সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রশ্ন করবার অধিকার কি জরুরী?

                          (  ১)   ধর্মীয়-মতাদর্শ এবং ধর্মভিত্তিক সমাজ কোন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে চায় না, চায় নিঃশর্ত আনুগত্য। স্থির ও বদ্ধচিন্তার জন্যে সেটাই স্বাভাবিক; নিস্তরঙ্গ পুকু‌রে ঢেউ ওঠেনা। সেকারণেই ধর্মজীবীরা আরোপ করতে চায় নানান শর্ত। এমনকি 'ধর্মানুভুতিতে আঘাত' নামের এক অলীক ধারনাকে দেয় প্রশ্রয়; অপরিণত মস্তিকের ছিঁচকাঁদুনে বালখিল্যতায় সেটাকে দেয় একটি আইনি রূপ। কিন্তু সমাজ তো নিস্তরঙ্গ পুকু‌র নয়, মানবিক একটি সমাজ চির বিকাশমান। কল্যাণকর ধারণাগুলোর প্রতিষ্ঠা এবং আরও শানিত করবার জন্যেই তাকে নিয়ত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সমাজ বিকাশের এই চলমান ধারায় যে সব চিন্তা বা কাজ সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম সেটাই প্রগতিশীলতা এবং সেই পরিবর্তনে যারা আস্থা রাখে এবং সেই ইতিবাচকতার পক্ষে শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করে, তারাই প্রগতিশীল। সমাজের বিকাশমান ধারাটিতে যাদের আস্থা নেই, চিন্তায় ও মননে যারা অতীতমুখী, যারা প্রগতির বিরোধী, তারাই প্রতিক্রিয়াশীল। -----------------------(২)--------------------------- ...

কৃষ্ণ লীলা কাহিনি এবং হিন্দু ধর্মের কিছু কথা

রাধা কৃষ্ণের লীলা নিয়ে সবাই জানি তবে এর পৌরাণিক আক্ষাণ বেশ মজার। রাধা কৃষ্ণ নিয়ে পড়ছিলাম. ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করি বিষয় গুলো  ছবি: শ্রীকৃষ্ণ  পদ্মপুরাণ এবং ভগবতের মতেঃ-   গোলকধামে কৃষ্ণের বামপাশ হতে রাধার উৎপত্তি  হয়েছিল। জন্মের পর পরই ইনি কৃষ্ণের আরাধনা শুরু করেন। ইনি উৎপত্তিকালে ১৬ বৎসরের নব-যৌবনারূপে কৃষ্ণের সিংহাসনের বামপাশে অবস্থান নেন। এই সময় রাধার লোমকূপ হতে লক্ষকোটি গোপিকা ও কৃষ্ণের লোমকূপ থেকে লক্ষকোটি গোপের জন্ম হয়। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের মতে:- একবার বিষ্ণু রম্যবনে প্রবেশ করে রমণ ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ফলে কৃষ্ণের ডান অংশ থেকে কৃষ্ণমূর্তি ও বাম অংশ থেকে রাধা মূর্তি প্রকাশ পায়। রাধা কৃষ্ণকে কামাতুর দেখে তাঁর দিকে অগ্রসর হন। রা অর্থ লাভ এবং ধা অর্থ ধাবমান। ইনি অগ্রসর হয়ে কৃষ্ণকে লাভ করেছিলেন বলে- এঁর নাম হয়েছিল রাধা। একবার কৃষ্ণ রাধার অজ্ঞাতে বিরজা নামক এক গোপীর সাথে মিলিত হন। দূতীদের মুখে রাধা এই সংবাদ পেয়ে অনুসন্ধানের জন্য অগ্রসর হলে- সুদামা কৃষ্ণকে উক্ত সংবাদ দেন। কৃষ্ণ এই সংবা...

