এই ব্লগটি সন্ধান করুন

ধর্ম বিষয়ে আমার প্রশ্নগুলো ১ম পর্ব

 আমি ফাতিমা জান্নাত বলছি।

দ্বিতীয়পর্ব 

তৃতীয়পর্ব


আমার প্রথম প্রশ্ন 

ক) কেনো মুসলিম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মের কিংবা মতবাদের মানুষ বেহেশতে যাবেনা?

আস্সালামুআলাইকুম এবং Hello everyone।

আমার নাম ফাতিমা জান্নাত। আর দশজন বাংলাদেশী মুসলিমের মতো একজন সাধারন মুসলিম। আব্বা আম্মা, ভাই বোন, দাদা দাদু, নানা নানু থেকে চাচা চাচীআম্মা, মামা মামীআম্মা সবাই মুসলিম। ছোটবেলা থেকে বাংলাদেশের আর দশজন মুসলিমের মতো আমিও নামাজ কায়েম করেছি এখনো করি যদিও নিয়মিত না। রোজা নিয়মিত রেখেছি এখনো রাখি। আল্লাহর উপর পূর্ন বিশ্বাস আছে এবং মৃত্যু পর্যন্ত থাকবে ইনশাল্লাহ।



গত দুবছর আগ থেকে কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে হঠাৎ মাথায় ঢুকলো আচ্ছা এতো মানুষ বিশেষ করে ইয়াং জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা এমন সংশয়বাদীতার দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে কেনো। তাদের মায়েরা হিজাব করে, বাবারা নিয়মিত নামাজ আদায় করে তবু কেনো,কি দেখে,কি স্টাডি করে তাদের মধ্যে এই সংশয়বাদীতার সৃষ্টি হচ্ছে।
নিজেই নেমে গেলাম জানার জন্য। জীবনে দুইবার কোরান খতম দিয়েছি, নামাজের আদায়ের জন্য অনেক সুরা মুখস্হ করেছি কিন্তু কোনদিনও কোরান, হাদীস কিংবা কোন তাফসীরের একটা লাইনও অর্থসহ দেখিনি এবং বোঝার চেষ্টা করিনি। ১% বাংলাদেশীও করে কিনা সন্দেহ আছে।



যাইহোক গত একবছর বেশ কিছু স্টাডি করলাম কোরান, হাদীসের উপর। অনেক অনেক আলেম, স্কলার এবং মুসলিম লাইভ ডিবেটরের লাইভ ঘন্টার পর ঘন্টা দেখলাম।
মনের মধ্যে একটার পর একটা প্রশ্ন জমতে লাগলো।
স্টাডি করা এখনো চলছে , চলতে থাকবে এবং নতুন নতুন আরো প্রশ্নের জন্ম নিতে থাকবে। তাই যে প্রশ্নগুলো ইতিমধ্যে মনের ভিতর জমে আছে ওগুলো সবাইকে জানাতে চাই এবং সবার মূল্যবান মতামত ও উত্তর জানতে চাই।


এমন মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ আছে যারা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানেনা, এমন মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ আছে যারা ইসলাম সম্পর্কে জেনেও এই ধর্মের প্রতি আগ্রহী নয়। এবং ঐ বিলিয়ন , মিলিয়ন মানুষগুলোর মাঝেই এমন অনেক অনেক অনেক মানুষ আছে যারা পৃথিবীর জন্য অনেক ভালো এবং সুন্দর কিছু করে যাচ্ছেন। কোন ধর্ম, বর্ন, জাতী নয় মানুষ এবং মানবিকতাকে তারা সবার উপরে ঠাঁই দিয়েছে। কেনো তারা দোজখে যাবে? কেনো?

 

একজন মুসলিম যতো বর্বর , অসভ্য, অমানুষ হোক না কেনো আগে পরে সে অবশ্যই বেহেশত পাবে। এক আল্লাই যদি আমাদের সবাইকে বানিয়ে থাকেন তবে কেনো এতগুলো ধর্ম বানাতে দিলেন মানুষকে। কেনোই বা একজন নিরীহ আত্নাকে অমুসলিম করে অমুসলিমের ঘরে পাঠালেন, কেনোই বা অমুসলিম থাকার কারনে তাকে অনন্তকাল দোজখে জ্বলতে হবে। কেনোই বা তাকে এই পৃথিবীতে মোহিত করে ইসলামের পথে আনলেন না? কেনো।



ধরুন একজন শিক্ষক ফাতিমা এবং ফারিয়া নামক দুটো একই বয়সী বাচ্চাকে পরীক্ষায় পাশ করার জন্য দুই রকমের দুটো অংকের প্রশ্ন দিলেন। এবং ফাতিমাকে যে প্রশ্নটা দিয়েছেন শুধুমাত্র ওটার উত্তর যে দিবে তাকে পাশ করানো হবে। আর ফারিয়ার প্রশ্নটার উত্তর যেই দিবে সে ফেল। প্রশ্নগুলো দিয়ে বের হওয়ার পূর্বে আস্তে করে ফাতিমাকে বললেন” ফাতিমা তোকেই আমি সঠিক প্রশ্নটা দিয়েছি। ফারিয়াকে যেমনি হোক বুঝা ওর প্রশ্নটা ভুল এবং শুধুমাত্র তোরটার উত্তর দিলেই ফারিয়া পাশ করবে”।



