সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অনুভুতির ভক্ষক

অনুভুতি মানে অনুভব করা। ইংরেজি ভাষার (feel) যে ক্রিয়াটির মাধ্যামে ভাষার অভিজ্ঞতা বা উপলদ্ধি মাধ্যামে শারীরিক সংবেদনক বর্ননা করার জন্য এই শব্দটি ব্যাবহার করা হয়। সংবেদনশীল বর্ননা যেমন উষ্ণতার অনুভুতি, ভালোবাসার অনুভুতি জন্য এই শব্দগুলা ব্যবহৃত হয়। মনোবিজ্ঞান বলে " সাধারন আবেগ বা সচতেনতার অভিজ্ঞার জন্য এই ভাষা বা এমন সংবেদনশীলতা ব্যবহৃত হয় তাছাড়া এটা ফেনোমেনোলজি এবং হিটারোফেনমোনোলজি দর্শনিক পন্থা যা জ্ঞান অনুধাবনের ভিত্তি সরবারহ করে।" তাছাড়া দ্বীধা দ্বারা পরিচালিত যে অনুভুতি তা সর্বদা সত্য বলে প্রমানিত হয় না। এগুলা মূলোতো চাপিয়ে দেওয়া হয় যা মানুষের ভিতরে স্বল্প বা দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করে। মানুষ হিসেবে একজনের অনুভুতি থাকেই পারে যেমন নুতন জায়গাবদল এর অনুভুতি নতুন জিনিস দেখার অনুভুতি, ভালোবাসি বলার অনুভুতি, দয়া প্রদর্শনের অনুভুতি প্রিয় কেউ ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুভুতি ইত্যাদি। এগুলা একজন স্বাভাবিক মানুষের থাকতেই পারে। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে দেখা যায় মসুলমানদের এক ধরনের অনুভুতির বর্হিরপ্রকাশ যেটাকে সুশীল সমাজ নাম দিয়েছে ধর্মীও অনুভুতি। বাঙালি মসুলমানদের অনুভুতি ঠিক কখন কো...

অজু কি আপনাকে পরিষ্কার রাখতে পারে?

একজন মুসলমান অজু করতেছেন।।  "ওজু"র শাব্দিক অর্থ হচ্ছে পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা। আর ইসলামি শরীয়তের পরিভাষায় পরিষ্কার পানি দিয়ে এক বিশেষ পদ্ধতিতে মুখমন্ডল, হাত ও পা ধোয়া এবং মাথা মোছাকে ওজু বলে। কোরানের সুরা মায়েদার ৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে - “হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হবে, তখন তোমরা তোমাদের মুখ মন্ডল ও দুই হাত কনুই সহ ধৌত করবে, এবং তোমাদের মাথা মাসেহ করবে, আর দুই পা গোড়ালীসহ ধৌত করবে।” কোরান নির্দেশিত ওজুর ফরয (কোরানমতে বাধ্যবাধকতা) চারটি। (১) মুখ মন্ডল ধোয়া। (২) দুই হাত কনুই সহ ধোয়া। (৩) মাথার চার ভাগের এক ভাগ মোছা এবং (৪) দুই পা গোড়ালীসহ ধোয়া। এছাড়াও অনেকে মিসওয়াক করে, কব্জি পর্যন্ত হাত ধোয়, গড়গড়া করে, নাকে পানি দেয়, ইত্যাদি করে, এগুলো সুন্নত (নবীর ব্যাক্তিগত পছন্দ বা অভ্যাস)। তাই পরিপূর্ণ ওজু করতে গিয়ে সময় এবং পানির অভাব না থাকলে, এগুলোও মুসলিমরা বাধ্যতামূলকভাবে পালন করে এবং প্রত্যেকটা কাজ তিনবার করে করে। এভাবেই কোরানে যেটুকু বলা হয়েছে, তার সাথে যুক্ত হয় নবীর অভ্যাস, বদভ্যাস, মুদ্রাদোষ, কুসংস্কার, ইত্যাদি। আর বিভিন্ন কাজ...

জ্যোতিষীদের প্রতি নারীদের এতো আস্থা কেন?

কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে কিংবা আড্ডায় মধ্যমনি হতে চাইলে শুধু মুখ ফুটে একবার বলুন আপনি একটু আধটু ভাগ্য গণনা করতে জানেন। ব্যাস, আপনার চারপাশে যে ভিড়টা জমে উঠবে। খেয়াল করবেন তাতে পুরুষদের তুলনায় নারীদের সংখ্যাটাই বেশি। আপনার অনেক পুরুষ বন্ধুই বিরক্তি দেখিয়ে কেটে পড়লেও নারীদের ভিড় কিন্তু বাড়তেই থাকবে। কারণ জ্যোতিষিদের ওপর পুরুষদের চেয়ে নারীদের আস্থাটা একটু বেশিই। মনোবিজ্ঞানী এইচ জে আইস্নেকের মতে, যে বিষয়টি কোনো মানুষের জন্ম, বিয়ে, পেশা, উন্নতি, চরিত্র এবং জীবন ইতিহাস গ্রহের অবস্থানের ওপর বিচার করে তাকেই জ্যোতিষ শাস্ত্র বলে।  খ্রিস্টের জন্মের দুই হাজার বছর আগে ব্যবিলনীয়রা এই বিদ্যা আবিষ্কার করে। এ হিস্টোরি অব হরোস্কোপ অ্যাস্ট্রলজির লেখক জেমস এইচ হোলডেনের মতে, সমাজের জ্ঞানীরা এ বিদ্যা চর্চা করতেন। ভালো-মন্দ লক্ষণ বিচারের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক চর্চা ও বিভিন্ন দেবতাদের শান্ত করতেও এটি ব্যবহৃত হতো।তবে শুরু থেকেই এ বিদ্যার ওপর পুরুষদের তুলনায় নারীদের বিশ্বাসটাই ছিল বেশি। এ কারণে বিভিন্ন সমাজে নারীদেরকেই এ বিদ্যা চর্চা করতে দেখা গেছে। এ কারণে অনেক সময় তাদের ডাকিনী, যোগীনি নামেও ডাকা হয়...

শিক্ষাবঞ্চিত ও কুশিক্ষিত অন্ধবিশ্বাসী মুমিন মুসলমানরা ওয়াজ মাহফিল থেকে কী কী শিখছে?

মিজানুর রহমান আজাহারী কতটা শিক্ষিত? কথাবার্তায়, আচরণে সুশিক্ষার প্রমাণ না দিতে পারলে গলায় বড় বড় ডিগ্রি ঝুলানো থাকলেই কি কেউ শিক্ষিত হয়? তবে অমনসব লোক নিশ্চয়ই কুশিক্ষিত হতে পারে। তেঁতুল গাছে আপেল গাছ লেখা সাইনবোর্ড বুঝিয়ে রাখলেই কি সেই গাছে আপেল ফলে? : বৃক্ষ তোমার নাম কী? : ফলে পরিচয়। মিথ্যাচার, ভণ্ডামী ও মূর্খতাপূর্ণ কোরানের কুশিক্ষায় কুশিক্ষিত ইসলামী ধান্ধাবাজ, ভণ্ড, সমকামী গেলমান মিজানুর রহমান আজাহারী মাত্র তিন মিনিটের ওয়াজে কতগুলি মিথ্যাচার করেছে, কুশিক্ষাবশত ও অজ্ঞতাবশত ভুল বলেছে তার প্রমাণ নীচের ভিডিওতে শুনুন। এমন মূর্খতাপূর্ণ ওয়াজ শুনেও কেউ মিজানুর রহমান আজাহারীকে জুতাপেটা করেনি, কারণ তার ঐ ওয়াজের শ্রোতাদের থাকা শিক্ষায় আজাহারী যা যা বলেছে তা তাদের কাছে সত্য বলেই হয়তো মনে হয়েছে। ০১. লাইকা নামক কুকুর মহাকাশে নাকি নাসার বিজ্ঞানীরা পাঠিয়েছিলো। সঠিক তথ্য হলো সোভিয়েত ইউনিয়ন পাঠিয়েছিলো। লাইকা কখনোই জীবন্ত ফিরবে না তা জেনেই বিজ্ঞানীরা পরীক্ষানিরীক্ষা করতেই পাঠিয়েছিলো৷ অক্সিজেনের অভাবজনিত কারণে নয়, এয়ারকন্ডিশনিং যন্ত্রটি সঠিকভাবে কাজ না করায় লাইকা দ্রুত মারা যায়। রেফারেন্স লাই...