কল্পিত অনুভূতি এবং একটি নাটক

কল্পিত আল্লার হুকুমে মানহানী মামলা হচ্ছে মানবিক আদালতে কল্পিত আল্লার পক্ষে। সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি মামলা হয়েছে একজন নারী বাউল শিল্পীর বিরুদ্ধে। উনার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তিনি কোন একটি পালা গানের বয়ান দিতে গিয়ে ইসলাম ধর্মের গড, আল্লাকে শয়তান বলেছেন। উনার কথায় প্রচুর যুক্তি আছে। সেটি ভিন্ন তর্কের বিষয়। কিন্তু বিষয়টি ৯৫% মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশের ধর্মানুভুতিতে আঘাত লেগেছে এবং একজন কুখ্যাত নাট্যকর্মী স্বপ্রনোদিত হয়ে মামলা করেছেন। ছবি:রিতা দেওয়ান ক্ষমা চাচ্ছেন  সেই মামলার ঘটনা নিয়েই আমার এই দুই পর্বের আলোচনা। এই মামলার বিবাদী একজন নারী বাউল শিল্পী এবং তার ধর্ম মতে সে তার কল্পিত আল্লার বান্দা, বাদীও সেই একই আল্লার বান্দা। বিবাদীর অপরাধ হলো তিনি তার কল্পিত আল্লার হুকুমে তার কল্পিত আল্লাকে কল্পিত শয়তান বলেছেন। এখানে আল্লা এবং শয়তান দুজনই কল্পিত চরিত্র। এদের দুজনার কোন বাস্তব অস্তিত্ব নাই। বিবাদী যা কিছু করেন তাও তার কল্পিত আল্লার বিধানের বিপরীত হলেও তিনি মানুষকে বাউল গানের মাধ্যমে সেই কল্পিত ধর্মের আধ্যাত্মিক জ্ঞান বিতরন করেন। বাদী একজন নাট্যকর্মী। তিনি যা কিছু করেন সবই ...

ধর্ম বিষয়ে আমার প্রশ্নগুলো ষষ্ঠ পর্ব

আমার ১৬তম প্রশ্ন.. ক)   একজন ধর্ম প্রচারকের লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে বলা কথাগুলোকে কি আমরা কখনো যাচাই করে দেখি? খ)   একজন ধর্ম প্রচারক যদি জেনেশুনে জনতার সাথে মিথ্যা কথা বলেন উনার সাথে কি করা উচিত? নীচের ভিডিও ক্লিপটিতে বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় আলেম/ ওয়াজী/ ইসলাম প্রচারক জনগনের সামনে কিছু বিজ্ঞান এবং ইসলাম বিষয়ক বক্তৃতা দিয়েছেন। ভিডিওটির প্রথম দুই মিনিটে উনি নাসার Space Center Houston ঘুরে দেখে উনার কিছু অভিজ্ঞতার কথা বর্ননা দিয়েছেন। উনার বর্ননা থেকে আমি পাঁচটা পয়েন্ট ভুল জানতে পেরেছি। যদি আমার জানা ভুল হয় আপনারা শুধরে দিবেন। কসম, খুশিমনে মেনে নিবো। আর যদি ঐ আলেমের জেনেশুনে বলা কথাগুলো ভুল এবং মিথ্যা হয় উনার মতো মানুষদের কি করা উচিত তার দায়িত্ব আপনাদের উপর রইলো। 1.উনি Houston কে স্টেট/ অঙ্গরাজ্য বলেছে এটা একটা ভুল কথা। Houston হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের Texas স্টেট/ অঙ্গরাজ্যের একটা শহর। যাইহোক ধরে নিলাম এটা বলার ভুল। আমাদেরও এরকম হয়ে থাকে। 2.উনি বলেছেন যে "গাড়ীতে" করে চাঁদে নীল আর্মষ্ট্রং নেমেছিলেন সেটা নাকি Houston এ আছে। কিন্তু আমি...

ধর্ম বিষয়ে আমার প্রশ্নগুলো চতুর্থ পর্ব

আমার এর আগের পর্বগুলো যদি মিস করে থাকেন। তাহলে এক্ষুনি পড়ে নিন।

ধর্ম বিষয়ে আমার প্রশ্ন গুলি পঞ্চম পর্ব

আমার ১২তম প্রশ্ন। ক) একটি মেয়ে সন্তান কিংবা একজন নারীকে নিয়ে কি কেউ স্বপ্ন দেখে? খ) একজন নারীর স্বপ্ন পূরনে একটা পরিবার, সমাজ, কিংবা রাষ্ট্র কতটুকু সহযোগিতা করে? গ) ধর্মগ্রন্থগুলোতে একজন নারীর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কি কি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? আমি যে দেশটায় থাকি ওখানে কোনদিন কোন নারী প্রেসিডেন্ট হয়নি। ব্যাপারটা নিয়ে অনেকে আফসোস করে, কেউবা অবাক হয় আবার কেউ কেউ একজন নারীর অতো যোগ্যতা নেই বলে ব্যঙ্গ করে। আবার আশাবাদী মানুষও আছে যারা বলে আজ না হোক খুব শীঘ্রই হবে। একদিন এক ফ্রেন্ডের সাথে গল্প করার সময় বলেই বসলাম “ Dont worry, my daughter will be the first female President of this country”। কথাটা হজম করতে সবার কষ্ট হচ্ছে তাইনা? আমারও হয়েছিলো। কিন্তু আমি একজন মা তো। আর দশজন মায়ের মতো সন্তানকে নিয়ে নাহয় একটু বেশীবেশীই বলে ফেললাম। সত্যি কথা বলতে কি আমার মেয়ে বড়ো হয়ে কি হবে ওটা সম্পূর্ন তার উপর। সে যদি কোন সায়েন্টিস্ট হতে চায় তার ইচ্ছা। যদি সে এ্যাথলেট হতে চায় তার ইচ্ছা। যদি সে রাজনীতিবিদ হতে চায় তার ইচ্ছা। সে যদি ব্যবসায়ী হতে চায় তার ইচ্ছা যদি টিভি মিডিয়ায় কাজ করত...

