সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

প্রিয় অভি দা

কথা ছিল এক সাথে হব হাতে থাকবে আলোর মসাল। দেখাবে দেখবো চিনাবে চিনবো। এই ভাবে চলে যেতে নেই। বকুল ফুলটাও গন্ধ দেয়না আর। প্রিয় অভি দা মনে আছে তোমার নাকি নিজে মিসে গেছো মহাকাশে বারবার তোমার হাঁসিটা পিড়া দেয় কিন্তু তুমি যে বলেছিলে এগিয়ে যেতে। আমরা কথা রাখতে পারছিনা কিনা জানিনা। তবুও কলম চলবে মুক্তির জন্য। হে আলোর দিসারী হে মহাকাল হে প্রিয় তুমি জানো মা মাটি এখনো কাঁদে। শুধু তোমার জন্য। প্রিয় অভি দা তোমার কাছ থেকে সব পেয়েছি কিভাবে ভালোবাসতে হয় মানুষকে অথচ শুকনেরা হত্যা খেলাই মেতে আছে। চারিদিকে তোমার শুন্যাতা মহাকাল জানে আলো জ্বলবে মহাকাল জানে কলম চলবে বিশ্বাসের মৃত্যু ঘটা না পর্যন্ত। তুমি শুবাস দাও বকুল ফুল হয়ে কলমের কালি হয়ে দাও শক্তি তুমি আমার অনুপ্রেরণা তোমার চিন্তা তোমার সৃষ্টি আমরা থামবোনা আমরা হাঁটবো তোমার পথে তোমার শক্তিতে। লিখেছেন : সজিব হোসেন ↑PREVIOUS-নাস্তিকের বাইবেল-THE ATHEISTS BIBLE  NEXT-রোহিঙ্গা আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ

রোহিঙ্গা অভিশাপ নাকি আশীর্বাদ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রচলিত একটা কথা হলো "বার্মা গেলে এবার কেউ আর বাঁচবে না "। এই কথা প্রথম কে বলেছিলো কিংবা রোহিঙ্গারা কিভাবে জানলো সেসব জানিনা। কেউ কোনোদিন খুজেও দেখেনি। তবে কেউ না কেউ তো কথাটা অবশ্যই ছড়িয়েছে। যাতে ওরা ভয়ে আর যেতে না চায়। যারা রোহিঙ্গাদেরকে শুধুমাত্র টিভিতে দেখেছেন আর পত্রিকায় কিছু কিছু হেডলাইন পড়েছেন তারা প্রশ্ন করতে পারেন কে আছে যে চায়না রোহিঙ্গারা ফেরৎ যাক? ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আমি বুঝেছি যে আসলে হাতে গোনা কিছু লোক বাদে ঐসব অঞ্চলের বাকি কেউই চায়না যে ওরা ফিরে যাক। নেতা,আমলা,কামলা, প্রশাসন এমনকি সাধারন জনগোষ্ঠীর বিশাল একটা অংশ যারা ইয়াবা চোরাচালান এবং ব্যবসার সাথে জড়িত ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এমনকি সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরাও চায়না যে ওরা ফিরে যাক। কারন তাহলে ক্লাস নিতে হবে। বসে বসে বেতন আর পাওয়া যাবেনা।সেদিন দেখলাম কিছু কিছু এনজিও কৃষি সরঞ্জামের নামে ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের হাতে তুলে দিচ্ছে দাঁ-বডি-কুড়াল সহ নানাবিধ দেশীয় অস্ত্র। কিন্তু পুলিশ শুধু মাত্র এসব জিনিস জব্দ করেছে কাউকে গ্রেফতার করা তো দূরে থাক ঐসব এনজিও গুলোর নাম পর্যন্ত বলে...