শিক্ষক চলে যাবার পর ফাতিমা ফারিয়াকে অনেক বোঝালো যেনো ও ফাতিমার প্রশ্নের উত্তর দেয়। ফারিয়া কথা শুনলো না এবং শিক্ষক ওকে ফেইল করালো।

১) স্যার , কেনো দুটো বাচ্চাকে দুই রকমের প্রশ্ন দিলেন?
একই রকমের দিয়ে দুজনের পারফরমেন্স দেখতেন।

২) কেনো শুধু ফাতিমাকই পার্সোনালী বললেন শুধু ওর প্রশ্নটাই সঠিক?

৩) কেনো ফারিয়াকে আলাদ করে বললেন না ওর প্রশ্নটার উত্তর না দিয়ে যেনো ফাতিমার টার দেয়?

৪) কেনো ফারিয়াকে ফেল করিয়ে শাস্তি দিলেন?

৫) কেনোই বা ফারিয়া ফাতিমার কথা বিশ্বাস করবে?

আল্লাহ কেনো এতোগুলো ধর্মের জন্ম দিতে মানুষকে বাধা প্রদান করলেন না? কেনোই বা সবাইকে শুধু ইসলাম ধর্মে পাঠিয়ে তাদেরকে ইমান এবং কর্মের উপর বিচার করলেন না? অন্য ধর্ম কিংবা ধর্মহীন মানুষদের কি দোষ?


আমি ফাতিমা জান্নাত কিন্তু অনেক চালাক মানুষ। জান যাবে তবু ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করবো না। যতো অন্যায় করি না কেনো , যতো পাপ করিনা কেনো, নিরীহ মানুষ খুন করা থেকে মানুষকে অত্যাচার, চুরিডাকাতি , ঠকবাজি সবকিছুর পরও কিছুকাল শাস্তি দিয়ে আল্লাহ আমাকে একটা সময় ঠিক ই বেহেশত দিবে।


পৃথিবীতে যখন মহামারী দেখা দেয় সেটা রোগ-বালাই হোক আর প্রাকৃতিক বিপর্যয় দলে দলে অমুসলিমরা ছুটে যায় ওগুলো থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে। প্লেগ থকে ইবোলা , ক্যান্সার থেকে এইডসে যখনি মানুষ আক্রান্ত হয় হাজার হাজার অমুসলিম ডাক্তার, গবেষক, বিজ্ঞানীরা ছুটে গেছেন তাদের উদ্ধার করতে। যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশগুলোতে ছুটে যায় মানবাধিকার কর্মীগুলো ওদের সেবা এবং শেল্টার দিতে। ঐ অমুসলিম পাগলের দলগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পর্যন্ত এসব করে। ওহে বোকারা যত যাই করো না কেনে বেহেশতে কিন্তু যেতে পারবা না।


বেহেশতে যাবো আমি ঘরের মধ্যে হাত পা গুটিয়ে বসে থেকেও, বেহেশতে যাবে সাইদী সাহেব, নিজামী সাহেব, গোলাম আজম সাহেব এবং অতি নিরীহ সাকা সাহেব। কিছুদিন হয়তো দোজখে সাজা কাটিয়ে একটা সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীও একসময় বেহেশতের মজা পাবে। আর দোজখ অপেক্ষা করছে আব্রাহাম লিঙ্কন, নেন্সন মেন্ডেলা, স্টিফেন হকিং, আইনস্টাইন, আইজাক নিউটন এদের জন্য।

আবারো বলছি মরে যাবো তবু ইসলাম ত্যাগ করবো না।

আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন 

ক) ৬১০ থেকে ৬৩২খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত যতগুলো যুদ্ধ কিংবা অতর্কিত হামলা মুহম্মদ সা: কিংবা উনার সাহাবীদের নেতৃত্বে হয়েছিলো যদ্ধু পরবর্তী সময়ে পরাজিত দলের শিশু, ছোট বাচ্চা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, মানসিক প্রতিবন্ধী, শারিরীক প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গের মানুগুলোকে কি করা হয়েছিলো?

