সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নাস্তিক বিদ্বেষী

আমাদের সমাজে ভালো মন্দ ভালোবাসা হিংসা তৈরি করে রেখেছে ধর্মিও সমাজ। সমাজ যতটা না চলে তার নিজের গতিতে তার চেয়ে বেসি চলে ধর্মের গতিতে। যাই হোক এই ধর্মিও মুখোস পড়া নামধারি কিছু নাস্তিক মুক্তমনা এক ধরনের কুরটনা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। এই বিষয়ে আমি মুফতি মাসুদ ভাইকে ইনবক্স করেছিলাম। হুজুর সুন্দর একটা উত্তর দিল যে গু ঘাটলে গন্ধ বাড়ে আমি বুঝে গেলাম। এই মাসুদ ভাই মুক্তমনার জগতে আসাতে মুক্তচিন্তক নাস্তিকরা অনেক অংশে  ভিত্তিমূল শক্ত করতে পেরেছে। আমরা যারা মোডারেট মুসলিম পরিবারের সন্তান হয়ে পড়ে জেনে বুঝে নাস্তিকতাবাদ চর্চা করছি সেক্ষেত্র এই লোকটি আমাদের থেকে অধিক অংশে সফল।
< br />
উম্মে হানি রোজ নামে একটা বিচি ওলা পুরুষ সম্প্রতি মাসুদ ভায়ে পিছনে লেগেছে। কিছুদিন ধরে একটা বিষয় আরো খেয়াল করছি পিনাকীরা আসিফ ভাই আর নাদিয়া নামের একটা মেয়ের ভিতর ঝামেলা মানে ইন্চি মাপার হিসাব নিকাষ বাধাই দিছে। এই পিনাকী আর উম্মে হানি বিচি ওলা পুরুষেরা একিই মুসলিম বির্জের জন্ম ছাপো। আসাদ নুর আর আসিফ ভায়ে ভিতর ঝামেলা এই পিনাকী উম্মে হানিরাই প্রগান্ডা করে বাধিয়ে দিয়েছিল। সহজে আনুমান করতে পারবেন আসিফ মহিউদ্দিন একজন জনপ্রিয় লোক লোকটা যে এখনো বেঁচে আছে এটা আমাদের নাস্তিকদের জন্য সৌভাগ্য। তার কাছে থেকে যে তথ্য যে অনুপ্রেরনা আমরা পাচ্ছি তা একদিন ধর্ম মুক্ত দুনিয়া গড়তে অনুপ্রেরনা যোগাবে। আসাদ নুর উঠতি ইউটিউবার আসিফ ভাই আর আসাদ ভায়ের কোয়ালিফিকেসন আলাদা। এই পথের পথিক হয়েও তারা তাদের পথে হাঁটার ষ্টাইল আলাদা। যা পথ চলতে অনুপ্রেরনা যোগাই আমাদের। পিনাকী উম্মে হানিরা জানে যে এরা এক সাথে মিল্লে ধর্মের গড্ডলিকা চালানো যাবেনা না। মৌলবাদীরা আর তাদের তথ্য পাচারের জন্য অর্থ দিবেনা। তাই তারা লোক যাদের চিনে যাতে সেইসব নাস্তিকদের টার্গেট করে তারে ভিতর একটা ঝামেলা পাকিয়ে দেয় যাতে নাস্তিকদের নিয়ে হাসাহাসি হয় তাদের তথ্যসহজে পাওয়া। তাদের হত্যা করা যায়। এদের পুরা চিন্তা ধারাই মুহাম্মদের মতো।


সম্প্রতি একটে পোষ্টা চোখে পড়ল যেটা কিনা মুফতি মাসুদ ভাইরে নিয়ে আমাদের হানি বেবি পোষ্ট করেছে। হানি বিবির আবার জলছে তাই তাই সে রটাচ্ছে মাসুদ ভাই নাকি পরকিয়া করে বেড়ায়ে সে নাকি ভন্ড মুক্তমনা আরো কত কি পোষ্টের লিংক প্রথম কমেন্টে আরো একজন বলেছে মাসুদ ভাই নাকি ইউরোপে যাওয়ার জন্য মাসুদ ভাই একবার খ্রিষ্টান এবং পরের বার নাস্তিক হয়েছে  পোষ্টের লিংক ২য় কমেন্টে। এরা চাই শুধু ধর্মের মৌলবাদীদের সাথে মুসলিম তথা তাদের নিজেদের ভিত মজবুত করতে। তাই এসব কুরটনা। আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু যখন জানতে পারলো যে আমি নাস্তিক । তখন সসর্বপ্রথম আমারে প্রথমে বুঝালো যারা সাধারনত নাস্তিক হয় তারা এসাইলামের লোভে হয়। সে এও উদাহরন দিল যে অভিজিৎ রায় তাইতো আমেরিকাই থাকে।


মুমিন মুসলিমদের এর বেসি চিন্তা করার ক্ষমতা নেই। কুরাআন ইসলাম তাদের আটকে রেখেছে। যারা ইসলামের পথে হাঁটে তারা এক দিক থেকে গভেট হলেও অন্য দিক থেকে চালু হয়। এরা কৌশলে নাস্তিকদের ভিতরে বিষ ঢুকিয়ে দিতে পরে। এক নাস্তিকের সাথে আরেক নাস্তিকের ঝামেলা বাঁধায়ে এরা লাভবান হয়। মুফতি মাসুদ ভায়ের লাইভে লোপা আপু সরাসরিভাবে বলেছে যে তারা মাসুদ ভাইকে অর্থ দিতে চেয়েছিল দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরেও মাসুদ ভাই সেই অর্থ গ্রহন করেনি। কিন্ত উম্মে হানি বিচি ওলা সহ আরেকজন বলছে যে মাসুদ ভাই টাকা খেয়েছে। সবজাগাতে এনাদের এই মিথ্যাপ্রচার করা। বানিয়ে বানিয়ে না কে হ্যাঁ বানোনো এগুলো সব ইসলামী ষ্টাইল।

এরা ইসলামিষ্ট এরা পিনাকীদের অনুসারী। এরা মুহাম্মদের আদর্শ লালন করে। এরা চাই না সকল নাস্তিক এক হোক। কারন সকল নাস্তিক এক হলে একটা আলোড়ন তৈরি হবে যেটা ইসলামে দুমড়ে
মুচড়ে দিবে। ধংস করে দিবে মুমিনদের গড্ডলিকা।

প্রথম প্রকাশ ফেসবুকে লিখেছেন-সজীব হোসেন

↑PREVIOUS-মূর্তি ভাঙ্গার সুন্নত সমুহ

NEXT-সময়ের কাহিনি বা টাইম বৃত্তান্ত-একটি বাজে রম্য

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মুক্তচিন্তার সাথে হোক আপনার পথ চলা।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...