এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বালের দেশ এবং বাকস্বাধীনতা

লিখেছেন :শহীদুজ্জামান সরকার ।


শুনলাম সামু ব্লগকে বাংলাদেশ থেকে ব্যান করা হয়েছে।
যদিও বিষয়টা আমরা জানি আমাদের আইটি জোকার জব্বার সাব এর সংঙ্গে ব্যক্তিগত বিরোধ এর জের ধরেই নাকি এই বিষয়টা করা হয়েছে।
তবে সামু ব্লগ সম্পর্কে আমার কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সেটা ২০১৫ এর ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখ এর পর থেকে।
সেদিন কি যেন ছিলো?
হয়তো ভুলেই গেছেন অনেকে।
তবুও মনে করায়ে দেয় অভিজিৎ রায়কে সেদিন হত্য করা হয়েছিলো।
আপনি হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন সামু ব্লগের সংঙ্গে অভিজিৎ রায়ের হত্যার কি সম্পর্ক?
অভিজিৎ রায়ের হত্যার পরই সামু তার আসল রুপ দেখাতে শুরু করলো।
যারা ধর্মের বিপক্ষে অবস্থান করেন।
ধর্মের সমালোচনা করেন তাদের একে একে ব্যান করে দেয়া হলো।
অনেক নাস্তিকদের লেখা লেখি গুলো এক মুহুর্তেই গায়েব।
এই বিষয়ে পাল্লার একটা কথা বলা যেতে পারে।
"সামুর নীতিমালার একটা ধারা ছিল এরকম--ধর্মীয় সত্য কিছু নিয়া নো চুদুরবুদুর... যেমন ধরেন--নবিজি চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করেছিলেন--এইটা ধর্মীয় সত্য। এইটা নিয়া কোনো প্রকার সমালোচনা হাসাহাসি ব্যঙ্গবিদ্রুপ স্যাটায়ারম্যাটায়ার সলবে না..."
কিন্তু মজার বিষয় হলো সামুর কভারে লেখা ছিলো।
"আমরা সকলের মত প্রকাশে অঙ্গীকারবদ্ধ। "
আসলেই কি সামু সকলের মত প্রকাশে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলো?
তারা কি বিশ্বাস করতো মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে?
ব্যক্তিস্বাধীনতা এই সবের প্রতি আস্থা ছিলো কি?
এই সব না থাকলোও তারা ব্যবসাটা বুঝেছিল।
তাই তো সেই সময় ভিন্ন মতকে গলা টিপে হত্যা করে নিজেদের পকেট গরম করেছে শুধু।
কিন্তু দেখুন ৫ বছরও হয়নি নিজেদের তৈরী খালে নিজেরাই ডুবে গেলো সুন্দর মতো।
সেইদিন যেমন তাদের এই ধরণের কাজকারবারে প্রতিবাদ জানিয়েছি আজকেও সেইটাই করতেছি।

তাই তো কবির সেই কথাটাই মনে হয়,
"পথ বন্ধ করেছ সখী তোমার পথটা কি খোলা রয়েছে সখী?"


২।লিখতে যখন বসেছি আরও কিছু না হয় লিখি।
কেউ একজন টুপ করে বলেই ফেললো সুদে তোর লেখা।
পড়ে না তোর এই সব বাল ছাল।
তবু নিজেরে সান্তনা দেই না পড়ুক লিখতে বসেছি যখন লিখিই।
না পড়লো কেউ।
হাইকোর্ট বলেছেন, ‘আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যা পছন্দ করি না। এতে পাবলিকের কাছে ভুল তথ্য যেতে পারে।’ বরগুনায় প্রকাশ্যে শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অগ্রগতিবিষয়ক শুনানিতে হাইকোর্ট এ কথা বলেন। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে গতকাল বৃহস্পতিবার এই শুনানি হয়।

শুনানিতে ওই মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার তথ্য জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। একপর্যায়ে আদালত বলেন, ‘আমরা (বিচার বিভাগ) কখনোই নির্বাহী বিভাগের যেসব দায়িত্ব পালন করার কথা, সেসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। এটা তাদের দায়িত্ব, তাদের রুটিন ওয়ার্ক। যদি সেখানে কোনো ব্যত্যয় ঘটে, তখন শুধু বিচার বিভাগ নির্দেশনা বা হস্তক্ষেপ করে থাকে। তবে আমার এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং (বিচারবহির্ভূত হত্যা) পছন্দ করি না। হয়তো প্রয়োজনের খাতিরে অনেক সময় জীবন বাঁচানোর তাগিদে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা করে থাকে। তবে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। আইন যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে, তা যেন নিশ্চিত হয়।

হাইকোর্ট এর এই সব সোদন মার্কা বুলি শুনলে মনে হয় এটাই একমাত্র এবং প্রথম একটা বিচার বহির্ভূত ঘটনা।
এর আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে দেশের মানবতাবাদীরা রাজাকার এর পুসি পুসি খাইতে খাইতে অভ্যাসের সোদনে নিজেদেরও পুসি খাইতে চায়।
পুসি মানে আপনে যদি বেড়াল জাতীয় কিছু ভাইবা থাকেন আমার কিছু করার না।

৩।সমগ্র বাংলাদশের খবর যদি শুনেন একটিও ভালো খবর নেই।
চারদিকে গুম খুন হত্যা ধর্ষণে মেতেছে এই দেশ।
ভালো খবর এর মধ্যে একটি খবরই নজরে আসছে কালো সোনাকে সাদা করার খবর।
তবে চিন্তা করতেছি সোনারে সাদা করে লাভটা কি?
সাদা সোনার কি আলাদা কোন বৈশিষ্ট্য আছে?
কবে যে শুনবো কালো মানুষ সাদা করার মেশিন দেশে আমদানী হয়েছে।
এরকম হলে অবশ্য আমার সাঁওতাল মার্কা চেহারাটার কিছু উন্নতি হইতো।
তবে ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় এই দেশের লোক গুলো আগে সাঁওতালই ছিলো।
এইটা নিয়া অবশ্য মনে মনে একটা গর্ববোধ উদয় হয়।

৪।এই বালের দেশ নিয়া অনেক রকম বালের কথা বলতে মন চাইতেছিলো কিন্তু সময়ের অভাবে এই সব বাল কথা বলা হইতাছে না।
কবি বলেছিলেন, ধনের সার বালে খায়।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