পুরো কোরান শরীফ, হাদীস - সীরাত গ্রন্থগুলো থেকে জানতে পাই পুরুষ যোদ্ধারা হয় নিহত হয়েছিলো নাহয় বন্দী হয়ে দাস হয়েছিলো। আর নারী বন্ধীনিদের গনিমতের মাল হিসেবে মুহম্মদ সা: ,খলিফারা এবং সাহাবীদের মাঝে ভাগ বাটোয়ারা করে দেওয়া হয়েছিলো। ঐ স্বামী, সন্তান, পিতা হারানো নারীরা মুহম্মদ সা: এবং উনার সাহাবীদের ঘরে স্ত্রী এবং দাসী( উপ-পত্নী,বাদী- পত্নী,যৌন-দাসী) হিসেবে থাকতো। তাদের এভাবে রাখার দুটো কারন আমি জানতে পেরেছি। এক- তাদের আশ্রয় দেওয়া। দুই- তাদের ইসলামের মাঝে ধরে রাখা। উত্তম। যদিও আমি ঐ নারীদের জায়গায় থাকলে ওদের দুচারটাকে ধরে মেরে ফেলতাম নাহয় নিজেকেই শেষ করে দিতাম। দাসী হিসেবে অসন্মানের জীবনের চেয়ে মৃত্যু অনেক কম কষ্টের। যাইহোক ওটা আমার টাইপ সবার না হয়তো।

যখন একটা যুদ্ধ হয় সেই যুদ্ধপরবর্তী সময়ে সবচেয়ে অসহায় এবং শোচনীয় অবস্হা হয় শিশু, বৃদ্ধ এবং প্রতিন্ধীদের। পুরুষ নারীরাতো পালিয়ে, লুকিয়ে কোথাও কর্ম করেও বেঁচে থাকতে পারবে কিন্তু ঐ অসহায় শ্রেনী কোন আশ্রয় না পেলে মৃত্যু ব্যতীত কোন সমাধান নেই।


অমুসলিম এবং নাস্তিকরা সবসময় বলে মুহম্মদ সা: এবং উনার সাহাবীরা নারীলোভী এবং যৌনকাতর ছিলো তাই নারীদের গনিমতের মাল বানাতো কিন্তু মুসলিমদের ব্যাখ্যা হচ্ছে আশ্রয় এবং মুসলিম বানানোর জন্যই নারীদের ধরে আনা হতো এবং তাদের সাথে যৌন সম্পর্ক করা হতো। আর আমার প্রশ্ন হচ্ছে - নারীদের কোথা থেকে ধরে আনা হতো তাদের ঘর থেকে নাকি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে? আশ্রয় দেওয়া এবং মুসলিম বানানোই যদি উদ্দেশ্য হয় তবে তাদের চেয়ে অনেক বেশী দরকার ছিলো শিশু, বৃদ্ধ এবং প্রতিবন্ধীদের আশ্রয় দেওয়া।


মুহম্মদ সা: কিংবা উনার কোন খলিফা/ সাহাবীরা কী যুদ্ধ পরাজিত দলের একটা শিশু , বাচ্চা কিংবা প্রতিবন্ধীকে আশ্রয় দিয়ে নিজ দায়িত্বে লালন পালন করেছিলো??? করলে তাদের নামগুলো রেফারেন্সসহ জানতে চাই???

কেউ যদি বলেন ওদেরকে কোন এতিমখানা বা আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছিলো আমি বলবো তাহলে ঐ জায়গুলোতে নারীদেরকেও কেনো রাখা হলোনা? কেনোই বা ঐ যুদ্ধ বন্দীনি নারীগুলোর সাথে সেক্স করতে হলো?

একটা যুদ্ধে অন্যায় করেছে যোদ্ধারা সাজাও পেয়েছে নিহত কিংবা যুদ্ধবন্দী হয়ে। কিন্তু একজন নারী কিংবা বাচ্চার ওখানে কি দোষ? তারা কিভাবে অপরাধী কিংবা বন্দী হতে পারে??? তাদেরকে ওভাবে কষ্ট দেওয়া হয়তো মানুষদের দ্বারা সম্ভব কিন্তু আল্লাহ কি করে এসব মেনে নিলেন??? দয়া করে কেউ বলবেন না যুদ্ধবন্দী হওয়া কিংবা দাসী হওয়া খুব আনন্দের ব্যাপার।


আমার তৃতীয় প্রশ্ন 

ক) ইসলাম ধর্মে একজন পুরুষকে কেনো চারজন স্ত্রী রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে???
খ) শুধু ইসলাম ধর্ম নয় যে কোন ধর্মই কেনো একজন পুরুষকে একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি দিয়েছে?

আমি মুসলিম তাই শুধু আমার ধর্মেরটাই জানি। তাই অন্য ধর্মালম্বীরাও যদি একটু আপনাদের ধর্মের এই ব্যাপারটা নিয়ে বলতেন জানতে পারতাম। যাইহোক....