স্তন কর কি এবং কেন?

স্তন কর কি এবং জানতে নিচের ভিডিওটা দেখতে পারেন। মূলতঃ দক্ষিণ ভারতের নিম্ন-বর্ণের হিন্দু মহিলারা গায়ে বিশেষ করে বুকের ওপর কোন কাপড় পরিধান করতে পারতো না। তাদের স্তনকে উন্মূক্ত রাখতে হতো সবসময়। আর যদি তাদের বুকের ওপর কোন কাপড় পরিধান করতে ইচ্ছা পোষণ করতো তবে তাদেরকে স্তন কর বা ব্রেষ্ট ট্যাক্স প্রদান করতে হতো। এই রকম একটি আইন বা নিয়ম উনিশ শতকের প্রথম দিকে দক্ষিণ ভারতে চালু ছিল। আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য অনেক নিম্ন-বর্ণের হিন্দু মহিলা অনেকটা বাধ্য হয়েই এই বর্ণ ভিত্তিক স্তন কর বা ব্রেষ্ট ট্যাক্স প্রদান করতো। স্তন কর বা ব্রেষ্ট ট্যাক্সের ধরণ কেমন ছিল? যেসব নিম্ন-বর্ণের হিন্দু মহিলার স্তন ছোট ছিল তাদেরকে অল্প কর বা অল্প ট্যাক্স প্রদান করতে হতো। কিন্তু সমস্যা ছিল ঐ সমস্ত মহিলাদের যাদের স্তনের আকার ছিল বড়। তাদের বড় আকারের স্তনের জন্য বেশি পরিমাণ কর বা ট্যাক্স প্রদান করতে বাধ্য করা হতো। এই আইন কী সবার জন্য প্রযোজ্য ছিল? এই আইন সব হিন্দু মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য ছিল না। যারা উচ-বর্ণের ব্রাহ্মণ শ্রেণির মহিলা ছিল তাদের এই কর বা ট্যাক্স দিতে হতো না এবং তারা বুকের ওপর কাপড় পরি...

ইবলিশ কি একজন জীন নাকি একজন ফেরেস্তা?

ইবলিশ কি একজন জীন নাকি শয়তান?এই বিষয়ে কোরানের কিছু আয়াত বিশ্লেষণ করলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে।যেহেতু ইবলিশ এর বিষয়টা কোরান থেকেই এসেছে সেহেতু একটু বিশ্লেষণ করেই দেখা যাক। ইবলিশ শয়তান এর কাল্পনিক ছবি      কোরানের ছয়টি সূরার বিভিন্ন আয়াতে ইবলীসকে একজন ফেরেশতা বলা হয়েছে, শুধুমাত্র ১৮ঃ৫০ আয়াতে বলা হয়েছে ইবলীস ফেরেশতাদলভুক্ত একজন জিন। জিন প্রমোশন পেয়ে ফেরেশতা হতে পারলে, মানুষও প্রমোশন পেয়ে ফেরেশতা হবার সুযোগ থাকার কথা। ফেরেশারাও ডিমোশন পেয়ে জিন বা মানুষ হতে পারে। আল্লাহর নিজেরও প্রমোশন ডিমোশন থাকার কথা, বিদ্রোহে ক্ষমতাচ্যুত হবার কথা। আল্লাহ নিজেই নিজের কোরান বিতর্কিত করার এমন অনেক আয়াত কোরানেই রেখে দিয়েছে। কিছু কিছু বিষয়ে কোরানের একেক সূরায় একেক কথা বলা হয়েছে। আল্লাহর দাবী অনুযায়ী তার আয়াত ফল দিচ্ছেনা, অর্থাৎ আল্লাহর ওয়াদা অকার্যকর। ধর্মব্যবসায়ী বাটপার মোল্লারা আল্লাহর কোরানে এসব বিতর্কিত, ভুল ও মিথ্যাচার আয়াতে বিপদ বুঝতে পেরে গাঁজাখুরি গোলমেলে গোঁজামিল দিয়ে কুমতলবী তাফসির করে সত্য ধামাচাপা দিতে চেয়ে আল্লাহর ভুয়া সৃষ্টিকর্তার পরিচয়টা আড়াল করার অপচেষ্টা করেছে। আল্ল...