সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

যেখানে জিতে যায় একজন....

আমাদের সেই নবযৌবনা বট গাছটা বুড়ো হয়ে গেছে জানো। যে গাছটাতে আমি তুমি নিজেদের অজান্তেই প্রতিনিয়ত ভালোবাসা আর প্রেম দিয়ে আগলে রাখতাম সেই বট গাছটা। তারপর কি হলো একদিন ঝড় এলো প্রচন্ড বাতাসে আমি গাছের গোড়ায় বসেই আছি ওদিকে তুমি ফল খেতে আসা পাখির প্রেমে পড়ে গেছো। ঝড় থেমে যাবার পর তুমি যখন বুঝলে পাখি শুধু ফল খেতে এসেছিলো তখন তুমি আমাকে খুজতে বেরিয়ে পড়লে তেপান্তর। ততদিনে আমি গ্রামের রাস্তার ধুলার সাথে মিসে গেছি। তুমি হইতো তোমার কাছে রাখা গচ্ছিত ভালোবাসার শেষ টুকুও ফুরিয়ে ফেলেছো। আর এদিকে আমার রক্ত কনাতে ভালোবাসা ছাড়িয়ে বিষ হয়ে গেছে।  এই যে দেখো তুমি এখনো আমাদের বট গাছটাকে নবযৌবনা ভাবো অথচ সে আমাকে বলেছে তার সময় শেষ। তার সাথে আমাকেও নিয়ে যাবে বলে জেদ ধরে আছে। তুমি যখন বট গাছের পাশ দিয়ে চলা ধুলোর পথে ফল খেতে আসা পাখির সাথে মানের আনন্দ নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলে তখন বটবৃক্ষ আমাকে জোর করে চুক্তি করিয়ে নিয়েছে যে তোমার চটিজুতার ধুলা হয়ে থাকতে। তুমি আবার এসেছো চুক্তি করতে সন্ধি করতে জিবনের উচ্চ শিখরে পৌছাতে। এদিকে আমি আমার চুক্তির শর্ত পুরোন করার জন্য তিব্রতা বোধ করছি। তুমি জানো ফল খেতে হইতো এখনো অনেক ফিঙ...

বাংলাদেশের দুর্গাপুজায় হামলা একটি প্রি-প্লাণ কেন?

খেয়াল করুন, চাঁদপুরে যারা হিন্দু বাড়িতে হামলা করেছে তারা আগে আজান দিয়েছে। তারপর সেখানে তারা হামলা চালায়। জীবন্ত আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিতেই সেদিন বাড়িঘরে আগুন জ্বালায়। এটি কিন্তু একশত ভাগ ইসলামী তড়িকায় ঘটেছে। মদিনায় ইহুদীদে পল্লীগুলিতে অতর্কিত হামলা চালানোর সময়ও এভাবে আজান দেয়া হতো। অথচ এখন একদল মাওলানা বেরিয়েছে তারা বলছে হিন্দুদের পুজায় হামলা চালানো নবীজির আদর্শের বরখেলাফ! এক গ্রুপ হামলা চলাবে আরেক গ্রুপ এসে বলবে, এসব তো শান্তির ধর্ম অনুমোদন করে না! তাকিয়াবাজ মাওলানারা মাঠে নেমে গেছে। ইসলামে এটা নেই, ওটা নেই বলছে আর সেসব ইসলাম না জানা মডারেট মুসলমানরা শেয়ার করছে। এইসব তাকিয়াবাজ মোল্লারা কিন্তু জানেন আনাস ইবনে মালিক স্বয়ং বর্ণনা করেছেন, ‘আমরা খায়বারে পৌঁছে দেখতে পেলাম সকাল বেলা খাইবারের শ্রমিকরা (ইহুদীরা) কোদাল ও ঝুড়ি নিয়ে দিনের কাজে বেরুচ্ছিল। রাসূলুল্লাহ ও তাঁর বাহিনিকে দেখে তারা সবিস্ময়ে বলে উঠলো, “সর্বনাশ! মুহাম্মাদ তার বাহিনীসহ হাজির হয়েছে দেখছি”- বলেই তারা পালিয়ে পেছনে ফিরে যেতে লাগলো। সে দৃশ্য দেখে রাসূলুল্লাহ বললেন, “আল্লাহু আকবার! খাইবারের পতন ঘটেছে। আমরা...

