এই ব্লগটি সন্ধান করুন

ধর্ষণের শরীরবৃত্তীয় ও মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা





(ইদানিং ফেইজবুকে তো বটেই, পত্রিকা আর টিভির খবরেও উদ্বেগজনক হারে ধর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই খবরগুলো ধার্মিক মানুষদের জন্য প্রচন্ড অস্বস্তিকর, কারন বেশীরভাগ খবরে জানা যাচ্ছে, ধর্ষক লোকটি মাদ্রাসা শিক্ষক, ইমাম অথবা মওলানা টাইপের কেউ। ধর্মের পক্ষ থেকে এসব ঘটনার সাফাই গেয়ে ধর্মের মাধ্যমে এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার পরামর্শ দেয়া বেশ কঠিন। সেই কঠিন কাজটি কেউ করেছে কিনা, খুঁজতে গিয়ে "সাইবার মুজাহিদ" নামের ব্লগে সত্যিকার মূল্যবান কিছু তথ্য পেলাম। এর প্রথম অর্ধেক অংশে মূল্যবান কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য আছে। শেষের অংশে পরোক্ষভাবে ধর্মীয় অনুশাসনের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে যা বলতে চাওয়া হয়েছে, তার সাথে বাস্তবতার মিল খুব কম। আমি সেটুকুর ঘোর বিরোধী।)

মন কী?

বিখ্যাত নিউরোলোজিস্ট এবং পরবর্তীতে সাইকিয়াট্রিস্ট ফ্রয়েড বলেছিলেন, যাকে আমরা মন বলি সেটি মূলত তিনটি সত্ত্বার সম্নবয়ে গঠিত – ইড, ইগো এবং সুপার ইগো।
অর্থাৎ মানব মন এই তিনটি গাঠনিক উপাদানে তৈরি -
“ইড” মূলত মানুষের জৈবিক সত্ত্বা।
মানব মনের স্বভাবজাত চাহিদা পুরণ করে ইড।
এটিকে “মন যা চায় তাই” এর সাথে তুলনা করা যায়।
"ইড" মানুষ এবং পশু সবার মাঝেই সমানভাবে বিরাজমান। এর কোন মানবিক দিক বা বিকাশ নেই। "ইড" এর পুরোটাই লোভ লালসা ও কাম চিন্তায় ভরপুর। "ইড" এমন ভাবে মানুষ কে প্ররোচিত করে যে, প্ররোচনায় মানুষ যে কোন অসামাজিক অপরাধ থেকে শুরু করে, খুন-ধর্ষণ পর্যন্ত করতে দ্বিধাবোধ করে না। এক কথায়, "ইড" হচ্ছে আমাদের ভিতরের সুপ্ত পশু।
সুপার ইগো হচ্ছে মানুষের বিবেক।
ইড যখন জৈবিক কামনা বাসনা পুরণ করতে উদ্দীপ্ত করে, তখন সুপার ইগো একে বাধা দেয়।
সুপার ইগো মানুষকে সব সময় মানবিক দুর্বলতার উর্ধ্বে উঠে ভাল কাজ করার জন্য মানুষকে উদ্দীপ্ত করে। এই বাঁধা দেওয়ার ক্ষমতা নির্ভর করে ব্যক্তির নৈতিক, পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং সামাজিক শিক্ষা এবং মুল্যবোধের উপর।

অন্যদিকে ইগো হচ্ছে এই দুই অবস্থার মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টিকারী একটি অবস্থা। ইগো এবং সুপার ইগোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে চলাই এর কাজ। পশুরা ইড চালিত। তাই তারা কেবল জৈবিক চাহিদা (খাবার এবং যৌনতা) পুরণেই ব্যস্ত।

আবার মানুষের মধ্যে যখন “ইড” ডমিনেন্ট হয়ে যায়, তখন সে উন্মাদ ও অমানুষ হয়ে যায়। আর যখন কেবল সুপার ইগো কাজ করে – তখন সে সাধু সন্যাসী পবিত্র হয়ে যায়। ইগো এই দুই অবস্থার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে।

