সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

শিল্পী

একজন মানুষ শিল্পী হয়ে ওঠে কখোন ? এবং শিল্পের চর্চা করে কেনো ? - নিজেকে জোর করে শিল্পী ভাবার আগেই সেই প্রশ্নের উত্তর আমাদের খুঁজতে হবে । আমার মতে - (সংক্ষেপে ও সাধারণ ভাষায় লিখছি) - একজন মানুষ যখন - মানুষ ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা অনুভব করতে শুরু করে , সততাকে অনুভব করে ও সততার চর্চা করতে শুরু করে এবং পৃথিবীর সবকিছু সততা সহ বিজ্ঞানের সুত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারে বা ব্যাখ্যা করতে সচেষ্ট থাকে । এবং সেই মানবিক মানুষ যখন দেশ ও পৃথিবীতে একটি সুষ্ঠ সমাজ ব্যাবস্থা চায় - তখন সে প্রকৃত মানুষ হয় এবং এই মানুষ যখন - অন্য মানুষ বা সমাজ ও পরিবেশ প্রকৃতির জন্য ইতিবাচক কিছু একটা করতে নিজের ভেতর দায়ীত্ববোধ উপলব্ধি করে - তখন সে শিল্পের যে কোনো একটা বা একের অধিক মাধ্যম বেছে নেয় - তার সৃজনশীল কাজ করার উদ্দেশ্যে ও আবেগ প্রকাশের জন্য - তাকেই তো আমরা শিল্পী বলতে পারি । তাই তো ? সুতরাং একজন লেখক বা শিল্পী তো মানুষ , সমাজ ও পরিবেশ প্রকৃতির কল্যান বাদ দিয়ে - অবশ্যই জনপ্রিয় হতে বাজারে বিক্রি হওয়ার জন্য তার শিল্পকর্ম তৈরী করবেনা !! সে তার কাজটা যেই সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে করতে চেয়েছে - সেই উদ্দেশ্যটাকেই তার কাজে ...

নারীবাদ বা নারীমুক্তির সংগ্রাম

নারী মাত্রেই নারীবাদী নন। নারীবাদী মাত্রেই নারী নন। পিতৃতান্ত্রিক সমাজবাস্তবতায় নারীবাদ নারীর অন্তিম অর্জন না প্রাথমিক শর্ত সেই নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে, কিন্তু এটা খুব সত্যি, নারীবাদ পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে নারীর অন্যতম প্রতিরোধ। কিন্তু বর্তমান ধনতান্ত্রিক পুঁজিবাদী বিশ্বে নারীবাদ কি আদৌ নারীর রক্ষাকবচ হয়ে উঠতে পেরেছে? এই প্রশ্নগুলির সাথে আমরা কতটুকু পরিচিত। আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের সাথে এই প্রশ্নগুলিই বা কতটুকু সংশ্লিষ্ট? আমি বলছি আমাদের সাধারণ জনসাধারণের কথা। আমাদের দৈনন্দিন পারিবারিক জীবনচর্চার সামাজিক পরিসরে নারীবাদের প্রাসঙ্গিকতাই বা কতখানি? এবং নারী নিজে কি ভাবে দেখে থাকে এই বিষয়গুলি? না বিষয়টি এতটাই ব্যাপক ও বৈচিত্রময় যে, এক কথায় এর কোন উত্তর হয় না। কিন্তু আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের পরিসরে, আমাদের সামজিক রীতিনীতির পরতে পরতে উত্তর রয়ে গিয়েছে প্রতিটি প্রশ্নেরই। পিতৃতন্ত্রের স্বরূপ ও ইতিহাস নির্ণয়ের দিকে না গিয়েও একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, কালের নিয়মেই পিতৃতন্ত্রের প্রকরণ ও অনুষঙ্গেও বদল ঘটেছে বিস্তর। আধুনিক প্রযুক্তির বিপ্লব ও ধনতন্ত্রের একচ্ছত্র বিশ্বায়নেই ঘটেছে এই পরিবর্তন। ...

স্মৃতির পাতায় একজন অনন্ত বিজয় দাসের খোঁজ

অনন্ত বিজয় দাস ও "যুক্তি" ছোট কাগজের প্রথম সংখ্যার সাথে আমার কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে - বছর ছয়েক আগে একটা ও বছর দুয়েক আগে একটা - মোট দুইটা স্মৃতিচারণ লিখেছিলাম সেই স্মৃতি নিয়া - কিন্তু সেই লেখাগুলো এখন কোথায় আছে কে জানে !! তাই আজ আবার নতুন করে লিখতে বসলাম - যাইহোক , 2007 সালের মাঝামাঝি থেকে 2008 সাল পর্যন্ত "যুক্তি" ছোট কাগজ বিষয়ে - অনন্তের সাথে আমার কয়েকবার মুঠোফোনে কথা হয়েছে ও দেখা হয়েছে ঢাকার শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে । আজিজ মার্কেট থেকে যুক্তি ছোট কাগজের প্রথম সংখ্যার শদুয়েক কপি এবং দ্বিতীয় সংখ্যার আরো শতখানেক কপি বিক্রি করে প্রচার করেছিলাম নিজের স্ব-উদ্যোগে স্ব-প্রণদিত হয়ে । তখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাহবাগ কাটাবন কেন্দ্রিক লেখক পাঠক ছাত্র শিক্ষক সাংস্কৃতিককর্মী  বুদ্ধিজীবী রাজনীতিবিদ কেউই কিন্তু যুক্তি পত্রিকাকে চিনতো না । হলো কি - আমি একদিন শাহবাগের আজিজ মার্কেটে ছোট কাগজ কেনার জন্য ঘোরাঘুরি করছিলাম - ঘুরতে ঘুরতে তক্ষশীলায় ঢুকলাম - নতুন কোনো ছোট কাগজ এসেছে কি না খুঁজতে ছিলাম , দেখলাম - এককোনায় ধুলার আস্তরণ সহ অযত্নে পরে থাকা নতুন একটা ছোট কাগজ - নাম ...