ইসলামিক স্কলার এবং কিছু ইসলামিক লেখকের ব্যাখ্যা থেকে যা জেনেছি।


১) একজন পুরুষ চারজন নারীকে স্ত্রী হিসেবে রাখার শারীরিক ক্ষমতা রাখে। তবে চারজন স্ত্রী রাখাটা ফরজ নয় কেউ চাইলে রাখবে কেউ না চাইলে নয়। এবং চারজন স্ত্রীর সাথে সমানভাবে ব্যবহার করতে হবে।
২) পৃথিবীতে অনেক যুদ্ধবিগ্রহ হয় এবং অনেক পুরুষ মারা যায়। তখন পুরুষ-নারীর সংখ্যা অসম হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে ঐ অতিরিক্ত নারীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক আশ্রয় এবং যৌন চাহিটা মেটানোর জন্য একজন পুরুষকে চারজন স্ত্রী একসাথে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
৩) একজন নারীর অনেক রকমের অসুবিধা আছে যেমন মাসিক হওয়া ,গর্ভবতী হওয়া ইত্যাদি। একাধিক স্ত্রী ঐ সময় থাকলে স্বামীকে সহবাস/সেক্সের জন্য হস্তমৈথুন বা পতিতালয় টাইপের জায়গা যাওয়ার মতো নোংরা কাজ করতে হয়না। এতে একজন পুরুষের চরিত্র ও ইমান ঠিক থাকে।

৪) যত বেশী স্ত্রী ততো বেশী সন্তান। একজন পুরুষের যতো বেশী সন্তান হবে ততো বেশী মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
ভালো! খুব ভালো।
আমি এবং হয়তো আমার টাইপের মানুষগুলো শরীরের চেয়ে যে কোন বিষয়ে মন এবং মানবিকতাকে অনেক বেশী গুরুত্ব দেই তাই নিজের ভালোবাসার মানুষকে শেয়ার করার মতো শক্তি আল্লাহ আমাদের অন্তরে দেয়নি।

আমার স্বামী একজন পতিতার কাছে গেলে যতটা অসহনশীল কষ্ট পাবো ঠিক ততোটাই পাবো যদি সে অন্য কোন নারীকে বিয়ে করে আনে। দুটাই কষ্টকর , যন্ত্রনাদায়ক এবং অশান্তির। পুরুষরা না বুঝুক আল্লাহ তো বুঝেন আমাদের প্রতিটা ফোঁটা অসহ্য মানসিক কষ্টের এই অনুভুতি। তাহলে কেনো তিনি এই অনুমতি দিলেন???

আমার টাইপটা হয়তো বিবি খাদিজার মতো । উনি যতদিন বেঁচে ছিলেন মুহাম্মদ সা: অন্য কাউকে বিয়ে করেন নি কিংবা করতে দেওয়া হয়নি। আমার টাইপটা হয়তো বিবি ফাতিমার সাথেও মিলে ।(Power talks after all) । উনি জীবিত থাকাকালীন অবস্হায় হযরত আলী রা: কে দ্বিতীয় বিয়ে করতে দেন নি এবং একমাত্র স্ত্রী হিসেবে থেকে স্বামীকে সতীনের সাথে শেয়ার করার মতো অসহ্য কষ্ট থেকে নিজেকে মুক্ত রেখেছিলেন।এবং আমাদের মুহম্মদ সা: ও আদর্শ পিতার মতো নিজ কন্যার এই মানসিক কষ্টকে গুরুত্ব দিয়ে আলী রা: দ্বিতীয় বিয়েতে বাঁধা প্রদান করেছিলেন। মুহম্মদ সা: এর যুক্তিটা অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার যে আলী রা: দ্বিতীয় বিয়ে করলে বিবি ফাতিমা কষ্ট পাবে এবং হিংসা/ইর্ষা নামক গুনাহার ভাগীদার হবে।

"কিন্তু হে রাসুলাল্লাহ, আপনার এগারোজন বিবি এবং পৃথিবীর সব নারীই কারো না কারো কন্যা। আপনার কন্যা বিবি ফাতিমার মতো নিজ স্বামীকে সতীনের সাথে ভাগ করে নিতে আমাদেরও অসহ্য কষ্ট হবে। আমরাও হিংসা/ইর্ষা নামক গুনাহর ভাগীদার হয়ে যাবো। আপনি নাহয় শুধু আপনার কন্যারটাই বুঝলেন কিন্তু স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তো আমাদের সবার। উনি কেনো সবার দিকটা চিন্তা করে একজন স্ত্রীর শুধু একজন স্বামী এবং একজন স্বামীর জন্য একজন স্ত্রী নির্ধারন করে দিলেন না?"


এবার সন্মানিত স্কলারদের একটু প্রশ্ন করি-

-জনাব, পুরো পৃথিবীতে এই মুহুর্তে পুরুষের সংখ্যা নারীর চেয়ে বেশী। তাহলে ঐ অতিরিক্ত পুরুষদের অতিরিক্ত যৌন চাহিদা( আপনাদের দাবী পুরুষদের যৌন চাহিদা বেশী থাকে) কে পূরন করবে???
যে দেশে নারী বেশী সে দেশে পুরুষেরা একাধিক বিয়ে করে ইসলামিক সমাধান দিবে কিন্তু যে দেশগুলোতে পুরুষ বেশী সেখানে ইসলামিক সমাধান কি???? কোরান, হাদীস থেকে উত্তর খুঁজে না পেলে কিছু ফতোয়া টতোয়া হলেও দিন। জনগন জানুক।

