সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

কোনো প্রতিবাদ করতে চাই না

"কোনো প্রতিবাদ করতে চাই না"  লিখেছেন শহীদুজ্জামান সরকার । আজও তোমায় ভুলতে পারিনি। কেন জানো? কারণ, আমি তোমায় রেখেছি আমার হৃদয়ের সূচনায়। দুই অক্ষরের ‘আমি’ ‘তুমি’ চার অক্ষরের ‘ভালোবাসায়’ আবদ্ধ ছিলাম। কিন্তু কত দিন থাকতে পারলাম এই চার অক্ষরে বন্দী? তুমি তো ছিলে আমার জীবনের একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে। আমার ভালোবাসা ছিল অফুরন্ত। ছিল অসংজ্ঞায়িত। অথচ তুমি আমাকে বুঝলে না। রাখতে পারলে না তোমার ত্রিভুজময় জীবনের এক কোণেও। পারলে শুধু চার অক্ষরের ‘সমাপনী’তে রাখতে। চাইলে অন্য কোথাও জায়গা দিতে পারতে আমাকে। তবুও এর কোনো প্রতিবাদ করতে চাই না। তুমি আমাকে যেভাবেই দেখো আর যত অক্ষরেই রাখো না কেন, আমি তোমাকে তিন অক্ষরের ‘সূচনা’তেই রাখব। কারণ, আমি তোমায় ভালোবাসি।

সমাজ এবং একজন নারী

লিখেছেন শহীদুজ্জামান সরকার। এখানে নারী অন্তসত্তা হয় জোরপূর্বক সঙ্গমে জরায়ুতে স্থান করে নেয় পর পুরুষের বীর্য, ডিম্বানু নিষিক্ত হয় পুরুষ নামধারী কাপুরুষের শুক্রাণুতে, কিশোরী মাতার কোল জুড়ে আসে ‘’লাওয়ারিশ’। এখানে সন্তানের সামনে বিবস্ত্র করা হয় মা’কে ! মেয়ের নিশ্চিত পরিনতি জেনেই মায়ের মুখে ফুটে উঠে করুন মিনতি- “বাবারা আমার মেয়েটা ছোট, একজন একজন করে যাও”! লক্ষ-কোটি আর্তনাদ,এক সমুদ্র চোখের পানি, কিংবা ইশ্বরের কাছে ফরিয়াদ কিছুই কর্ণগত হয়না কারো। পরে থাকে রক্তাত যোনী আর ক্ষতবিক্ষত স্তনের অসার দেহ আবারো ধর্ষণ, আরো একজন ধর্ষিতা ! সেদিনও সম্ভ্রম বিলিয়ে দিয়েছিলো তারা স্বাধীনতা আর মাতৃভূমির দাবিতে। সম্ভ্রম আজও বিলিয়ে দেয়, শুধুমাত্র নারীত্বের অজুহাতে । মানুষ বলে কেউ এখানে নেই পুরুষ মানেই ধর্ষক আর নারী অবধারিত ভাবে ধর্ষিতা ! একটা প্রজ্ঞাপন জারি করা হোক এই রাষ্ট্রকে মৃত ঘোষণা করে।

নারী এবং নারীর সমস্যা

ইসলাম এবং ধর্ম ত্যাগ

    লিখেছেন কবির খান। ধরা যাক, আপনার পারিবারিক সূত্রে পাওয়া ধর্মটির নাম ইসলাম নয়, আপনার পারিবারিক সূত্রে পাওয়া ধর্মের নাম হচ্ছে 'পিসলাম'। আপনি যেই রাষ্ট্রে বাস করেন সেই রাষ্ট্রে ধর্মনিরপেক্ষতার কোনো অস্তিত্ব নেই, সেই রাষ্ট্র চলে 'পিসলাম' ধর্মের পিসলামি আইনে। আপনাদের রাষ্ট্রে ভিন্ন ধর্মের মানুষ তেমন বাস করেনা বললেই চলে, যারাও বাস করে তাদেরকে আপনাদের হাত থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য বিশেষ অবমাননাকর কর দিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। ছোটবেলা থেকেই আপনি আপনার ধর্মকে খুব ভালবাসতেন। ছোটবেলায় আপনার আব্বু আপনাকে নিয়ে উপাসনালয়ে যেতেন, আপনার আব্বু খুব ভক্তি সহকারে ইবাদত করতেন আর আপনি আপনার ছোট ছোট চোখ দিয়ে আপনার আব্বুকে অনুসরণ করতেন। যতো বড় হলেন ততো ধার্মিক হয়ে উঠলেন, ধর্মের প্রতি ভালবাসা ততো বাড়তে লাগলো। একটা বয়সে এসে হাতে মোবাইল ফোন পেলেন, ইন্টারনেট পেলেন, ইন্টারনেটে কিছু ধর্ম বিষয়ক ওয়েবসাইট পেলেন। একটি ওয়েবসাইটে দেখলেন সেখানে ইসলাম নামক একটি ধর্মের প্রচারণা করা হয় এবং অন্যান্য ধর্মের সমালোচনা করা হয়, অন্যান্য ধর্মের ভুল ত্রুটি নিয়ে লেখা হয়। সেই ওয়েবসাইটটিতে আপনি আপনার 'পি...

