সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

গোঁজমিল গ্রান্থে ভুল প্রমানিত

সম্প্রতি দুবাইয়ের এই কৃত্রিম বৃষ্টিপাত আবারো প্রমাণ করল কোরআন ভুল এবং মানুষ রচিত।কোরআনের আয়াত আরো একবার মিথ্যা প্রমাণিত হলো। কোরআনের আয়াতগুলো দেখে নেওয়া যাক। সূরা আল-ওয়াকিয়াহ (الواقعة), আয়াত: ৬৮ أَفَرَءَيْتُمُ ٱلْمَآءَ ٱلَّذِى تَشْرَبُونَ অর্থঃ তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি? সূরা আল-ওয়াকিয়াহ (الواقعة), আয়াত: ৬৯ ءَأَنتُمْ أَنزَلْتُمُوهُ مِنَ ٱلْمُزْنِ أَمْ نَحْنُ ٱلْمُنزِلُونَ অর্থঃ তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি বর্ষন করি? সূরা আল-ওয়াকিয়াহ (الواقعة), আয়াত: ৭০ لَوْ نَشَآءُ جَعَلْنَٰهُ أُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُونَ অর্থঃ আমি ইচ্ছা করলে তাকে লোনা করে দিতে পারি, অতঃপর তোমরা কেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না? ''তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি বর্ষন করি?'' কতো হাস্যকর ব্যাপার!কুরআনের এই আয়াত কিনা ভুল প্রমাণ করলো একটা মুসলিম রাষ্ট্র!  আরো একটা আয়াত নিচে দিচ্ছি। সূরা লোক্‌মান (لقمان), আয়াত: ৩৪ إِنَّ ٱللَّهَ عِندَهُۥ عِلْمُ ٱلسَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ ٱلْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِى ٱلْأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِى نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِى ن...

ফারাও ফেরাউন ছবি ও অনন্য

ফেরআউন বা ফিরআউন-এসব একক কোনো ব্যক্তির নাম নয়। যুগ যুগ ধরে প্রাচীন মিসরকে রাজত্ব করা শাসকদের নাম তারা ‘ফারাও’ হিসেবে পরিচিত। প্রাচীন মিসরীয় বিভিন্ন সভ্যতায় তাদের স্থিতি ছিল। ফেরাউনের নাম শোনোনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বাংলাদেশের কেউ কারো প্রতি জুলম করলে নির্যাতনকারীকে ‘ফেরাউন’র সঙ্গে তুলনা করা হয়। কারো ঔদ্ধত্য প্রকাশ পেলে তাকেও ফেরাউনের কথা বলে সমোদ্ধন করা হয়। পিরামিডের কারণেও তারা বিখ্যাত। প্রগৈতিহাস সময় কালে ফারাও বা ফেরআউনরা এসব নির্মাণ করেছিল। এখানে সংক্ষেপে ফেরাউনদের পরিচয় তুলে ধরা হলো (ক.) আমালেকা জাতির রাজার খেতাব ছিল ফেরাউন।খ. মিশরের অধিবাসী কিবতীদের রাজার খেতাবও ছিল ফেরাউন।(গ.)মুসা নবীর সময়ের (কিবতীদের শাসক) ফিরাউনের নাম নিয়ে মতভেদ রয়েছে-১. মুসা এমন এক ফেরাউনের আমলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন- যিনি রামেসিস ও পিথম নগরী নির্মাণ করেন। সে-ই হচ্ছেন দ্বিতীয় রামেসিস।২. কেউ কেউ বলেন মুসা মাদিয়ানে অবস্থানকালে ক্ষমতাসীন ফেরাউনের (অর্থাৎ দ্বিতীয় রামেসিসের) মৃত্যু ঘটে এবং মুসার জীবনের পরবর্তী ঘটনাবলী সংঘটিত হয় দ্বিতীয় রামেসিসের উত্তরাধিকারী মারনেপতাহর রাজত্বকালে। নিচে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন...