স্বয়ং নবী মুহম্মদ সা: উনার সব স্ত্রীদের সাথে কি সমান ব্যবহার করতে পেরেছিলেন? আমি অল্পসল্প যে কয়টা লেখা দেখেছি তাতে বরাবরই উনি বিবি খাদিজা এবং বিবি আয়েশাকে বেশী ভালোবাসতেন এবং প্রাধান্য দিতেন বলে উল্লেখ করা আছে। বিবি হাফসাকেও অন্য স্ত্রীদের তুলনায় বেশী প্রাধান্য দিতেন। (again power talks)। যাইহোক উনিতো রাসুল , উনার ব্যাপারগুলো স্পেশাল- জানি এই উত্তর দিবেন আপনারা।


অধিক স্ত্রী থেকে অধিক সন্তান। অধিক মুসলিম জনসংখ্যা। ভালো কথা। কিন্তু আমার কাছে সবচেয়ে ভালো মনে হয়েছে একজন স্ত্রী একজন স্বামী এবং তাদের দুজনের মিলনে দু-চারটা সন্তান। মুসলিম জনসংখ্যা হয়তো একটু কম হবে কিন্তু যারা হবে তারা ভালোভাবে খেয়েদেয়ে বাবামায়ের পূর্ন ভালোবাসা পেয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সুস্হভাবে মানুষ হবে। ঘরভর্তি সৎ মা এবং সৎ ভাইবোনের সাথে সুস্হভাবে কোন সুস্হ মানুষের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব?

শেষ প্রশ্ন- একজন নারী । তার পিরিয়ড হবে সে গর্ভবতী হবে এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার তাই নয় কি। আল্লাহ ই তো আমাদের এসব ব্যাপারগুলো দিয়েছেন তাইনা। এগুলোকে আল্লাহর নেয়ামত হিসেবেই নিচ্ছি। আমাদের এসব না হলে পৃথিবী খালি স্টেডিয়াম হয়ে থাকতো। আপনারাও আত্না হয়ে কোথাও ঝুলে থাকতেন দেহ হয়ে পৃথিবীতে আসতেন না।
জনাব, আপনার স্ত্রী যদি দশ মাস দশ দিন আপনার সন্তানটাকে গর্ভধারন এবং ভুমিষ্ট করার জন্য এত্তো কষ্ট (যা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না) করতে পারে সেই আপনি ঐ কয়টা দিন যৌনসঙ্গম থেকে বিরত থাকাটাকে মেনে নিতে পারবেন না? আপনাদের পতিতা কিংবা দ্বিতীয় বিবি লাগবে??? ছি!!! ধিক্কার আপনাদের।
পিরিয়ডের ব্যাথা কিংবা অসস্থিতে পাঁচ সাতটা দিন প্রতি মাসে নারীরা অতিবাহিত করে। ঐ কটা দিন আপনাদের ধৈর্য সয়না? বাহ। তা ভাই মাদ্রাসায়/ ছেলেদের হোস্টেলে কিংবা যুদ্ধক্ষেত্রে কিংবা বছরেরে পর বছর বউগুলোরে ফেলে বিদেশের মাটিতে জীবিকার সন্ধানে যখন থাকতে হয় তখন ঐ যৌনক্ষুধার কি করেন সত্যি জানতে ইচ্ছা করে।কিছু না কিছু তো করেন সেটা খোলাশা করলেই সত্যি অনেক সমাধান এই পৃথিবী পেয়ে যাবে।

সবশেষে বলবো দুজন মানুষ দুজন মানষকে ভালোবেসে বিয়ে করবে কিংবা বিয়ে করে তারপর ভালোবাসবে । এরপর কারো বাচ্চা হবে কিংবা কারো হবেনা কিন্তু দুজন মানুষ এক আত্না, এক দেহ হয়ে দুজনকে ভালোবেসে, সন্মান এবং বিশ্বাস করে গুটিগুটি পায়ে সুখ দু:খ মিশ্রিত জীবনের সংগ্রামগুলোকে মোকাবেলা করবে এটাই আমার কাছে স্বাভাবিক এবং এটাই সঠিক।
"আর কারো যদি বনিবনা না হয় তালাক/ বিচ্ছেদ নামক একটা অপশন সবার জন্য খোলা।"


" গুরুত্বপূর্ন টিপস- এরপরেও যদি কেউ একসাথে একাধিক বিয়ে কিংবা স্ত্রী রাখাকে সমর্থন করেন তবে আপনার পিতাকে (মাতা জীবিত অবস্হায়) কিংবা আপনার জামাতাকে (আপনার কন্যা জীবিত অবস্হায়) দ্বিতীয় বিয়ে করিয়ে দিয়ে এক অনবদ্য ইতিহাস সৃষ্টি করে দেখান (যা স্বয়ং মুহম্মদ সা: ও করতে পারেননি।" কথা দিচ্ছি নিজ দায়িত্বে এক প্যাকেট খুরমা, দুই ঠোঙ্গা জিলাপী এবং তিন বক্স নিমকী পাঠিয়ে নব দম্পতিকে দোয়া করে দিবো।

আমার চতুর্থ প্রশ্ন 



১) ধর্মীয় বানীগুলো কিংবা আইনগুলো কি মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে কিংবা পারছে?
২) সৌদি আরব কিংবা যে কোন কঠোর ধর্মীয় অনুশাসনে থাকা দেশগুলোতে কেনোই বা নারী কিংবা কোন শিশু ধর্ষন হয়?