এক ‘মানবতাবাদী নিরপেক্ষ মুসলমানিত্ববাদী’ মিডিয়া কর্মীর সঙ্গে আলাপ

-দেখলেন মুসলমানরা কি বোকা, কেমন করে হিন্দুত্ববাদীদের ফাঁদে পা দিলো! মাঝখান থেকে তাদের চারজন ছেলে শহীদ হলো! -বলছেন হনুমানের পায়ের কাছে কুরআন রাখা পুরোটাই হিন্দুত্ববাদীদের কাজ? এটা করে তারাই মুসলমানদের উত্তেজিত করে দিয়েছে? -এই সহজ জিনিসটুকু না বুঝলে এই ইস্যুতে আপনাদের কথা না বলাই ভালো বুঝলেন? এখানে মৌলবাদ দেখাতে পারলে ভারতে মোদি অমিত শাহদের লাভ। -তাহলে তো ভাই নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহও আহমদ শফি, জামাত ইসলাম, চরমোনাই পীরদের হাতে তৈরি? ভারতের ইস্যু ছাড়া কি বাইতুল মোকারর থেকে কোন উত্তেজিত মিছিল বের করা সম্ভব? চীন যে কুরআন নিষিদ্ধ করল, মুসলমাদের মসজিদ গুড়িয়ে দিয়ে পাবলিক টয়লেট বানালো সেটা নিয়ে ইসলামবাদীদের তো আন্দোলন হয় না। তার মানে ভারতে যে গরুর মাংস খেলে উত্তর প্রদেশে কিছু ঘটনা ঘটেছে তার পিছনে বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনকারীদের গভীর হাত রয়েছে? -হা হা ভাই, এই জন্য তো বললাম, এই ইস্যুতে আপনাদের কথা না বলাই ভালো যদি সাধারণ জিনিসগুলি না বুঝেন। -আমি বুঝতে চাই ভাই। ভারতের ষড়যন্ত্রের বিষয়টা বুঝতে চাই। বুঝতে চাই তসলিমা নাসরিনকে আপনারা বলেন উনি বিজেপির টাকা খেয়ে লজ্জ্বা উপন্যাস লিখেছিলেন যাতে...

ধর্মকর্ম গোল্লাই যাক

ধর্মকর্ম গোল্লাই যাক ওসব নিয়ে আর লিখব না। এখন গাছ নিয়ে লিখব। গাছ একটা প্রযোজনীও উদ্ভিদ যা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অক্রিজেন দেয়। খাদ্য দেয় ছায়া দেয়। বেসি করে গাছ লাগাতে হবে। নইতো দেশটা মরুভূমিতে পরিনতি হবে। -হোক মরুভূমি। মরুভূমির দেশে আখেরি নবি বিশ্বনবী জন্মেছিল। মরুভূমি আমাদের ইসলামের আংশ আমাদের সুন্নত। বেসি কথা বল্লে কল্লা ফেলে দেবো। তাহলে চাঁদ নিয়ে লিখব। কি সুন্দর অপরূপ চাঁদ রাতের আকাশে দেখলেই মন জুড়িয়ে যায়। তাছাড়া চাঁদের বিষয়ে বিজ্ঞানিরা এখন অনেক তথ্যা দিয়েছে। কিছু বছর আগে নাসার বিজ্ঞানিরা চন্দ্রবিজয়ও করেছে। -হ্যাঁ তারা কিছু দিন আগে চন্দ্রবিজয় করেছে।  কিন্তু আখেরি নবী ১৪০০ বছর আগে চাঁদকে দুই ভাগে ভাগ করে আবার জোড়া লাগিয়েছে। তাছাড়া তিনি বোরাকে করে চাঁদে, সাত আসমানে সব জাগায় ঘুরে এসেছে। কি ঠিক তো? নয়ত চাপাতি আর কল্লা বুঝলে এটাই আসল ইসলাম। তবে আর কি! আমি কবিতা লিখব। প্রেমের কবিতা,কষ্টের কবিতা,হাসির কবিতা,বড়দের ছোটদের নানা রঙের কবিতা। -হারাম হারাম হারাম কবিতা হারাম। কবিতা লেখার অধিকার আছে একমাত্র বিশ্বকবি কুরআনের পাখি নবি মুহাম্মদের। কবিতা লেখা যাবে না। কবিতা লেখলে কল্লা ফেলে দেবো। ...

দৈনিক বিদ্বেষ

গত ৩ই সেপ্টেম্বর জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের একটা খবরে দেখলাম শিরোনাম করেছে "অপূর্বর সাবেক স্ত্রীর বিয়ে"। বিষয়টা ভালো করে বুঝেন। একটা মানুষ একটা মেয়ে বিয়ে করছে সেখানে তাকে খবরের শিরোনাম হতে হয়েছে নিজের নামে নয় বরং ২ বছর আগে ডিবোর্স নেওয়া অপূর্বরের নামে। এই থেকে কি বোঝা যায় একটু ব্যাখা করুন তো! পিতৃতান্ত্রিক সমাজে পিতার পরিচয়ে খুব গুরুত্বপূর্ন। মায়ের নিজের কোন পরিচয় থাকতে নেই। কন্যারা তারা পুরুষের কন্যা, পুরুষের বোন পুরুষের স্ত্রী, পুরুষের মা, এ-ই তাদের পরিচয়। এর বাইরে তাদের পরিচয় থাকতে নেই। কেন নেই কিসের কারনে নেই তা হইতো সবাই জানি কিন্তু বলিনা কারন নিজেও তো পুরুষ। মেয়েদের নিয়ে বল্লে তো লোকে বলবে নারী ঘেষা নারীবাদীর ইত্যাদি বলবে কি দরকার ওসবের। পিতৃতন্ত্র একসময় মেয়েদের ঘরের বাইরে বের হতে দিত না। বাল্যবিবাহ, সতীচ্ছদে, সতীত্বে, কুমাররীত্বে তাদের ছিল গভীর বিশ্বাস। মেয়েদের পড়ালেখা, ঘরের বাইরে গিয়ে চাকুরি করা ট া কা পয়সা রোজগার করা ছিল ঘোর বিরোধী। একসময় পুরুষতন্ত্রের কর্তারা যখন শিক্ষিতা শয্যাসঙ্গিনী কামনা করলো, তখন স্কুলে যাওয়া মেয়েদের জন্য বৈধ করা হলো। কতটুকু লেখাপড়া করবে...