করোনা, গুজব ও মোল্লা

ছোটবেলা থেকে একটা জিনিস শিখে এসেছি আমাদের সমাজের সবচেয়ে গণ্যমান্য সম্মানীয় ব্যাক্তিবর্গ হলেন সামাজের আলেমগন। তাদের সাফেদ পাঞ্জাবি সাদা লাল লম্বা লম্বা দাঁড়ি পথের মদ্ধে কাউকে দেখলে সালাম পাওয়ার একমাত্র যোগ্য তাদেরি থেকে থাকে। সমাজ রাষ্ট্রে এদের যে কারো মতামতকে প্রধান্য দেওয়া হয় নির্রদ্বীধায়। বিচার আচার কিংবা সালিসে তাদের মতমতাকে মেনে নেয় এক কথাই। বলা যায় আইন শাষন থাকার পরেও পুলিসের ওসি পর্যন্ত আলেমের সাফেদ দাঁড়ি ওলার কথা মেনে নেয় এক বাক্যে। এদেশে সমাজে প্রচলনি তেমনটা আছে যে গণ্যমান্য ব্যাক্তি কখনো ভুল বলেনা তাদের ধর্মীও জ্ঞান বেসী থাকাই তাদের কথা মানা আমাদের জন্য মঙ্গল জনক। কোন কোন সময় তো দেশের প্রধানমন্ত্রী বা সংসদের কর্মকতার ডাকে সাড়া না পেলেও এই আলেম সমাজের ডাকে সাড়া দিয়ে অনেকে রাজপথে নামে গুলি খাই জিবন দিয়ে দেয় এগুলা স্রেফ আবেগের কারনে, মোহের কারনে। কিন্তু আমাদের আলেম সমাজ তথা সাফেদ দাঁড়ি ওলা ব্যাক্তিগন এই ক্ষমতার সত ব্যাবহার করার থেকে ক্ষমতাকে অপব্যবহার আর উপভোগই বেসি করে। করোনা ঘটিত দূযোগে যখন প্রতিনিয়ত মানুষ মারা যাচ্ছে তখন এদেশের শীত কালিন সিজেনাল কুত্তার মতো ঘেউ করতে থাকা এই শ্...

Education Business

আইনস্টাইন একাবার বলেছিলেন 'জ্ঞানের চেয়ে বেসি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কল্পনাশক্তি। তিনি শিক্ষার উদ্দেশ্য হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন প্রত্যেক ব্যাক্তির মধ্যে যে অন্তর্নিহিত সৃজনী ক্ষমতা কল্পনাশক্তি ও সুপ্ত প্রতিভা থাকে তার বিকাশ ঘটা। আইনস্টাইন যে ধরনের শিক্ষাব্যাবস্থা, অবকাঠামো, দক্ষ শিক্ষক ও প্রযোজন বোধ করেছিলেন তা আমাদের নেই, সেই কথা বলাই বাহুল্য। ব্রিটিস ঔপনিবেসিক সরকার কেরানি তৈরির জন্য যে শিক্ষাব্যাবস্থার প্রচলন করেছিলেন সেই শিক্ষাব্যাবস্থা ও দর্শন আমাদের এখনো কায়েম আছে। বিশ শতাব্দীর প্রভাবশালী দার্শনিক মিশেল ফুকোর বিশ্লেসণ অনুযায়ী, বিদ্যালয়, সামরিক বাহিনী এবং কারাগার হলো বর্তমান সমাজের ও রাস্ট্রের কেন্দ্রীয় সংগঠন। এবং এসব সমাজ ও রাষ্ট্রে সংগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ব্যাক্তির ওপর নজরদারি চালানো এবং তাকে দাস বানিয়ে রাখা। এসব প্রতিষ্টানের সহযোগীতায় প্রচলিত শিক্ষার যান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভয় দেখিয়ে মানুষের বা বাক্তির সৃজনীশক্তি নিঃশেষিত করা এবং তার দেহ এবং চিন্তা চেতনাকে পোষ মানানো। আর এই ভাবে রাষ্ট্র সংগঠন অধিকাংশ ব্যাক্তি হয়ে উঠে রাষ্ট্রের একান্ত বাধ্যগত প্রজা-যা রাষ্ট্রচালকদের খুব...

গনতন্ত্র বনাম সেনাতন্ত্র

মিয়ানমারে মানুষ মরছে গনতন্ত্রের জন্য এরকম সারা পৃথীবিতে মরছে মানুষ। কোথাও গনতন্ত্র কোথাও রাজতন্ত্র আবার কোথাও কথিত সমাজতন্ত্রের নামে। মরছে কিন্তু সেই মানুষগুলোই। খবরের কাগজে দেখাচ্ছে মিয়ানমারে ৩৮ জন মানুষ মরছে সামরিক শাষকের হাতে। কিন্তু আসল খবর কি কেউ জানে? সেনাবাহিনী কি সেই খবর বাইরে আসতে দেয় নাকি কৌশলে যা ঘটছে তার নমুনার খবর প্রকাশ করে। আমি ঠিক জানিনা মিয়ানমারে কবে নাগাত গনতন্ত্র আসবে। গনতন্ত আসলেও কি সে দেশের মানুষের মুক্তি ঘটবে। বলেই রাখা ভালো স্বাধীনতা আর মুক্তি একই ব্যাপার না। যাই হোক একটা নিউজে দেখলাম মিয়ামারের সেনাবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বরতা দিয়ে বলছে তারা সকল অন্তর্জাতিক চাপ সহ্য করেছে যা তারা এখনো পারবে। মূলোতো চীনের সমর্থনে এসব বলছে সাথে রাশিয়াও আছে। তাহলে সব অন্তর্জাতিক চাপ টাফ এসব ভুয়া। আসল কথায় একটু পানি ছিটিয়ে দেখি বার্মায় যে মানুষ মরছে তারা কারা সেনাবাহিনী অস্ত্র গোলাবারুদ রসদ খাদ্য কোথা থেকে পাচ্ছে কিসের জোরে তারা কারো কাছে নত হচ্ছে না। চীন সময়মতো মিয়ানমারে জলবিদ্যুৎ, তেল, গ্যাস, খনিজ ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রায় ৬২টি প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে।’ চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্...