উমরের চুক্তি

উমরের চুক্তি উমরের (ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা) চুক্তি (ওমর চুক্তি , উমর সন্ধি বা উমর আইন হিসাবেও পরিচিত) সিরিয়া , মেসোপটেমিয়া এবং জেরুসালেমে মুসলমান শাসক এবং খ্রিস্টান এবং অন্যান্য বিধর্মী প্রজাদের মধ্যকার একটি অ-স্বাক্ষরিত চুক্তি যেটা পরবর্তীতে ইসলামী আইনশাস্ত্রে একটি আনুশাসনিক মর্যাদা অর্জন করে এবং বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত সাম্রাজ্যে প্রচলন করা হয়। চুক্তিতে অমুসলিমদের অধিকার (ধীম্মি) এবং বিধিনিষেধের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে – চুক্তিটির বিধি অনুসরণ করে এমন খ্রিস্টান বিশ্বাসীদের মুসলিম শাসক সুরক্ষা প্রদান করবেন নতুন গির্জা , উপাসনালয় , মঠ নির্মাণের এবং নতুন কক্ষ  সংযোজনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বিধর্মীদের নিজেদের এলাকায় কিংবা মুসলমানদের কোয়ার্টারে অবস্থিত ধ্বংস হওয়া গির্জাগুলি দিন বা রাতে পুনর্নির্মাণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা গির্জার উপর ক্রস ঝুলানোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিন বা রাত উভয় সময়েই যে কোনও মুসলমানদের গির্জার (আশ্রয়ের জন্য) প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে ঘণ্টা বা এক ধরণের গং (নাকোস) দ্বারা প্রার্থনার আহ্বানের শব্দের ভলিউম কম রাখতে হবে প্রার্থনা...

ধর্ম এবং লিঙ্গ বৈষম্য

পৃথিবীতে সাম্যের বাণী নিয়ে যুগে যুগে এসেছে ধর্ম। ধর্ম মানুষকে ভালোবাসতে উদ্বুদ্ধ করেছে। পৃথিবীর সকল ধর্মবিশ্বাসী মানুষ বিশ্বাস করেন যে একমাত্র তার ধর্মই সঠিক, অন্যসকল ধর্ম মিথ্যা। যদিও আজপর্যন্ত কোন ধর্ম বলে নাই তোমরা চুরি করো, অন্যায়ভাবে মানুষ খুন করো, অন্যের অধিকার হরণ করো। তবুও এই পৃথিবীতে ধর্মের নামেই সব থেকে বেশী রক্ত ঝরেছে। সে পাঠাবলি, নরবলি হোক আর ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ হোক ধর্মের নামেই ঝরেছে প্রাণ। অন্যধর্মের মানুষ হত্যা করে আপন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করো এরকম বাণী কোন ধর্মগ্রন্থের কোন পাতায় লেখা আছে কিনা তা আজপর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায় নাই। আসুন আমরা খুঁজে দেখি পৃথিবীর মানবতাবাদী ধর্মগুলোতে ট্রান্সজেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ সম্পর্কে কি বলা হয়েছে। ইব্রাহীমিয় ধর্মে--- মানুষ সৃষ্টি হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর বংশধরদের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে প্রচারিত ধর্মগুলোকে একসাথে বলা হয় ইব্রাহিমীয় ধর্ম। ইসলাম, খ্রিষ্ট ধর্ম, ইহুদি ধর্ম এগুলো সবই ইব্রাহিমীয় ধর্ম। প্রতিটি ইব্রাহিমীয় ধর্ম পুরুষ এবং নারী সৃষ্টির ব্যাপারে আদম এবং হাওয়া (ইভ) এর গল্প বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ প্রথমে ...

রাজনীতিবিদগন এবং ধর্ম

ধর্মীয়ান আর রাজনৈতিকদের নিষ্ঠুরতায় একদিন জীবন দিতে হয়েছিল সক্রেটিসকে। তার বিরুদ্ধে ধর্মীও নেতা আর রাজনীতিবিদদের অভিযোগের শেষ ছিলোনা। মৃত্যুদন্ডের পর বিষের পেয়ালা এনে দেওয়া হলো সক্রেটিসকে। বলা হলো, পান করুন। প্লেটোর লেখানীতে সক্রেটিসকে হত্যার কিছুটা বর্ণনা পাওয়া যায়।  সক্রেটিস বিষের পেয়ালা শান্তভাবে মুখে তুলে নিলেন। তারপর তাঁকে হাঁটতে বলা হল। তিনি সামনে একটু হাঁটলেন। একপর্যায়ে থেমে গেলেন। শরীর আর চলছে না। শুয়ে পড়লেন। মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার দায়িত্বরতরা চিমটি কাটলেন তার শরীরে। জানতে চাইলেন, টের পাচ্ছেন? জবাবে মাথা নাড়লেন।টের পাচ্ছেন না। শুধু তিনি বললেন, একজনের দেনা একটি মুরগি আছে। তা যেন শোধ করে দেওয়া হয়। আর কারো সঙ্গে দেওনাপাওনা নেই। তারপর সব শেষ। থেমে গেলেন তিনি চিরতরে। সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন একজন রাজনীতিবিদ। অভিযোগ,  সক্রেটিস যুবসমাজকে  বিপথে নিচ্ছেন এবং রাষ্ট্রস্বীকৃত দেবতাদের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছেন। তিনি রাষ্টের দুর্নীতি,  অনিয়ম সম্পর্কে তরুনদের সচেতন করছেন। তিনি রাষ্ট্রস্বীকৃত দেবতাদের ভুল প্রমান করে তাদের ভন্ডামি সবার সামনে তুলে ধরছেন। ...