যেমন মানুষের মধ্যে যখন সুপার ইগো ডমিনেন্ট হয়, তখন অনেক সময় তাদের মধ্যে ডিপ্রেশন চলে আসে। ইগো তখন ব্যালেন্স করে। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা সুপার ইগোকে মানতে গিয়ে আমরা আমাদের বিভিন্ন চাহিদা পুরণ করতে পারি না। আমাদের এই অপূরণীয় চাহিদায় মন তখন বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তখন বিক্ষিপ্ত মনকে শান্ত করতে ইগো কাজ করে।

জীব হিসেবে মানুষের সাথে অন্য প্রাণীর তেমন বেশি ডিফারেন্স নেই। উভয়েরই ইড আছে।
কিন্তু মানুষের এর সাথে দুইটা জিনিস আছে ইগো এবং সুপার ইগো। কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি -
পর্ণ মুভি দেখতে চমৎকার, অতএব পর্ণ দেখ (ইড)
পর্ণ মুভি দেখা নৈতিকতা বিরোধী, মানুষ এটাকে খারাপ বলবে, অতএব দেখা যাবে না (সুপার ইগো)
লুকিয়ে পর্ণ মুভি দেখ, অসুবিধা কী? মানুষ তো জানবে না, আর মনের চাহিদা ও মিটল (ইগো, ব্যালেন্স করতেছে দুই দিক)
মেয়েটি সুন্দরী, অতএব ওকে ইভটিজিং বা রেইপ করো (ইড)
রেইপ, ইভটিজিং অপরাধ, অতএব করা যাবে না (সুপার ইগো)
মেয়েটির সাথে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করো, সম্ভব হলে প্রেমের প্রস্তাব দাও, মন পাওয়ার চেষ্টা করো, মন পেলে শরীর কোন এক সময় পাবে (ইগো)

ইড, ইগো এবং সুপার ইগো র আপেক্ষিক তীব্রতা স্থিতিশীল নয়, বরং পারিপার্শিকতার সাথে পরিবর্তনশীল। যেমন সুপার ইগো তথা বিবেক অসুস্থ হয়ে গেলে তখন সে তার কাজ অর্থাৎ অন্যায় কাজে বাধা দিতে পারে না।
দেহের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে – খাবার না খেলে/পেটে খাবার না থাকলে ক্ষিদের অনুভূতি সৃষ্টি করে সেটি জানিয়ে দেওয়া। কিন্তু ক্রমাগত না খেয়ে থাকলে, দেহের দাবী অস্বীকার করলে দেহ অসুস্থ হয়ে যায় তখন সে স্বাভাবিক ক্ষিদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে না।

তেমনি সুপার ইগো তথা বিবেকের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে – সে খারাপ কাজে আপনাকে বাধা দিবে, কিন্তু যখন আপনি কন্টিনিউয়াসলি সুপার ইগোকে অস্বীকার করবেন, অমান্য করবেন – তখন এটি দুর্বল হয়ে যাবে এবং অন্যায় কাজে কার্যকর বাধা দিতে পারে না।

একজন মাদকাসক্ত প্রথম যেদিন মাদক সেবন করে, তখন “সুপার ইগো”র জন্য তার মধ্যে কিন্তু প্রচন্ড অনুশোচনাবোধ হয়। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে মাদক সেবন তার এই অনুশোচনার তীব্রতা কমিয়ে দেয়।
প্রথম যে ব্যক্তি পর্ণ দেখে, “সুপার ইগো”র জন্য তার মধ্যে কিন্তু প্রচন্ড অনুশোচনাবোধ হয়। কিন্তু সে যখন আসক্ত হয়ে যায়, তখন ধারাবাহিকভাবে অনুশোচনাবোধ কমে আসে।
সুতরাং মানুষ যদিও ইগো এবং সুপার ইগো দিয়ে অন্য প্রাণী থেকে আলাদা, কিন্তু সুপার ইগো দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে পশুত্ব জেগে উঠে।