ছোটবেলায় আমাদের একজন হুজুর ছিলো যার কাছে আমরা সব ভাইবোন এবং আমাদের তিনজন কাজের ছেলেমেয়ে কোরান শরীফ আর নামাজের নিয়মাবলী শিখতাম যিনি একটা মাদ্রাসার শেষ বর্ষের ছাত্র এবং আমাদের এলাকার মসজিদের পার্ট টাইম ইমাম ছিলো। যাইহোক হুজুর প্রতিদিন নিয়ম করে আমাদের পটাস পটাস করে বেত দিয়ে গনপিটা দিতেন আর বলতেন “ আল্লাহর কালাম সামনে রেখে তোরা দুষ্টামি করিস। তোদের মধ্যে শয়তান ঢুকছে।লাডিরে( লাঠিকে)
শয়তানও ডরায়(ভয় পায়)”।কেনো জানি মনে হয়ে ঐ পিটানোর শব্দে আমার আব্বা আম্মা এবং চরম পরহেজগার নানু পরম তৃপ্তি পেতো। হয়তো ভাবতো একদম খাঁটি পদ্ধতিতে বাচ্চাগুলো ইসলামের শিক্ষায় আলোকিত হচ্ছে। যাইহোক ১৬/১৭ বছর বয়সী একজন ফুফাতো বোন আমাদের বাসায় ঘুরতে এসেছিলো। তারপর থেকে হুজুর আল্লার কালাম সামনে খুলে রাখা কোরান শরীফের দিকে কম দরজার চিপা কিংবা পর্দার ফাঁকের দিকে বেশী তাকাতেন। বাসায় ঢুকে সালামের আগে নাস্তা চাওয়া হুজুরটা আমাদের পিছনে চকোলেট, চইংগাম আর চিপসের বিশাল ইনভেস্টমেন্ট শুরু করলো। একদিন অনেকগুলো মিমি চকোলেট আমার এক হাতে হাদিয়া দিয়ে অন্য হাতে একটা খামে ভরা চিঠি আর লাল গোলাপ দিয়ে লাজুক হেসে বললো “ তোমার আপাকে দিও”। ঐ ছোট বয়সেই চরম দুর্নীতিগ্রস্হ একটা কাজ করলাম। সবগুলো চকলেট খেয়ে চিঠিটা খুলে দেখলাম( উররে লিখা!!! এমন রসে টসটস )এবং সোজা আমার প্রচন্ড বদমেজাজী আব্বার হাতে ধরিয়ে দিলাম। আমার আব্বা বাঘের হুঙ্কার দিয়ে হুজুরকে সবার সামনে এমন বকা দিলেন তারপর থেকে আমাদের রোমান্টিক, সদা-রঙিন মনের হুজুরটা কেমন জানি ধ্বজভঙ্গের মতো চুপসে গেলো। তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমার নিজের মনের একটা ডায়লগ আমার ভেতরে ঘুরপাক করে “ হুজুর, আল্লাহর কালাম অর্থসহ বুঝে এবং নিজের সামনে রেখে আপনি এই ধরনের কাজ করেন। আপনার মধ্যে শয়তান ঢুকছে। আর লাডিরে( লাঠিকে) মানে আমার আব্বার হুঙ্কারকে শয়তানও ডরায়( ভয় পায়)”।


আমার ছোটবেলার এই কাহিনীটা আমার আজকের প্রশ্নের সাথে প্রাসঙ্গিক তাই না বলে কথা শুরু করতে পারছিলাম না।

ইদানীং নারী-শিশু ধর্ষন এবং যৌন নির্যাতন যেনো মহামারী আকার ধারন করেছে। আগেও হয়তো হতো কিন্তু এই আধুনিক যুগের মিডিয়া বাবা এবং ফেইছবুক মামার বদৌলতে সবকিছু আমাদের কানে বাতাসের আগে পৌঁছে যায়।


রাস্তার অশিক্ষিত, নেশাখোর পুরুষগুলো এমনকি সমাজের ধনী এবং শিক্ষিত পুরুষগুলোও যখন ধর্ষন কিংবা কোন যৌন নির্যাতনমূলক কাজ করে ধিক্কার দেই
তাদের। সর্বোচ্চ শাস্তির ভিক্ষা চাই।আর ভাবি কেনো করছে ওরা এমন?
যা আমার হিসেবে মেলে। আবারো বলছি আমার হিসাব সবার না এবং সবারগুলোও আমি জানতে চাই-