পারিবারিক আইন বা ধর্মীয় আইনে নারীর অবস্থান

বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ও ব্যাক্তিক আইন নামে দুই ধরনের আইন বিদ্যমান। প্রথমটি রোমান আইনের ভিত্তিতে রচিত এবং দ্বিতীয়টি বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থের ভিত্তিতে রচিত। হিন্দু, খৃষ্টান, মুসলিমদের জন্য স্ব স্ব ধর্মীয় আইন বিদ্যমান। আজ পর্যন্ত ব্যাক্তিক আইনের কোনো সংস্কার সাধন হয়নি, ফলে ঐতিহাসিকভাবে এই আইন নারী পুরুষের ক্ষেত্রে অসমই থেকে গেছে। হত্যা, ধর্ষন, অপহরণ ইত্যাদি নিপীড়নের চরমতম ক্ষেত্র বাদে অধিকাংশ নারী নিপীড়ন ও নির্যাতন ক্ষেত্র যেমন সম্পত্তি নিয়ে কলহ, তালাক ও বহুবিবাহ এ সবই ব্যক্তিক আইন আইনের পরিসরে গণ্য করা হয়। এই সকল তথা কথিত "ব্যাক্তিক" আইন ক্ষেত্র বিশেষে রাষ্ট্রীয় জগতে প্রবেশ করে তখনই যখন নিপীড়ন চরম আকার ধারণ করে নতুবা নারী এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠে তখন। এ ক্ষেত্রে সমাজ অধিকাংশ সময় ধামা চাপা দেয়ার কৌশল অবলম্বন করে। ব্যক্তিগত কোনো বিষয় যেন কখনোই রাজনৈতিক ভাবে প্রকাশিত না হতে পারে তার জন্য সবাই সোচ্চার থাকে। অনেক সামাজিক নিয়ম, ধর্মীয় বিশ্বাস ও রাষ্ট্রীয় নীতি আছে যা অনেক ঘটনাকে ব্যক্তিগত, লজ্জাজনক এবং প্রকাশ করা উচিৎ নয় বলে মনে করে। এটা আশ্চর্যজনক নয় যে এ ধরণের ঘট...

ইসলাম কেন আজও টিকে আছে ?

মানুষ দু'টি কারনে প্রভাবিত হয়। ভয় ও লোভ। মানুষের মনে যদি প্রচন্ড ভীতির সঞ্চার করা যায়, তাতে মানুষের সকল রকম যুক্তিবোধ , প্রতিবাদ, মুক্তচিন্তা এসব চুড়ান্তভাবে রোধ করা যায়। একই সাথে যদি মানুষকে যদি তার কামনা ও বাসনার সাথে সম্পর্কযুক্ত বস্তুগত বিষয় নিয়ে প্রচন্ড লোভ দেখান হয়, তাহলেও সে তার নৈতিকতা, মুক্তচিন্তা ইত্যাদিকে বিসর্জন দিতে পারে। ইসলাম ঠিক এই দু'টি কারনে টিকে আছে। ইসলাম মুসলমানদের মনে কঠিনভাবেই একই সাথে ভীতি ও লোভের সঞ্চার করতে পেরেছে। ইসলামের চুড়ান্ত বিধান হচ্ছে - যদি ইসলাম পালন না করা হয়, তাহলে তাকে দোজখে গিয়ে আগুনে পুড়তে হবে অনন্তকাল। আর যদি পালন করে তাহলে বেহেস্তে গিয়ে নানারকম ফল, খাদ্য, মদ ইত্যাদি সহ ৭২ টা কুমারী নারীর উষ্ণ সঙ্গ উপভোগ করতে পারবে অনন্তকাল। সাধারন মুসলমানদের কাছে যদি প্রশ্ন করা হয়- তুমি কেন ইসলাম পালন কর? সে পরিস্কার উত্তর দেবে - দোজখের আগুন থেকে বাঁচতে।দেখা যায়, যতটা না বেহেস্তে গিয়ে আনন্দ ফূর্তি করার জন্যে মানুষ ইসলাম পালন করে, তার চাইতে বরং মানুষ ইসলাম পালন করে দোজখের আগুন থেকে বাঁচতে। ইসলামের নবী মানুষের চরিত্রের এই দু'টি দিক খুব ভালভাবেই ...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...