একটি নির্দিষ্ট সিচুয়েশনে কোন ব্যক্তির মনের মধ্যে এই তিনটি অবস্থার কোনটি প্রাধান্য বিস্তার করবে – সেটি নির্ভর করে
১। ইড এবং সুপার ইগোর তুলনামূলক তীব্রতা
২। ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব আর
৩। ওই নির্দিষ্ট পরিবেশ – এই তিনটির ওপর।

কিছু ইয়াং উদভ্রান্ত পুলাপাইন বাসের মধ্যে মোবাইলে পর্ণ দেখে (ইড প্রি ডমিনেন্ট)
কেউ কেউ লুকিয়ে একাকীত্বে পর্ণ দেখে (ইগো প্রি ডমিনেন্ট)
আদর্শবান মানুষেরা কোন অবস্থাতেই পর্ণ দেখে না (সুপার ইগো প্রি ডমিনেন্ট)
হজ্বের বিশাল মহাসম্মেলনে নারী পুরুষের বিশাল সমাগমে কোন নারী ধর্ষিত হয় না (পরিবেশ ইফেক্ট)
রমনা বটমূলে বা টিএসসির বৈশাখ উদযাপনে শিক্ষিতদের দ্বারা মেয়েরা লাঞ্চিত হয় (পরিবেশ ইফেক্ট)
ফুড সেক্স এসব বায়োলোজিক need এর রিফ্লেক্স প্রতিটি প্রাণীর মধ্যে একইভাবে ডেভেলপ করে। পাভলভ কুকুর নিয়ে যেই গবেষণা করেছিলেন বিহেভিয়ার কন্ডিশনিং এর (আগের পোস্ট) এই বিহেভিয়ার (ইড) কন্ডিশনিং হুবহু মানুষের জন্য প্রযোজ্য এবং নিউরোলজিতে কন্ডিশান্ড রিফ্লেক্স এর জন্য পাভলভের এই কনসেপ্টকে আদর্শ মানা হয়। এটা মানুষের সাথে কুকুরের তুলনা না, মানুষের বায়োলোজিক দিকের সাথে কুকুরের তুলনা। ড্রাগ ডেভেলপম্যান্ট, নিউ বায়োলোজিক রিসার্স সবগুলোই প্রথমে প্রাণীর উপর করে তারপর সেইফটি দেখে মানুষের উপর করা হয়। সুতরাং পাভলভ ভুল কিছু করেননি, ভুল অনুসিদ্ধান্তে আসেননি।

ধর্ষণ বেড়ে যাবার একটি মেকানিজম হচ্ছে “ইড” ডমিনেন্ট হয়ে যাওয়া, সুপার ইগো দুর্বল হয়ে পড়া। ধর্ষকের কি বিবেক নেই, তাদের কি মা বোন নেই?
হ্যাঁ আছে, কিন্তু তাদের “ইড” শক্তিশালী এবং সুপার ইগো দুর্বল।
আবার আমাদের শিক্ষা, সঙ্গ, পরিবেশ আমাদের সেক্সুয়াল ইডকে প্রমোট করছে।
আমাদের শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞাপন, নাটক, সিনেমা “সেক্সুয়াল ইড”কে প্রমোট করছে।
দুর্বল করে দিচ্ছে সুপার ইগো।
নিউরোমেডিসিন দিয়ে ব্যাখ্যা দিচ্ছি।