সাপ্তাহিক ধর্মীয় ব্যাঙানিক প্রশ্ন ১ম পর্ব

এই ধর্মীয় ব্যাঙানিক প্রশ্ন গুলো শুধু ফেসবুক ভার্সন হিসাবেই থাকবে কেন?এরকম চিন্তা ভাবনা থেকেই এইসব পোস্ট গুলো ওয়েব ভার্সনে রেখে দেয়া। দাঁড়িপাল্লা ধমাধম নিজেও এরকম চিন্তা ভাবনায় কিছু কিছু পোস্ট ওয়েব ভার্সনে রেখেছিলো।কিন্তু উনার আতরের দোকানে কামলা দেয়াটা বেড়ে গেলো।লোকজনের গায়ে গতরে এত বেশি দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে আতরের কাস্টমার বাড়তে বাড়তে এমন অবস্থা দাঁড়িপাল্লা ধমাধম আর এই সব কাজের সময় পান না। আমি নিজে যেহেতু এখনো সেরকম ভাবে কামলা দিতে শুরু করি নাই এই সব কাজে একটু আগ্রহের খাতিরে করতে হচ্ছে। তবে আমারো যদি কামলা দেয়াটা বেড়ে যায় আর আবার ধরেন আমার আগ্রহও হারিয়ে গেলো তাহলে এইসব আর হয়তো করা হবে না। তবে যাই হোক যতদিন আগ্রহ থাকে আরকি। - শহীদুজ্জামান সরকার ।   Prithwiraj Sungsaptak জানেন কি, সেক্স হরমোন কমে যাবার ভয়ে কিছু লোক টাকনুর উপরে প্যান্ট বা পায়জামা পরে। প্রশ্ন হলো, এতো সেক্স হরমোন দিয়ে তারা কী করে? jashim uddin হুজুরগণ হুসেইনের শাহাদাতের ভরপুর ওয়াজ করেন কিন্তু ওমর, উসমান, অালী, হাসান এঁদের শাহাদাতের ওয়াজ করেন না কেন? অাল্লাহ প্র...

রোহিঙ্গা বাংলাদেশের আরো একটি সমস্যা

রোহিঙ্গা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য এক স্থায়ী সমস্যার নাম। এখনকার পরিস্থিতিতে এটাকে শুধু সমস্যা না বলে মহাবিপদ হিসেবেও আখ্যায়িত করা যায়। স্থায়ী সমস্যা বলছি কারণ, কেবল এখান থেকে দুই বছর আগেই এই সংকটের সূত্রপাত হয়নি। এটা বেশ পুরনো সমস্যা, এবং অতীতে বেশ কয়েকবার এমন ভাবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাড়া খেয়ে তারা বাংলাদেশে ঢুকেছে কিংবা পরিকল্পিতভাবে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যত রোহিঙ্গা অতীতে এসেছে, তাদের একজনকেও আমারা মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে পারিনি। দুই বছর আগে যখন রোহিঙ্গাদের জন্য বর্ডার উন্মুক্ত করে দেয়া হলো, তখন কিন্তু আমরা সকলেই জানতাম যে, এদের আর আমরা ফেরত পাঠাতে পারবোনা। একথা আপনার আমার মত সাধারন মানুষ যেমন জানতাম, আমাদের সরকার প্রশাসন, আমাদের বুদ্ধিজীবি কিংবা যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো আছে তারাও সবাই জানত। রোহিঙ্গা বিষয়ে মিয়ানমারের পরিকল্পনার কথাও আমরা জানতাম। দীর্ঘ সময় নিয়ে করা তাদের এই মাস্টারপ্ল্যান সম্পর্কে আমরা সম্যক অবহিত ছিলাম। তাহলে এত কিছু জেনে-শুনে-বুঝে রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা আমাদের বর্ডার উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম কেন? অনেকে বলবেন উন্মু...