ক্যালেন্ডার বছরের হুবুহু পুনরাবৃত্তি

প্রায়ই কোন ইন্টারেস্টিং কিন্তু অসম্পূর্ণ, ডাটা বা তথ্যের ভিত্তিতে, কিছু অদ্ভুত দাবী ও সিদ্ধান্ত দেখি। আর বেশিরভাগ মানুষও কিছু শোনার পর, নিজে আর চিন্তা করতে পছন্দ করছে না ইদানীং। অবশ্য চিন্তা করলেই যে, ইন্সটান্ট কিছু টাকা পকেটে ঢুকে যায় এমন নয়, বরং ইন্সট্যান্ট শেয়ার, রিয়াক্টের মাধ্যমেই কিছু সোশিয়াল ক্যাপিটাল দেওয়া-নেওয়ার সুযোগ থাকে, তাই হয়ত, চিন্তার চেয়ে রিয়েকশনের প্রবণতাটা বেশি থাকে । . প্রতিবছর এই সময়টায়, পরবর্তী বছর নিয়ে অনেক আশাবাদ, ভবিষ্যৎবানী, অথবা ক্যালেন্ডার বিষয়ক কিছু কৌতুহল পুর্ন অবজার্ভেশন বের হয়ে আসে। এবার ক্যালেন্ডার বিষয়ক, যে অবজারভেশনটি মার্কেটে এসেছে, সেটা হচ্ছে, ১৯৭১ সালের ক্যালেন্ডার হুবুহু ২০২১ সালে রিপিট হতে যাচ্ছে। Science Bee Family গ্রুপের একটি পাবলিক পোস্ট- Science Bee Family এছাড়া আলাদাভাবেও বেশ কয়েকজন শেয়ার করছে সেইম ব্যাপারটা। . বাংগালীর ইতিহাসে, ১৯৭১ একটি বিশেষ বছর। তাই অনেকেই আকাশ থেকে পড়ছেন এটা দেখে। রিয়াকশন কিছুটা, এটা কিভাবে সম্ভব হয়ে গেলো ? হুবুহু সেম ক্যালেন্ডারের তথ্যটি সঠিক, তবে কিভাবে সম্ভব হলো বুঝতে বা বুঝাতে গিয়ে, অনেকেই কিছু ভুল সিদ্ধান্তে উপনিত...

আমরা স্বপ্ন কেন দেখি?

এক সন্ধ্যায় আমি একটা অদ্ভুত রকমের স্বপ্ন দেখি। স্বপ্নটি ছিলো রোমাঞ্চকর। বলে রাখা ভালো আমি অনেক দিন কোন স্বপ্ন দেখিনি। শেষ কবে স্বপ্ন দেখেছিলাম আমার ঠিক মনে নেই। স্বপ্নের মধ্যেই আমি বিচরণ করি অন্য রকম একটি জগতে যে জগতটা আমি কখনোই বাস্তবে দেখিনি। আমি এক অরণ্যে বিচরণ করতেছি। রাস্তার দুই পাশে সারি সারি গাছ আমি উদ্দাম এর মতো সে রাস্তা ধরে চলতেছি।। যেতে যেতে একটি উচু পাহাড়ে উঠে পড়েছি। একসময় দেখতেছি সেই উচু পাহাড় থেকে আমি নিচে পড়ে যাচ্ছি। আমি তলিয়ে যাচ্ছি নিম্ন থেকে নিম্নতরে.... ঠিক সেই মহুর্তেই আমার ঘুম ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু স্বপ্নের সেই অদ্ভুত রেশ আমার মনে দারুন দাগ কেটে গেছে। মনের মধ্যে অন্য রকম রোমান্স এর জন্ম দিয়েছে। এরকম স্বপ্ন হয়তো আপনারও দেখেন। এই স্বপ্ন নিয়ে স্বপ্নের বিভিন্ন রকম বিষয় নিয়েই আজকের এই ফিচার। স্বপ্ন নিয়ে গবেষকরা কি বলছেন আমরা এই ফিচারটি জেনে নিবো। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই স্বপ্ন সম্পর্কিত কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা- ১- সাইকোলজিদের মতে আপনার যদি রাত্রে অনিদ্রা হয় তার মানে আপনি হয়ত অন্য কারো স্বপ্নে জীবিত ছিলেন। মানে আপনাকে নিয়ে হয়তো কেউ স্বপ্ন দ...