ব্রেইনের বিভিন্ন কাজের জন্য কিছু রাসায়নিক পদার্থ থাকে যাদেরকে নিউরোট্রান্সমিটার বলে। নার্ভের মাধ্যমে এই সব নিউরোট্রান্সমিটার বিভিন্ন রুটে চলাচল করে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে। এসব নিউরোট্রান্সমিটারের মধ্যে সেলিব্রেটি টাইপের একটা নিউরোট্রান্সমিটার হচ্ছে ডোপামিন। এটার অনেকগুলো রুট আছে যেটা দিয়ে এটি বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে বিভিন্ন স্পেশাল কাজ করে। যে রুটে ডোপামিন চলাচল করে ইমোশান, মটিভেশান, এডিকশান এবং বিহেভিয়ার কন্ট্রোল করে তার নাম – “মেসোলিম্বিক মেসোকর্টিক্যাল পাথওয়ে”। এই রুটে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডোপামিন চলাচলের জন্য মানুষের মধ্যে মটিভেশান তৈরি হয়। আবার অতিরিক্ত ডোপামিন নেশা/আসক্তি তৈরি করে।

কোন মটিভেশান তৈরির জন্য মস্তিষ্কের তিনটি অংশে ডোপামিন কাজ করে।
নিউক্লিয়াস একুম্বেন্স – এর কাজ হচ্ছে আনন্দদায়ক/প্রেরণাদায়ক/উত্তেজনাকর উদ্দীপনার প্রতিক্রিয়ায় ডোপামিন ক্ষরণ করা। বিশাল পরিমাণের ডোপামিন এট এ টাইম ক্ষরণ হওয়াকে ডোপামিন সার্জ বলে। একেকজনের একেক কাজের মাধ্যমে ডোপামিন সার্জ হয়, কারো সোশ্যাল ওয়ার্ক করলে, কারোর বই পড়লে, কারো, কারোর এলকোহল সেবনে, কারো খেলা দেখলে, কারো মুভি দেখলে, কারোর পর্ণ দেখলে, কারোর ভাল লেকচার শুনলে, কারোর ভাল চিন্তা করলে। তবে ডোপামিন সার্জ শুরু ই হয় স্পেসিফিক কোন থট দিয়ে।

হিপ্পোক্যাম্পাস – এর কাজ হচ্ছে আগত উদ্দীপনার সবচেয়ে পাওয়ারফুল স্টিমুলেশানগুলো স্মৃতিতে ধারণ করা। অনেকটা ইমিউন সিস্টেমের মেমোরী সেলের মত কাজ করে। ধরেন একজন ক্রিকেটপাগল এর সবচেয়ে বেশি স্টিমুলেশন হয় বিরাট কোহলির ব্যাটিং দেখলে। সে ক্ষেত্রে হিপ্পোক্যাম্পাস এটাকে স্মৃতিতে ধারণ করবে এবং পরবর্তী সময়ে কোহলির ব্যাটিং দেখলে আরও পাওয়ারফুল স্টিমুলেশান তৈরি করবে।
অ্যামাইগড্যালা – এর কাজ হচ্ছে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া তৈরি করা।

এই তিনটি স্ট্রাকচারকে একসাথে ব্রেইনের রিওয়ার্ড সিস্টেম বলে। ডোপামিন একটি ভয়ংকর পদার্থ। এটি মানুষকে সবচেয়ে সফল একজন ব্যক্তিতে পরিণত করতে পারে আবার পারে সবচেয়ে নষ্ট খারাপ একজন ব্যক্তিতে পরিণত করতে। তাই ডোপামিন পাথওয়ে কে কন্ট্রোল করা জরুরী।

যে মেকানিজম ডোপামিন পাথওয়ে কন্ট্রোল করে তার নাম TMA Pathway
TMA = Thought, Motivation & Action
TMA কে অনেক সময় TEB Pathway (Thought, Emotion & Behavior) ও বলে
এই প্রক্রিয়ায়
১। ব্রেইনের প্রি ফ্রন্টাল কর্টেক্স প্রথমে কোন একটি নির্দিষ্ট চিন্তা করে >
২। এই চিন্তার সিগনাল চলে আসে নিউক্লিয়াস একুম্বেন্সে >
৩। নিউক্লিয়াস একুম্বেন্স তখন ডোপামিন সিক্রেট করে এমাইগড্যালাকে প্লাবিত করে >
৪। এমাইগড্যালা তখন স্পেসিফিক একশানের প্রাইমারি মটর এরিয়াকে নির্দিষ্ট কাজের জন্য চালিত করে।