বিকৃত যৌন আচরণ বা সেক্সুয়াল পারভার্শন

বিকৃত যৌন আচরণ বা সেক্সুয়াল পারভার্শন নিয়ে কিছু রিলাজাসেনর কথা বলি। একটা মেয়ে গোসল করছে কিংবা ড্রেস পাল্টাচ্ছে। অনেক ছেলে আছে তা লুকিয়ে লুকিয়ে সেই দৃশ্য দেখছে। ছেলেটি এতে ফিলিংস পেলেও এটি একটি বিকৃত যৌন আচরণ বা সেক্সুয়াল পারভার্শন। মেডিকেলের ভাষায় এটিকে ভয়েরিজম বলে। দুনিয়াতে এইরকম হরেক কিসিমের সেক্সুয়াল পারভার্শন আছে। অনেকে আছে ভিড়ের মধ্যে মেয়ে দেখলেই শরীর ঘেঁষার চেষ্টা করে, কিংবা কনুই দিয়ে বুক স্পর্শ করে, এটাকে বলা হয় ফ্রটিউরিজম। আবার অনেকে আছে অন্যের সামনে উলঙ্গ হলে বা নিজের যৌনাঙ্গ দেখালে ভাল লাগে। বিশেষ করে মেয়েদের হোস্টেলের আশেপাশে ইচ্ছে করে কিছু লোক প্রসাব করার ওছিলায় পেনিস দেখানোর চেষ্টা করে, এটাকে এক্সিবিশনিজম বলে। স্কুলে থাকতে একবার পাশের পাড়ায় বিচার দেখতে গিয়েছিলাম অদ্ভুত বিচার। গরু মাঠে চরছিল, এক ইয়াং ছেলে গরুর সাথে অকাম করে বসে আছে।  প্রাণীর সাথে এরূপ সেক্স করাকে বিস্টিয়ালিটি বলা হয় অনেকে আছে অন্যের পেশাব করা দেখে সেক্সুয়াল ফিলিংস পায় এটাকে বলা হয় ইউরোল্যাগনিয়া। মা বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছে, সেটি দেখে যাদের সেক্সুয়াল ফিলিংস জাগে সেটি হল গ্যালাকটোফিলিয়া। শুধু তাই নয়, মৃত ন...

গোঁজমিল গ্রান্থে ভুল প্রমানিত

সম্প্রতি দুবাইয়ের এই কৃত্রিম বৃষ্টিপাত আবারো প্রমাণ করল কোরআন ভুল এবং মানুষ রচিত।কোরআনের আয়াত আরো একবার মিথ্যা প্রমাণিত হলো। কোরআনের আয়াতগুলো দেখে নেওয়া যাক। সূরা আল-ওয়াকিয়াহ (الواقعة), আয়াত: ৬৮ أَفَرَءَيْتُمُ ٱلْمَآءَ ٱلَّذِى تَشْرَبُونَ অর্থঃ তোমরা যে পানি পান কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি? সূরা আল-ওয়াকিয়াহ (الواقعة), আয়াত: ৬৯ ءَأَنتُمْ أَنزَلْتُمُوهُ مِنَ ٱلْمُزْنِ أَمْ نَحْنُ ٱلْمُنزِلُونَ অর্থঃ তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি বর্ষন করি? সূরা আল-ওয়াকিয়াহ (الواقعة), আয়াত: ৭০ لَوْ نَشَآءُ جَعَلْنَٰهُ أُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْكُرُونَ অর্থঃ আমি ইচ্ছা করলে তাকে লোনা করে দিতে পারি, অতঃপর তোমরা কেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না? ''তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি বর্ষন করি?'' কতো হাস্যকর ব্যাপার!কুরআনের এই আয়াত কিনা ভুল প্রমাণ করলো একটা মুসলিম রাষ্ট্র!  আরো একটা আয়াত নিচে দিচ্ছি। সূরা লোক্‌মান (لقمان), আয়াত: ৩৪ إِنَّ ٱللَّهَ عِندَهُۥ عِلْمُ ٱلسَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ ٱلْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِى ٱلْأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِى نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِى ن...