বাঙালি নারী

বাঙালি নারীর আদি-অন্ত কেউ নারী হয়ে জন্ম নেয় না, বরং হয়ে ওঠে নারী’- নারী সম্পর্কিত বহুল আলোচিত, গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় এ মন্তব্যটি করেছিলেন খ্যাতনামা ফরাসি ঔপন্যাসিক, দার্শনিক ও প্রাবন্ধিক সিমোন দ্য বোভোয়ার। ‘কেউ নারী হয়ে জন্ম নেয় না, বরং হয়ে ওঠে নারী’- নারী সম্পর্কিত বহুল আলোচিত, গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় এ মন্তব্যটি করেছিলেন খ্যাতনামা ফরাসি ঔপন্যাসিক, দার্শনিক ও প্রাবন্ধিক সিমোন দ্য বোভোয়ার। যা বিধৃত রয়েছে তাঁর লেখা নারীবাদের বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থ ‘ল্য দ্যজিয়েম সেক্স’ ইংরেজিতে ‘দি সেকেন্ড সেক্স’ বাংলায় ‘দ্বিতীয় লিঙ্গ’–এ। তাঁর ঐ মন্তব্যের মূল অর্থ হল আমাদের পশ্চাদগামী পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অর্থাৎ পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থাই নারীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে সম্মান না দিয়ে  অবলা, অর্ধাঙ্গিনী রূপে গড়ে তুলছে। বাংলা সমার্থ শব্দকোষ অনুযায়ী ‘নারী’ শব্দের সমার্থক শব্দগুলো এমন- স্ত্রী, মেয়ে, মেয়েলোক, মহিলা, রমণী, ললনা, অবলা, মানবী, অর্ধাঙ্গী, অঙ্গনা, নিতম্বিনী ইত্যাদি। আর পুরুষ শব্দের সমার্থ শব্দ- পুরুষ মানুষ, ছেলে, ছেলেমানুষ, মরদ, মানুষ, মানব, মনুষ্য, নর, আদম ইত্যাদি। লক্ষণীয় বিষয় এ...

বিশ্ব হিজাব দিবস

লিখেছেন - সুষুপ্ত পাঠক                                             প্রতিকী ছবি  ইসলামে রাষ্ট্র ধারণা তিন প্রকারের। দারুল হার্ব, দারুল ইসলাম ও দারুল আমান। দারুল হার্ব হচ্ছে কাফেরদের দেশকে বুঝায়। দারুল ইসলাম হচ্ছে যেখানে মুসলমানরা শাসন ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় এবং কুরআনের শাসন কায়েম করে ফেলে। দারুল আমান হচ্ছে যেখানে মুসলমানরা সংখ্যালঘু হলেও সমান ধর্মীয় অধিকার ভোগ করে, অমুসলিম রাজা বাদশাহ হলেও যেখানে মুসলমানরা তাদের ধর্ম প্রচার করতে পারে এবং সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারে। হযরত মুহাম্মদ দারুল হার্ব থেকে মুসলমানদের হিযরত করতে বলেছিলো। এ কারণে ইসলাম মতে কাফেরদের দেশে মুসলমানরা বাসবাস করতে যাবে না। সেক্ষেত্রে দারুল ইসলাম না হলেও দারুল আমানকে তাদের বেছে নিতে হবে। ইংরেজ শাসিত ভারতকে মুসলিম নেতাদের বেশির ভাগ ‘দারুল আমান’ মনে করত। অল্প সংখ্যক ভারতকে দারুল হার্ব মনে করত। এরা ঈদের নামাজ তাই প্রত্যাখান করেছিলো। দারুল হার্বে ঈদের নামাজ পড়া হারাম। হযরত মুহাম্ম...

জানেন কি ভালোবাসা দিবস কিভাবে এলো?

গল্পটা 'সেন্ট ভ্যালেন্টাইন'নামে এক রোমের এক যাজকের।তৃতীয় শতকে রাজা দ্বিতীয় ক্লডিয়াস সামরিক কারণে বিয়েকে নিষিদ্ধ করেন।তবে এর পরেও ভ্যালেন্টাইন গোপনে প্রেমিক প্রেমিকাদের বিয়ে দেওয়া চালু রাখেন।এমন অপরাধে তাকে আটক করা হয়। কারাগারে ভ্যালেন্টাইন ভালোবাসেন কারারক্ষীর অন্ধ মেয়েকে।অবশ্য তাদের ভালোবাসা সফল হয় না।মারা যান ভ্যালেন্টাইন।অনেকে ভাবেন,সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নাম অনুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারি "সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে; হিসাবে ঘোষণা করেন। এই ইতিহাস নিয়ে অবশ্য অনেকের বিতর্ক রয়েছে।তবে ভালোবাসা দিবস নিয়ে কারো কোন দ্বিধা নেই। সবার তোড়জোড় দেখলেই বুঝা যায়। কিন্তু এই যে দিবস সেই দিবস আসলেই কি খুব গুরুত্বপূর্ণ দিবস? ভালোবাসার জন্য কি শুধু এই একটি দিনই রয়েছে? ভালোবাসার জন্য প্রতিটি দিন প্রতিটা সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস বলে যে সেই দিনই ভালোবাসতে হবে এরকম তো নয়। ভালোবাসার জন্য প্রত্যেকটা দিনই আছে।