এই পরিক্রমায় ১ নম্বর কাজটি থট, ২ এবং ৩ নম্বর কাজ দুটি মটিভেশান এবং ৪ নম্বর কাজটি একশ্যান।

কোন উদ্দীপনা সেটি ব্রেইনের জন্য যত বেশি আনন্দদায়ক নিউক্লিয়াস একুম্বেন্স থেকে তত বেশি ডোপামিন ক্ষরণ করে। এইভাবে কোন প্রি-কনসেপশান ডেভেলপ হওয়ার পর, ব্রেইন যদি বার বার সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করে, তাহলে ডোপামিন ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং এক সময় এত বেশি ডোপামিন ক্ষরণ হয়, ডোপামিনের বন্যায় ব্রেইন ভেসে যায় এবং ডোপামিন খুব কম সময়ে সোজা পথে নিউক্লিয়াস একুম্বেন্স থেকে হিপ্পোক্যাম্পাসে পৌছায়। এটাকে আসক্তি বা নেশা বলে।

ব্যক্তি সেই আনন্দ উদ্দীপনার বিষয়টিতে এডিক্টেড হয়ে যায় গেলে ব্রেইনে একটি দীর্ঘমেয়াদী শক্তিশালী পরিবর্তন ঘটে যার প্রকাশ তিনভাবে হয়
craving for the object of addiction,
loss of control over its use, and
continuing involvement with it despite adverse consequences.

এডিকশানের কারণ হচ্ছে – এটি এটি নিউক্লিয়াস একুম্বেন্স থেকে এত বেশি ডোপামিন ক্ষরণ করে যে, তাতে এই নিউক্লিয়াসটি ডোপামিন দ্বারা প্লাবিত হয়ে যায় এবং ব্রেইনের রিওয়ার্ড সিস্টেমের (নিউক্লিয়াস একুম্বেন্স থেকে অ্যামাইগড্যালা) একটা শর্টকাট পথ তৈরি করে। অর্থাৎ স্বাভাবিক পথে যেখানে ডোপামিনকে নিউক্লিয়াস একুম্বেন্স থেকে অনেক ঘুরে অ্যামাইগড্যালাতে আসতে হত, সেখানে অতিরিক্ত ডোপামিন দ্বারা নিউক্লিয়াস একুম্বেন্স প্লাবিত হয়ে অতি দ্রুত শর্টকাট পথে অ্যামাইগড্যালায় চলে আসে এবং ব্রেইনে প্রচন্ড একটি আসক্তি তৈরি করে।

একই রকম প্লেজার সেন্স ব্রেইনে যত বেশি আসতে থাকবে, তত বেশি ডোপামিন ক্ষরণ হবে, তত ব্যক্তি উদ্দীপনার প্রতি আসক্ত হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে এডিকশান ছাড়ানোর উপায় হচ্ছে ওই উদ্দীপনা তৈরি হতে না দেওয়া অর্থাৎ নিউক্লিয়াস একুম্বেন্সকে বেশি বিরক্ত না করা এবং অ্যামাইগড্যালাতে সংরক্ষিত উদ্দীপনা সংক্রান্ত প্রি কনসেপশান মুছে ফেলা।
Addictive scenery provides a shortcut to the brain’s reward system by flooding the nucleus accumbens with dopamine. The hippocampus lays down memories of this rapid sense of satisfaction, and the amygdala creates a conditioned response to certain stimuli.

