদের কাছে ছোট বেলা থেকে ও খুব সরল আর গরিব ছিল যেহেতু গরিবদের কাছে আপনাদের এই পৃথীবি ধংস করার মতো কোন অস্ত্র নেয় তাই আমরা মূলোতো তাদের কাছে আসি। ছেলেটা যুবক হাওয়ার সাথে সাথে পাহাড়ে গুহাই গিয়ে ধ্যান করতো তোমার মতো শুধু তুমি করছো ঘরের বারান্দাই। যাইহোক সেসময় অনেকে পুজা করতো নানা দেবতাকে তাদের ভিতরে লাত মানাত আর এদের মেয়ে আল্লাও ছিল। সেই গুহাই প্রথমে আমরা যখন গেলাম দেখি ছেলেটা ঝিমাচ্ছে। তারে ডাকলাম ব্যাস আমাদের দেখেই মাথা ঘুরে পড়ে গেলো। কিছুখন পড় তো দৌড়ে পালালো আর এইসব কথা তার বুড়ি বৌয়ের কাছে বল্লো। সে বুড়ি মহিলা এই যুবক ছেলেটার কি না কি করছিল পরে সে একটা ভাউতাবাজি ধর্ম নামক ইসলাম ধর্ম চালু করে ফেল্লো। আমরা মুটমুটি সবিই জানতাম দেখতাম কিছুই বলতাম না। কারন দেখলাম সে যাই করে গোপনে করে এইটা ভালো পরে তার কাছে আবার যাওয়ার ইচ্ছা হলো কিন্তু সেবার আর দিনেদুপুরে যায়নি গিয়াছিলাম রাতে। ওই যে কাবার পাসে একটা বাড়ি ছিল উম্মে হানি নামে একটা মহিলা ছিল সেই রাতে ব্যাটা মুহাম্মদ সেই ঘরে ছিল যেহেতু আমাদের উদ্দেশ্য মুহাম্মদের উঠাই নিয়ে আসবো কারন সে আমাদের নাম নিয়ে লোকের কাছে বলে বেড়াচেছ সে নবী সে নবুওত পেয়েছে তাই তার একটা নতুন শান্তি ব্যাবস্থা করলাম যদিও আমরা কাউরে আঘাত করিনা কিন্তু ভাবলাম তারে যদি আমাদের গ্রহটাকে একবার ঘুরানো যায় তবে সে এসব ভাউতা বাড়ি ছেড়ে দেবে। কথামতো কাজ তো সেই ঘরে গিয়া যখন আমরা ইথোনি ঢুকলাম দেখলাম বেটা লুচ্চা তার তার চাচতো বোনের সাথে কুকর্মে লিপ্ত। জোর করে টেনে হাঁচড়িয়ে তারে আমাদের বাহনে চড়িয়ে নিয়ে গিলাম আমদের গ্রহে সাত দিন রাখছিলাম খাওয়া দাওয়া সহ ঘোরার জন্য বিষেস ব্যাবস্থা করছিলাম আমাদের বসের সাথেও দেখা করিয়েছিলাম। কিন্তু ভাউতাবাজ আবার পৃথীবিতে ফিরে গিয়ে নানা আপকর্ম শুরু করলো।  আমাদের নাম দিল জিব্রাইল আমাদের বসের সাথেও তার দেখা করিয়েছি সেকিনা  আমাদের বসের নাম দিল ওই মূর্তিটার মতো আল্লা। দুনিয়াই গিয়ে শুরু করলো ডাকাতি যুদ্ধ আর ধর্মের নামে ছড়াতে থকলো হিংসা। হত্যা করতে লাগলো নিরিহ সাধারন মানুষদের। দাসী বানালো তারে স্ত্রীদের। সেই যুগের শ্রেষ্ট বর্বর হয়ে গেলো ছাগল চরানো পাগলা অবুজ মনভোলা ছেলেটা। আগে জানলে ওরে তুলতামনা ওর সাথে দেখা করতাম না আমরা মানুষের মনের খবর জানি কিন্তু একটু পরে সে কি করবে সেটা তো জানি না। মুহাম্মদের তোলা ছিল আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল আর সেই ভুলের মাসুল আজ ১৪০০ বছর ধরে আমাদের দিতে হচ্ছে। আমি বল্লাম কি ধরনের মাসুল ইথোনি বল্লো আমাদের ওই ভুলের জন্য আমাদের গ্রহ ত্যাগ করতে হয়েছে। তখনও আমার হাতে আধ খাওয়া সিগারেট কিন্তু আজব ব্যাপার সেই সিগারেট তখন জ্বলছে কিন্তু শেষ হয়নি তারা বল্লো আমরা আপানাদের কোন ক্ষতি করি না তাই আপনার সিগারেটা পুড়াতে দিই নি আমাদের ঘটনা শুনতে গিয়ে আপনার কোন ক্ষতি হোক সেটা আমরা চাইনা।


মাথার ভিতর ঝিম ঝিম করছে তারপরেও বলে উঠলাম আমি আপনাদের কি করতে পারি। তারা বল্লো আপনিই পারেন আমাদের সাহয্য করতে। বস আমাদের ভুল ধরেছে যে আমি মুহাম্মদের কাছে গিয়ে আমাদের কাজ ঠিক মতো করিনি তাই সে নতুন ধর্ম তৈরি করে দুনিয়াই হিংসার সৃষ্টি করে গেছে দলে দলে ভাগ করে গেছে মানুষদের মানুষ হয়ে আরেক মানুষের হত্যার কথা বলেগেছে আপনি দেখি ফেসবুকে ব্লগে এসব নিয়ে লেখেন প্রতিকারের উপায় বলেন। আমাদের বস আমাদের শান্তি হিসেবে সে ধরনের লোক খুজতে বলেছে যার দ্বার নির্মূল হবে এই বর্বরতার ধর্ম আপনি সে দলের লোক আপনি লিখে যান ধর্মকে ধংস করুন নয়তো আমরা আমদের গ্রহে ফিরে যেতে পারবোনা।


মনে মনে ভাবছি কিনা একটা ভেজাল তৈরি করে গেছে পাগলা মুহাম্মদ যার কারনে দুনিয়ার মানুষ তো জ্বলছেই ব্যাচারা তিনটা এলিয়েনকে জ্বালিয়ে রেখেছে। সামনে খেয়াল করে দেখি লিলিথ গায়েব। যাক আজকাল অনুপ্রেরণা দিতে সাহায্য চাইতে এলিযেনরাও আসছে ভালো। মনের ভিতর সখ জাগলো নতুন একটা ধর্ম তৈরি করি পরে ভাবলাম না থাক মুহাম্মদের মতো তাহলে আমারও হাজার বছর ঘৃনার পত্র হয়ে থাকতে হবে লোকের কাছে বর্বর ডাকাত লুচ্চা উপাধি পেতে হবে দরকার নাই তারপরেও আমার জন্য কোন এলিয়েরও ঘর ছাড়া গ্রহ ছাড়া হতে হবে। তার চেয়ে ভালো আমি যে লাইনে আছি সেই লাইনেই থাকি।

লিখেছেন : সজিব হোসেন


↑PREVIOUS-ইসলামে প্রচলিত বিয়ে ও বর্বরতা

NEXT-কয়েকটি কবিতা

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...