সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইসলামে বর্বরতা ও অনুভূতি


অনেকেই বলে আপনি আমার  ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত দিচ্ছেন কেন কই আমি তো আপনার নাস্তিকতাই আঘাত করছিনা।  কিভাবে ভাই?  আপনি আমাকে আঘাত করছেন না?


আপনি তো মডারেটর মুসলিম শুনে মুসলিম আপনি কখনো কুরাআন পড়েনি। যেভাবে আপনাদের কুরাআন হিংসা বিদ্বেস ছড়াচ্ছে যেভাবে কাফেরেগের সাথে যুদ্ধ হত্যা করতে বলেছে কাফেররা নিশ্চন না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত যে ভাবে যুদ্ধ হত্যা চালিয়ে যেতে বলেছে এটাকে তো বিশ্বাসে বা যুক্তিতে আঘাত বলা যাবেনা  বরং সহানুভূতি। শেসমেস আপনাদের কথাই ঠিক দাড়ালো। তাই বলে আমরা আপনাকে বা আপনাদের হত্যা করতে যাব না আপনাদের সাথে যুদ্ধ করব না কিংবা গর্দানে চাপাতির আঘাত করবো যতক্ষন পর্যন্ত আপনি বা আপনারা না শেষ হয়ে যান। বিচার করুন তো মাননীয় মাডারেট ধার্মীকগন কারা সভ্য।


আপনারা ধর্ম যুদ্ধের নামে বির্ধমীদের উপর অত্যাচার করেন নারীদের অধিকার হরন করেন শিশু বিবাহ আইন প্রতিষ্ঠা করেন। আর আমরা যদি বলি নবি মুহাম্মদ ১৩টা বিবাহ করেছে ৬ বছরের আয়াশাকে বিবাহ করে ৯ বছর বয়সে তার সাথে সেক্স করেছে। দিন শেষে সূর্য আল্লার আরসের নিচে ঘুমাতে যায় । মুহাম্মদ বুরাকে চড়ে মহাকাশে গিয়েছে এসব মিথ্যা ভন্ডামি অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা তখনি আপনাদের ধর্মানুভূতিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। হিন্দুদের পুজা নিয়ে মার্কিনিগের চাঁদে যাওয়ার নিয়ে আপনারা সমালোচনা করলে ইসলাম রির্চাস আর আল্লা খুঁটি ছাড়া আকাশের ছাদ ধরে রেখেছে বল্লে গড্ডলিকা উল্টে যায় তাই না। সাহিত্য, অর্থনীতি, রবিন্দ্রনাথ নিয়ে সমালোচনা করা যাবে শুধু ধর্মের বেলাই আপত্তি নাহ্।


যারা বলে ধর্মে আঘাত দেওয়ার পক্ষে আমি নয় তারা ধর্মকে লালন করে রেখেছে নিজেদের ভিতরে। তারা কাফির মুরদাতদের গর্দানে আঘাত করা কুরআনের নির্দেশ পক্ষে। যেখানে পাও সেখানে হত্যা করার পক্ষে তারা।


ধর্ম পুরাটাই মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। ধার্মীকদের বর্বর কাজ হচ্ছে যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধ বন্দিদের এবং দাসীদের সাথে সহবাস করা। ধার্মীকগন চাই না সাধারন মানুষের চোখ খুলুক তাইতো ধর্মে বলে দিয়েছে বিনা প্রশ্নে সব মেনে নিতে হবে। ধর্মীওয়ারা চাই বাকি সবাই কুসংস্কার লালন করুক চোখ বুজে থাকুক সবাই। আসল কথা হলো কুসংসর্গী না থাকলে আর নিজেদের গলা নিজেরাই টিপা এদের কাছে একই ব্যাপার।
কেন আমি আপনার ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করব না জেন আমি ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করবোনা। আপনাদের কুরআনের প্রতিটা আয়াতে বির্ধমীদের হত্যা তাদের প্রতি ঘৃনা জিহাদ, দাসত্ব, সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। নারী নির্যাতন নারীরা শস্যক্ষেত্র নারীরা শয়তানের ফাঁদ ইত্যাদি বলে বিদ্বেস ছড়াচ্ছে আর আমি এসবের সমালোচনা করলে আমি উগ্র নাস্তিক মুরদাত আমাকে হত্যা করতে হবে।


ইতিহাস শাক্ষি দেয় ধর্ম বিদ্বেস করে ইসলাম কত বর্বর কতটা নিষ্ঠুর, কি পরিমান ঘৃনা ছড়াই কতটা অবৈজ্ঞানিক। ধর্মকে নিশ্চিন করতে হলে এর সমালোচনা ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করা ছাড়া আর দ্বিতীয় কোন পথ নেই। এর জন্য উগ্র নাস্তিক বা ধর্ম বিদ্বেসী ট্যাগ পেলেও একদিক থেকে বরং আমরা সফল।
লিখেছেনঃসজীব হোসেন 

↑PREVIOUS-ফেসবুকে বকরবকর 

Next-ধর্ম বিষয়ে আমার প্রশ্নগুলো দ্বিতীয়পর্ব

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...