আমাদের সাহিত্য, নাটক, শিল্পকলা, বিজ্ঞাপন, সংস্কৃতি একটা ছেলের মনে একটা মেয়ে সম্পর্কে কি ধরণের ইমেজ দিচ্ছে? এই একটা বিশেষ ছাঁচেই ছেলেদের cognition গড়ে উঠছে, এটাই ব্রেইনের স্মৃতিভান্ডারে জমা হচ্ছে। আসলে ব্রেইনের প্রি কনসেপশানে বা স্মৃতি ভান্ডারে নারী মানেই এমন একটি সত্ত্বা যাকে দিয়ে দেহের এবং মনের ক্ষুধা মেটানো যায়। নারী দেখলে বা নারীর কথা স্মরণ হলেই ব্রেইনে ডোপামিন ক্ষরণ বাড়ে এবং সেটি একটি নারীকে ফিজিক্যালি পাওয়ার তাড়না থেকে।

মেয়েদেরকে প্রশ্ন করেন – আপনি বাইরে যাওয়ার আগে যে সাজগোজটা করেন, সামাজিক মিডিয়াতে বিভিন্ন ভঙ্গিতে নিজের ছবি আপলোড করেন – সেটা কি একজন মানুষ হিসেবেই করেন নাকি নারী হিসেবে করেন? নিজেকে যদি জাস্ট মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করে থাকেন (নারী হিসেবে নয়) এত সাজ গোজের আদৌ দরকার আছে কী? বা সামাজিক মিডিয়াতে নিজেকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপনের দরকার আছে কী? মানুষ তো মানুষই। তার মানে এই সাজগোজ পুরুষের চোখে আকর্ষণীয় হওয়ার জন্য। আসলে মেয়েরা উপলব্ধি করুক বা না করুক - তাদের এই সব কাজ নিউক্লিয়াস একুম্বেন্সে ডোপামিন সার্জ অনেক বাড়িয়ে দেয়। একই কাজ বার বার করতে করতে ডোপামিন সার্জ এত বেশি বেড়ে যায় যে এটা মটিভেশান থেকে এডিকশানের পর্যায়ে চলে যায়। নিজেকে প্রেজেন্টেবল করে উপস্থাপন করার এই তাগিদ মেয়েদের এত বেশি এডিকেটেড করে ফেলে যে সত্যিকার অর্থে একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত অধিকাংশ নারী নিজেকে মানুষ হিসেবে চিন্তাই করতে পারেনা। সে একজন নারী, তার কাজই হচ্ছে আকর্ষণীয় পাপেট হিসেবে থাকা - অ্যামাইগড্যালা তাকে এই রিফ্লেক্স নিয়ে বড় করে। সুন্দর করে সাজুগুজু করলে বা মানুষের কাছে আকর্ষণীয় হলেই তার ডোপামিন সার্জ হয়, তাই এই আকর্ষণীয় হওয়া এটা তার কাছে এডিকশানের পর্যায়ে চলে যায়।

ছেলেদের বেলায়, পর্ণ মুভিতে বা বাস্তবে উগ্র ড্রেস আপের মেয়েদের দেখলে ডোপামিন সার্জ হয়, এবং এই মটিভেশান যখন এডিকশানের পর্যায়ে চলে যায়, তখন ব্রেইনের অ্যামাইগড্যালা (যেটি কন্ডিশানড রিফ্লেক্স তৈরি করে) তাকে এমনভাবে গড়ে তুলে - নারী বলতে সে যেই হোক, শিশু, কিশোরী, যুবতী, প্রৌঢ়, চাচী, মামী, শিক্ষিকা যাই হোক তাকে ওই ভিন্ন দৃষ্টিতে তাকাতেই হবে। ডোপামিন এত ভয়ংকর জিনিস। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এক সময় এডিকশানের ভয়াবহতা পার্ভার্সন লেভেলে চলে যায়, তখন নিজের সুন্দরী বোন, মা এমনকি মেয়েকে সে অন্য দৃষ্টিতে তাকায়। ইউএসএ ইন্ডিয়াতে বাবা-মেয়ে, মা-ছেলে বা ভাই-বোন এর মধ্যে যে সেক্স হচ্ছে সেটি এই ডোপামিন সার্জের কারনে সুপার ইগো দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারনে। ইন্ডিয়া ইউএসএ বাদ দেন, আমাদের দেশের বাংলা সাহিত্যের স্বনামধন্য লেখক, যার সাহিত্যিক প্রতিভা আসলেই অসাধারণ সেই হুমায়ুন আজাদ স্যার বলেছিলেন - "চোখের সামনে মেয়ে বড় হচ্ছে, কিন্তু আমার হাত পা বাঁধা" চিন্তা করতে পারেন ভদ্রলোক কত অসহায় ছিলেন অ্যামাইগড্যালার ডোপামিন সার্জের কাছে!!

