সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

পীরের কেরামতি

ভণ্ড পীরের কথা বাদ, অরিজিনাল পীরের পানি পড়ায় যাদের বিশ্বাস নাই আল্লার কালামে তাদের বিশ্বাস নাই। আর আল্লার কালাম হচ্ছে সব চাইতে পাওয়ারফুল। পাওয়ারফুল মানে হলো ফুল পাওয়ার। যার অর্থ দুনিয়ার সব চাইতে ফুল পাওয়ার হলো গিয়ে আল্লার কালাম। দ্বীনের ভাইদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন, বলেন তো এই যে পারমাণবিক বোমার কথা বলে আমরিকা, সেই পারমাণবিক বোমার শক্তি বেশি না কি আল্লার একটা কালামের? -আল্লার কালামের হুজুর। -হ্যা, আল্লার কালামের। তো এই প্রসঙ্গে একটা ঘটনা বলি। একটা ছোট্ট ঘটনা। হুরহুরা শরিফ থেকে একজন পীরে কামেল আসছেন আমাদের দেশে। সবাই তার কাছে গিয়ে পানিপড়া নিচ্ছে। আর উনি একটু দূরে বসে সবাই কে পানিপড়া দিচ্ছেন। এক লোক বলল, হুজুর, আমার লোটার পানিতে একটু কাছ থেকে ফু দিয়ে দিন(লোটা মানে বদনা)। অত দূর থেকে দিলে এই পানিতে কি আপনার ফু লাগবে, হুজুর? পীরসাহেব বললেন, আসো, তুমি আমার কাছে আসো, ফু দিয়ে দিচ্ছি তোমার লোটায়। লোকটা তো বেজায় খুশি। পীরসাহেব সবাইকে দূর থেকে ফু দিচ্ছে, আর তারে দিবে কাছে থেকে। পীরের কাছে গিয়া বসল সে। লোটা বাড়িয়ে ধরল পীরের মুখের দিক। পীর ফু দিলেন। এমনি একটা কাণ্ড ঘটল.. কী ভাইস...

যাপিত জীবনে প্রভাব ধর্মের

দরজার ওপাশে এত জোরে ডাকাডাকি আর চিল্পাপাল্লাতে কাঁচা ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। বালিশের পাশে রাখা মোবাইলে দেখলাম ৪.২০বাজে। রাজ্যের সমস্ত চিন্তা,দুঃখ-হতাশা সারাদিনের না খাওয়া শরীর নিয়ে ঘুমিয়ে গেছিলাম যদি এইসব গুলোর একটা সমাধান হয়ে যায়। যখন পারস্পরিক বিষয় গুলোর সমাধান আসে না ঠিক তখনই আমি ঘুমিয়ে বা চুপ হয়ে যাই। এ যেন নিত্যদিনের একটা অভ্যেস হয়ে যাচ্ছে। দরজা খুলেই দেখি একজনের মাথায় বাদশাহী টুপি আর মুখ ভরা দাড়িতে, পাশের দুই জনেরও মাথায় টুপি কিন্তু এদের মুখে দাড়ি নেই। এদের তিন জনকেই আমি চিনি,প্রথমজন আমাদের বড় মসজিদের ইমাম,আর বাকী দুই জন  সেই মসজিদ কমিটিরই সদস্য! দরজার এপাশ থেকেই বললাম কি চাই? বাসায় তো কেউ নেই। -আপনি কি এই বাসার কেউ না? এটা বলতে বলতেই হাতে গুজে দিলো এক বাদশাহী ফরমান-নামা। " বাদশাহী ফরমাননামাটা আসলে সুন্দর কাগজে মুড়ে কম্পিউটার ফটোশপ দিয়ে টাইপ করা। এই খামটার উপরে লেখা দাওয়াত পত্র। খামটা খুলতে খুলতেই জিগাইলাম কার বিয়ে? একজন তো হেসেই ফেললো, বললো বিয়ে নয় আমরা একটা ইসলামী জলসার আয়োজন করেছি অবশ্যই আসবেন কিন্তু আর এই খামটা আপনার বাবাকে দেবেন। আমি তাদের পাল্টা জবাবে ব...