১) অপরাধীগুলো পারিবারিক, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে যথেষ্ট নৈতিক শিক্ষা পায়নি।
২) কঠোর আইনকানুনের অভাব।
৩) কঠোর সামাজিক প্রতিরোধের অভাব।
৪) অপরাধীর সাইকোলোজি। একটা ছোট বাচ্চা যে বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করে তার থেকে শুরু করে একজন ধর্ষক এমনকি একজন খুনীও হয়তো ভাবে কেউ তো তার অপরাধ দেখছে না । যতক্ষন ধরা না খাবে ততোক্ষনই সে নিরাপরাধী। আইন ব্যবস্হা অনেক স্ট্রং হলেও অপরাধী সর্বোচ্চ ফাইট করে যেন কিছুতেই ধরা না খায়। যেনো মানুষে মানুষে এক ছোঁয়াছুয়ির খেলা, যা চলছে এবং চলতেই থাকবে।

কিন্তু কিন্তু কিন্তু যখন কোন থলথলে পেট আর তেলতেলে গালের মসজিদ/ মাদ্রাসার হুজুর , নানা রঙ-ঢঙের মুর্তিগুলোর পুজারী মন্দিরের পুরোহিত , কোন চার্চের সদা ভদ্রলোক সেজে থাকা ফাদার/ ব্রাদার কিংবা বুদ্ধের পায়ের নিচে সর্বদা উল্টে পরে থাকা কোন বুদ্ধিস্ট হুজুর অপরাধ করে সত্যি কোন হিসাবই যেনো মিলাতে পারিনা।কারন তারা ধর্মগুলোর প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে জানে এবং বুঝে। তাদের চেয়ে বেশী কে জানে কোন অপরাধের জন্য কি কি নিশ্চিত শাস্তি স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা দিবেন?


"আর মানুষের চোখ / আইনের চোখ ফাঁকি দেওয়া গেলেও সৃষ্টিকর্তার চোখ ফাঁকি দেওয়ার কোন সাধ্য কারো তো নেই"

তাই যখন ভারত কিংবা বাংলাদেশের কোন মন্দিরের পুজারী কিংবা কট্টর হিন্দু ব্যক্তিটি তাদের ভগবানের ঘরে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষন কিংবা যৌন নির্যাতন করে তখন তখন সত্যি হিসাব মেলাতে পারিনা। বেদ, গীতা মুখস্হ থাকা ঐ মানুষগুলো একবারও ভাবেনা ওদের ভগবান ঐ অপরাধগুলো তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে? পারছে কি তাদের ভগবান কিংবা ধর্মের কোন আইন নারী কিংবা শিশুকে নিরাপত্তা দিতে?

যখন কোন চার্চের ফাদার কিংবা বুদ্ধিস্ট হুজুর কোন অপরাধ করে সত্যি হিসাব মেলাতে পারিনা। অনেকে বলতে পারেন একজন পুলিশও আইনের লোক হয়ে ধর্ষন করে, অনেক অপরাধমূলক কাজ করে। হ্যাঁ করে পুরোপুরি একমত। কিন্তু সেও ভাবে অপরাধ করে মানুষের বানানো আইনের কাছ থেকে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু স্রষ্টার বানানো আইন ১০০% জেনে এবং এটা মাথায় রেখে যে সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে সর্বক্ষন দেখছে এবং উনার কাছে তাদের জবাব দিতে হবে ঐসব ধর্ম পুজারীরা কিভাবে অপরাধ করে? নাস্তিকদের চেয়েও উত্তম নাস্তিক আমার তাদেরকেই মনে হয়।


এবার আসি আমার ধর্মে। কোরন হাদীস প্রতিটি লাইনে লাইনে জেনে বুঝেও যখন দেখি কোন মাদ্রাসা কিংবা মসজিদের হুজুর কোন নারীও শিশুকে ধর্ষন কিংবা যৌন নির্যাতন করছে তখন সত্যি হিসাব মিলাতে পারিনা। অনেকে বলেন আমাদের দেশের মানুষজন আরবী বোঝেন না বলেই কোরান হাদীসের নিয়মগুলো পুরোপুরি জানতে পারে না এবং জানতে পারেনা বলে মানতেও পারেনা।

যখন সৌদি আরবের মতো আরবী মাতৃভাষা অধ্যষিত আল্লাহর রাসুলের দেশে আমাদের দেশের এবং বিভিন্ন দেশের নিরীহ মেয়েগুলোকে ধর্ষন এবং যৌন হয়রানি হতে হয় তখন সত্যি হিসাব মিলাতে পারিনা। ওখানে ইসলামিক শরীয়া আইন চলে । তবুও?? ওদের তো আমাদের মতো কোরান , হাদীসের নির্দেশনা বুঝতে অনুবাদ নামক জিনিসটার উপর নির্ভর করতে হয়না। অনেক হুজুররা বলেন আমাদের মেয়েরা মাহরাম ব্যতীত যায় তাইতো ধর্ষন হয়।
আমার উত্তর “ মহামান্য হুজুর, আমাদের নিরীহ অশিক্ষিত মেয়েরা পেটের জ্বালায়, সন্তানের মুখে দুবেলা খাবারের ব্যবস্হা করে দিতে কিংবা অসুস্হ বাবা-মা ভাইবোনের দারিদ্রতায় ভরা সংসারটাকে একটু সচ্ছল করতে নাহয় দুরুদুরু বুকে ঐ দেশগুলোতে যায়। কিন্তু জবাব দিন?