যৌনতা একটি স্বাভাবিক চাহিদা। ইন্টারনেট সাইটগুলো নারী সম্পর্কে কী কনসেপ্ট দিচ্ছে? ইন্টারনেটে নারী পুরুষের কিছু সেনসেটিভ বিষয়কে ১৮+ নাম দিয়ে প্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য জায়েয করে নেওয়ার একটা কনসেপ্ট অনেকেই দিয়েছেন, যেটি ডোপামিন সার্জকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।

আমাদের শিক্ষা, সঙ্গ এবং পরিবেশ, কোন একটি নিয়ামক ও নারীকে মানুষ হিসেবে চিন্তা করতে শেখায় না, নারী হিসেবেই বা ভোগের সামগ্রী হিসেবে চিন্তা করতে শেখায়। এখন এই চিন্তা যেহেতু ব্রেইনকে আনন্দ দেয়, তাই নারীর দর্শনের ইমেজ মস্তিষ্কের অক্সিপিটাল লোব থেকে নিউক্লিয়াস একুম্বেন্সে পৌঁছে যায় এবং ডোপামিন সিক্রেশান হয়। বারবার একই সিনারিও দেখার কারনে ক্ষরিত ডোপামিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই ডোপামিন যখন অ্যামাইগডেলাকে প্লাবিত করে, তখনই ব্যক্তির মধ্যে প্রচণ্ড ধর্ষণেচ্ছা জাগ্রত হবে। এভাবে সে যত বেশি নারীদের দিকে দৃষ্টিপাত করবে তত বেশি ধর্ষণেচ্ছা তার মধ্যে জাগ্রত হবে, দুর্বল হবে সুপার ইগো। আসলে বর্তমান সমাজ বাস্তবতায় (যৌনতা সভ্যতার অন্যতম চালিকা শক্তি হওয়ায়) নিউরোলজিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, কিছু ব্যতিক্রম বাদে, আমাদের ব্রেইনের অ্যামাইগডেলা আমাদের প্রত্যেক পুরুষকে একেকজন ধর্ষণকামী, আবার প্রত্যেক নারীকে সাইকোলজিক্যাল প্রস্টিটিউট বানাচ্ছে। মস্তিষ্কের চিন্তা বিকৃতির অসহায় স্বীকারে পরিণত হচ্ছি আমরা। পার্থক্য হচ্ছে দু জনের ডোপামিন সার্জ দুইভাবে ঘটে। ছেলেদের ডোপামিন সার্জ হচ্ছে বিশেষ বিশেষ দৃশ্য পর্যবেক্ষণে, আর মেয়েদের ডোপামিন সার্জ হয় ছেলেদেরকে পর্যবেক্ষণে বাধ্য করে।