ধর্মান্ধ বেকুবের নিস্ফল দূরাশা

শুধু গাছের ভালোটা খাওয়ার লোভে যে লোকেরা তলারটা না খেয়ে হেলাফেলা করে , শেষে গাছেরটা কিন্তু তাদের খাওয়া নাও হইতে পারে !! তেমনি অতিলোভী মুর্খ আহাম্মক ধর্মান্ধ বেকুবেরা কল্পনার স্বর্গবেহেশেতের লোভে দুনিয়াদারি ছাইরা দিয়া - মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিষ্ফল দূরাশায় দুনিয়ার সুখশান্তি হারায় ।  - আর মৃত্যুর পর তারা স্বর্গবেহেশতও পায় না , কারণ স্বর্গবেহেশের তো অস্তিত্বই নাই । যার অস্তিত্বই নাই - সেই জিনিস পাওয়া কেমন সম্ভব !! ?? এই সাধারণ কথাটা ধার্মিকেরা না বুঝলেও - সহজাত জিজ্ঞাসুর নিতান্ত বালক মাত্রেও বোঝে - নগত যা পাও , হাত পাইতা নাও ; বাকির নাম ফাঁকি । 'ধর্মান্ধ বেকুবের নিস্ফল দূরাশা' - খান ওয়াহিদুজ্জামান (25-29 এপ্রিল 2020)

অনাহূত আমি

জন্মাবার পর যখন জ্ঞান হলো চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলাম ভয়াল সমুদ্রের মাঝে মা-বাবা নামক ছোট্ট এক ডিঙ্গির কোলে আদরে শাসনে ভাসছি - - - - আর কিছুটা বড় হয়ে মনে হলো - চতুর্পাশে যারা আছে তাদের একগাদা শত্রুর বলা ছাড়া ভিন্ন কোনো শব্দে ডাকা যায় কি ! ? - - দিনেদিনে বুঝলাম এ পৃথিবী আমার নয় । ততদিনে বাবা ও মা চলে গেছেন প্রকৃতির নিয়মে - - আর আমি , মানুষরূপী স্বার্থান্ধ ভন্ডদের ঠোক্কর খেতেখেতে উপলব্ধি করছি - আমি বড় একা !! এতো একা , এতো নিঃসঙ্গ যে মন খারাপ হলে অন্তত একটু কথা বলার জন্য হলেও কাউকে ডেকে পাইনা , হায় , আমার কথা বোঝার মতোনও আশেপাশে কেউ নাই । এইসব কারণেই বুঝতে পারি , এই পৃথিবী আমার নয় । 'অনাহূত আমি' - খান ওয়াহিদুজ্জামান ( 21.02.2020 )

দ্বি-পাক্ষিক সংলাপ

‘এই ছেমরি , তুই যে এমন পোলা গো সাথে সারাদিন রাইত মুঠোফোনে ঘুসুর-ঘুসুর ফুসুর-ফুসুর করিস , সত্যি করে বল , আসলেই কি তুই কখনো কারো প্রেমে পড়িস ?’ - ‘ও , সব দোষ হইলো মাইয়া গো ? পোলা গো কোনো দোষ নাই ! ? ক্যান , মাইয়া দেখলেই তোদের কি , জাইগা ওঠে না রোশনাই ? তোদের রাতগুলা যায় কথা বলে , দিন তো তোদের যায় না , যাদের সাথেই মিথ্যা করে কথা বলিস , হুম ! কেউই তোদের পায় না !!’ 'দ্বি-পাক্ষিক সংলাপ' - খান ওয়াহিদুজ্জামান ( 26-04-2020 )

কাজল , তোমায় ভুলি নাই

বিন্দু থেকে বৃত্তাবধি আলোর কণা জ্বলবে স্বাধীনতা বজায় রাখতে , কথা ঘাষফুলটাও বলবে ! বিশৃঙ্খলার মেঘে সত্যকে ঢেকে রাখতে - অন্ধকারের দেয়াল যতো তৈরী করো , হায় ! একনায়কের দেয়াল ফুঁরে প্রান্তিকের বস্তিতেও , অপার সূর্যের আলো পৌঁছে যায় । তাই - ভুলি নাই , কাজল তোমায় ভুলি নাই - দস্যুবৃত্তির এই রাষ্ট্রে তোমাকে ছেড়ে যাই নাই । কাজল তোমায় ভুলবো না , তোমাকে ছেড়ে যাবো না ; এই নীরাশায় তোমাকে ছেড়ে বেঁচে থাকতে পারবো না । *(কী ! ? কাজলকে চিনতে পারলেন না ! ? কাজল একটা প্রতিকী নাম । একজন রাজনৈতিক সচেতন প্রতিবাদী বাঙালীর প্রতিক । সরকারের দুর্নীতি ধরিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ করার কারণে - যেই কাজলকে স্বৈরাচারী সরকার বারবার জেলে ভরে ।) 'কাজল , তোমায় ভুলি নাই' - খান ওয়াহিদুজ্জামান (22এপ্রিল - 03মে , 2020)