১- কেনো সৌদি আরব মাহরাম ব্যতীত কোন নারীকে একা হজ্জ্ব করতে ভিসা দেয়না?
২- কেনো একই সৌদি আরব মাহরাম ব্যতীত একা একটা নারীকে নারীকর্মী/গৃহকর্মীর ভিসা দিয়েই চলছে?
৩- শতভাগ ইসলামিক আইন কানুন মেনে চলা সৌদি আলেম ওলামারা কেনো এই ব্যাপারে কঠিনভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কিংবা সরকারকে বাঁধা প্রদান করছেন না?
৪- শতভাগ ইসলামিক আইন মেনে চলা আমাদের আলেম ওলামারা ( ধরুন আহমেদ শফী হুজুর) কেনো এই ব্যাপারে কোনদিন কোন কঠোর পদক্ষেপ নেন নি? মাহরাম ব্যতীত নারীদের বিদেশে পাঠানোর মতো জঘন্য(ইসলামিক) ব্যাপারে কেনো কোন বিশাল মিছিল কোনদিন করতে দেখনি?
৫- কেনো কোনদিন সৌদি আরবের কিংবা বাংলাদেশের কোন আলেম ওলামা কিংবা স্কলারদেরকে( কথায় কথায় যাদের মাথার টুপি এবং পায়জামা গরম হয়ে যায়) ঐ নারীগুলোর উপর শারিরীক নির্যাতনের বিচার চেয়ে কোন হুঙ্কার দিতে দেখিনি?


অনেকে বলেন আরে সৌদি আরব কি সঠিক ইসলামিক আইন মেনে চলা দেশ?...লুল লুল এবং লুল।... তবে কোনটা সঠিক ইসলামিক আইন মেনে চলা শান্তিময় দেশ? আচ্ছা সৌদির কথা বাদ দেন , আমাকে একটা ইসলামিক , হিন্দু , খ্রীষ্টান , বুদ্ধিস্ট কিংবা ইহুদী দেশের কিংবা সময়ের নাম বলেন যখন এবং যেখানে ১০০% ধর্মীয় আইন চলতো এবং ঐ দেশ কিংবা সময়ে মানুষগুলো খুব শান্তিতে ছিলো??? নারীদের অনেক মর্যাদা এবং অধিকার ছিলো। শিক্ষা-দীক্ষায় , জ্ঞানে-বিজ্ঞানে নারীরা যে কোন সময়ের চেয়ে অগ্রসর ছিলো।

( আজকের অফার- এক বক্স ফ্রুটিকা। কারন ফ্রুটিকা খাও সত্যি বলো)

আমি অতি সাধারন একজন মানুষ স্বল্পজ্ঞানে খুউব অল্পই বুঝি। তবু সত্যি হিসাব মিলাতে পারিনা সৃস্টিকর্তার বানানো আইনগুলো যদি এতো ধারালো হতো তাহলে ঐ ধর্মীয় আইনের কঠোর পুজারীরা কি করে নারী এবং শিশু নির্যাতন করেই চলছে করেই চলছে ঘরে বাইরে,মসজিদে মন্দিরে চার্চে প্যাগোডায় কোথাও বাদ নেই। নিজেরা তো করছেই অন্যরা করলে তাতেও তারা নিশ্চুপ। কিন্তু কেনো?

উত্তরটা মনে হয় ছোটবেলার হুজুরের ডায়লগটায় কিছুটা খুঁজে পাই” তোদের মধ্যে শয়তান ঢুকছে। আল্লাহর কালাম সামনে রেখে দুষ্টামি করিস। লাডিরে শয়তানেও ডরায়”
- এই লাঠি টা কি? যেটা নারীর জন্য ধর্মের বানী কিংবা ধর্মীয় আইনের চেয়েও শক্তিশালী? আমার কাছে ঐ লাঠি হলো:

১.খুব ছোটবেলা থেকে একটা নারীকে শারীরিক এবং মানুসিকভাবে অনেক মজবুতভাবে তৈরি করা।নারীর আগে সে যেনো নিজেকে একজন মুল্যবান মানুষ মনে করে।
২. শিক্ষার আলোতে প্রতিটি নারীকে আলোকিত করা।
৩.সমাজে মানুষের সৃষ্ট কঠোর আইন ব্যবস্হা প্রনয়ন করা
৪.পারিবারিক, সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নৈতিক শিক্ষায় একটা বাচ্চাকে ছোটবেলা থেকে অভ্যস্হ করে তোলা।
বাকীগুলো নাহয় আপানারাই বলেন?

লিখেছেন:ফাতিমা জান্নাত 

↑PREVIOUS-ধর্ম বিষয়ে আমার প্রশ্নগুলো 
দ্বিতীয়পর্ব

NEXT-পরিত্রাণ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