কুরআনের ভুল ও অযৌক্তিকতা-প্রথম পর্ব

কুরআনের ভুল ও অযৌক্তিকতা- সুরা ফাতিহা(সম্পূর্ণ একসাথে) সবার যৌক্তিক সমালোচনা,সংশোধনী আশা করছি! . প্রসঙ্গ:বিসমিল্লায় গলদ প্রশ্ন: ১.কুরআন আল্লাহর কথা হলে এটাও কি আল্লাহর কথা? নাকি এটা কুরআনের অংশই নয়? ২.এটা কি সুরা ফাতিহার অংশ নাকি অংশ নয়? ৩. আল্লাহ কি আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করেন? নাকি আল্লাহ তার আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করেন? ৪.দয়াময় ও পরম দয়ালু বলে কেউ কি নিজের ঢোল নিজে পেটায়? আল্লাহ এভাবে নিজের ঢোল পেটাচ্ছেন কেন? ৫.কেউ কথা বললে কি নিজের পরিচয় না দিয়েই বলে রহিম/করিমের নামে শুরু করছি? আল্লাহ কেন এমনভাবে নিজের পরিচয় না দিয়েই আল্লাহর নামে শুরু করছেন? ৬.এ আয়াতটি কুরআনের প্রথমে আসবে কেন? যখন আল্লাহ সুরা আলাকের মাধ্যমে কুরআন নাযিল শুরু করেছেন। বক্তৃতার মাঝে এসে কি কেউ বলে আমি শুরু করছি? ৭.সাধারণত কাউকে কিছু শিক্ষা দিলে,"বলো,পরম করুনাময়ের নামে শুরু করছি" এভাবে শিক্ষা দিতে হয়। এ আয়াত এভাবে নয় কেন? নাকি এটা নবীর কথা? ৮.আল্লাহ কে সে পরিচয় না দিয়েই তার নামে শুরু করলে তো প্রথমেই আপনাকে অন্ধবিশ্বাসী হতে হচ্ছে! না জেনেই কারো নামে প্রশংসা করা কতটা যৌক্তিক? ৯.যদি মেনে নিই দয়াময় ও পরম দয়...

ফেসবুকে বকরবকর

প্রতি বছর বইমেলা আসার আগে একটা চিন্তা মাথায় আসে ইস এবার যদি আমার কোন বই প্রকাশ হইতো? পরক্ষনেই মনে হয় এইসব কঠিন কর্ম আমার জন্য নয়। বই লেখে তো জ্ঞানী গুনি রা আমি যা পারি সেই লেখকের কঠোর সমালোচনা করতে। শুধু লেখকের লেখার তো একদমই নয়। কেননা আমি তো আসলে বই পড়ি না। আমি শুধু খোঁজ রাখি লেখক কার সাথে কতবার শুয়েছে? লেখক আমার ধর্ম, জাতীয়তা নিয়ে,আমার প্রিয় দল নিয়ে আমার এবং আমার পছন্দের জিনিস গুলো নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছে কিনা সেই সব বিষয় গুলো। আসলে দাদা আমি তো বই পড়ি না লেখার সমালোচনা কিভাবে করবো? তবে বই পড়া নিয়ে নিচের কয়েক লাইন পড়ে দেখা যেতে পারে। বই পড়া থেকে আনন্দ, বুদ্ধি ও সক্ষমতা অর্জিত হয়। বই পড়তে হয় একাকী এবং তাতে অবসর ভরে ওঠে নির্মল আনন্দে, বুদ্ধি আসে বইয়ের কথামালা থেকে, আর সক্ষমতা আসে গ্রন্থগত বিদ্যার সঙ্গে বিষয়বুদ্ধির সংশ্লেষে। একজন বিশেষজ্ঞ খুঁটিনাটি বিষয় ভালোভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারেন। তিনি তথ্য ও তত্ত্বে পারঙ্গম। তবে বই পড়ায় অত্যধিক সময় ব্যয় করলে শরীর-মনে আলসেমি ভর করতে পারে। বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মে মাত্রাতিরিক্ত ব্যাপৃত হলে মেকিত্ব তৈরি হতে পারে এবং অতিমাত্রায় নিয়মচর্চা ...

ধর্ম বিষয়ে আমার প্রশ্নগুলো চতুর্থপর্ব

আমি ফাতিমা জান্নাত বলছি। আমার দশম প্রশ্ন  ক)    একজন নারীর খোলামেলা পোষাক কিংবা জীবনযাপন দেখে কারো যৌন অনুভুতি জাগার কারনে ধর্ষন, হত্যা কিংবা ওগুলোকে সাপোর্ট করা কি ন্যায় সংগত? আজকে ছোট্ট একটা কুইজ দেই আপনাদের:    ১৫/১৬ বছর আগে কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়ার সময় চকরিয়া নামক জায়গায় জঙ্গলের ভেতর থেকে কে যেন আমাদের গাড়িতে কয়েকটা পাথর ছুরে মেরেছিল। ড্রাইভারের পাশের গ্লাসটা ফেটে গেলেও ভাগ্য ভালো কেও কোনও আঘাত পায়নি। লোকাল এক পুলিশের থেকে পরে জানতে পারলাম অল্প বয়সি বখাটে ছেলেপুলে জঙ্গলের ভেতর থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে গাড়িগুলোতে ঢিল মারে। কে কয়টা নিশানা লাগাতে পারে এটার উপর তারা নাকি টাকার বাজি ধরে। একবারও ভাবেনা পাথরের আঘাতে কেউ মারাও যেতে পারে। বখাটে ছেলেরা ওদের বখাটে অনুভূতি কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। পরিবেশ, পরিস্হিতিই ওদের এমন বানিয়েছে। আমরা ঐপথ দিয়ে গেলে ওরা তো পাথর মারবেই এতে ওদের কি দোষ?  খাবার সামনে দেখলে তো মাছি বসবেই। সিন্দুক খোলা থাকলে চুরি তো হবেই। তো এর সমাধান কি করা উচিত ছিল- ১)     ঐ একমাত্র হাইওয়ে দিয়ে আমাদের কক্সবাজার যাওয়াই ...

ইসলামও নুনুভুতি

কৃষ্ণকে লুচ্চা বললে অনুভূতিতে আঘাত লাগেনা। রামলীলা করেলো বললে অনুভূতিতে আঘাত লাগেনা। যিশু যে যিশু নয় ঈসা বললে অনুভূতিতে আঘাত লাগেনা। ইহুদি খ্রিষ্টান হিন্দু পাগল খারাপ হিন্দুরা গুরুর মুত খাই মূর্তি পুজা করে বললে তাদের অনুভূতিতে আঘাত লাগেনা। আঘাত যতসব মুসলমানদের বেলাই উগরে উগরে উঠে মুহাম্মদের জিবনী নিয়ে একটু আলোচনা করলে । মুহাম্মদ একাধারে রাজনীতিবিদ, শাসক, ধর্ষক, ডাকাত, লুচ্চ, বহুবিবাহ কারী দাসী ভোগ কারি এবং ইতিহাসের সেরা টকবাজ ছিল একথা বল্লে অনুভূতিতে আঘাত লেগে যায়। সত্য শুনতে কারো ভালো লাগেনা। সত্য হলো মুহাম্মদ নিজের ভায়ের মেয়ের সাথে বিয়ে করেছিল যার বয়স কিনা ছিল ৬। মুহাম্মদ তার চাচতো বোনের সাথে পরোকিয়া করতো লোকে ধরে ফেলাতে সে সেটাকে মিরাজ বলে চালিয়ে দেয়। সত্য হলো মুহাম্মদ যুদ্ধের ময়দানে কো ন প্রতিপক্ষকে হত্যা করতে পারলে তার স্ত্রী কে সেই রাতেই ভোগ করতো। মুহাম্মদ তার জামানায় কোন তার সমান কেউ হোক তাদের রাখতো না তাই সেকালে যেসব কবি গন কবিতা লিখতো চিত্রকর ছবি আকতো তাদের ধরে ধরে হত্যা করতো মুহাম্মদ। এগুলা সত্য সত্য বল্লে তো অনুভূতিতে আঘাত লাগবেই। নিজের বাপ দাদার ধর্ম ব্যবসকে ...

কোরাণে আল্লাহর মিথ্যাচার আবিষ্কার

কুমতলবী গোঁজামিলের তাফসীর দিয়ে সত্য ধামাচাপা দিতে মুমিনরা কি প্রস্তুত? পৌত্তলিক মুশরিকদের উপাস্য মূর্তি নাকি শোনে না, দেখে না, কোন কথার উত্তর দেয়না, উপাস্যের কোন উপকার বা অপকারেও আসেনা। তাহলে ঐ উপাস্য মূর্তি বা শয়তান আল্লাহর বান্দাদের ক্ষতি করে, পথভ্রষ্ট করে, জাহান্নামী করে বলা কি আল্লাহর মিথ্যাচার নয়? ১৯. সূরা মারইয়াম ৪২. যখন তিনি (ইবরাহীম) তার পিতাকে বললেন: হে আমার পিতা, যে (মূর্তি) শোনে না, দেখে না এবং তোমার কোন উপকারে আসে না, তার এবাদত কেন কর?  ২০. সূরা ত্বোয়া-হা ৮৯. তারা কি দেখে না যে, এটা (মূর্তি) তাদের কোন কথার উত্তর দেয় না এবং তাদের কোন ক্ষতি ও উপকার করার ক্ষমতাও রাখে না।   মূর্তি যদি শোনেনা, দেখেনা, কথা বলতে পারেনা, ভালোমন্দ কিছুই করার ক্ষমতা না থেকে থাকে, তাহলে কোরানে ০৬ঃ১৩৭ আয়াতটি কি মিথ্যা আয়াত? কোরানে এই 'মিথাচার' আয়াত ঢুকলো কীভাবে?  উপাস্য মূর্তি যদি শোনে না, দেখে না, কোন কথার উত্তর দেয়না তাহলে আল্লাহর ভাগ কীভাবে তার শরিক উপাস্যরা নিয়ে নেয়? আল্লাহর শরিক আছে তা ০৬ঃ১৩৬ আয়াতের মাধ্যমেই আল্লাহ স্বীকার করেই নিলো।   ...