"সব ধর্ষণেই ডোপামিন সার্জ ঘটে, কিন্তু সব ডোপামিন সার্জে ফিজিক্যাল ধর্ষণ হয় না"। সদ্য নেট আসক্ত ছেলেটি যখন ইন্টারনেট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এতোদিন ছোটবোন হিসেবে দেখা নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডের বোন বা বাসার কাজের মেয়েটির দিকে কুদৃষ্টি দিতে শুরু করে কিংবা ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেটি যখন নেট থেকে উৎসাহিত হয়ে নিজের টিউশনির কিশোরী ছাত্রীটির দিকে অন্য দৃষ্টি দিতে শুরু করে, বা নেট আসক্ত অবিবাহিত বন্ধুরা যখন বিবাহিত বন্ধুর সাথে বিকৃত আলাপ করে, তখন এদের চিন্তার রাজ্যে নারী সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গির কোন চিত্রকল্পটি থাকে?

সব ঘটনা ধর্ষণে রূপ নেয় না – এর মানে কখনোই এই নয় যে, উদ্দিষ্ট ব্যক্তির ডোপামিন সার্জ বন্ধ হয়ে আছে। আসল ব্যাপার হচ্ছে পরিবেশ পরিস্থিতি প্রতিকূল বলে পুরুষটি ধর্ষণে লিপ্ত হচ্ছে না। আবার নির্জন একাকীত্বে এই পুরুষটি ঠিকই কাউকে না কাউকে ধর্ষণ করতেছে – সাইকোলোজিক্যালি এবং সেটি ডোপামিন ক্ষরণের প্রভাবে।
মেয়েরা যেটা করতেছে সেটা ও একধরণের সাইকোলজিক্যাল প্রস্টিউটিজম। নারী পুরুষের মধ্যে ধর্ষন বাদে যত অবৈধ ক্রিয়াকলাপ হয় তার সবগুলোতেই নারীর পূর্ণ সমর্থন থাকে। সুন্দরী মেয়ে নাবালিকা থাকতেই বুঝে যায় তার মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে তার আকর্ষণীয় রূপ, উষ্ণ দেহ আর সুকন্ঠের বাক্য! আর কিছু নারী এ সীমিত অস্ত্রের পরিপূর্ণ ব্যবহার করার মাধ্যমেই তারা ভাগ বসায় অন্যদের অধিকার, সুযোগ, সুবিধাগুলোতে!

ডোপামিন সার্জ হলে সময় সুযোগ বুঝে পুরুষেরা ধর্ষণ করে, আর মেয়েরা পুরুষের ধর্ষকামিতার সুযোগ নেয়। অবৈধ পতিতাবৃত্তির বৈশিষ্ট্য হল এতে খদ্দের গোপনে চার দেয়ালের মাঝে এককালীন সময়ের জন্য একজন সন্ধ্যাচারীনিকে ভাড়া করে সার্ভিস নিয়ে দেনা পাওনা মিটিয়ে দেয়! আর মডার্ণ প্রস্টিটিউশন ব্যাপারটা মোটামুটি দীর্ঘ স্থায়ী। এ ব্যবস্থায় একটি দীর্ঘ সময়ের জন্য কোন নারী তার নির্দিষ্ট খদ্দেরকে যৌন সেবা দিয়ে যায়! বিনিময়ে সেবা দেয়ার সাথে সাথেই তার পারিশ্রমিক নেয়না! পারিশ্রমিক দেয়া হয় বিভিন্ন পদ্ধতিতে বিভিন্ন কিস্তিতে, যেমনঃ খদ্দের কর্তৃক হাজার টাকার উপহার নেয়া, নিয়মিত মোবাইলে ব্যালেন্স নেয়া, চাইনিজ ফার্স্টফুডের বিল নেয়া ইত্যাদি! আধুনিক সন্ধ্যাচারীনি ও তাদের খদ্দেরদের দেনা পাওনার সম্পর্ককে 'প্রেম', সন্ধ্যাচারীনিকে 'প্রেমিকা' ও খদ্দেরকে 'প্রেমিক' বললে ও এই ধরণের সম্পর্কে তথাকথিত প্রেমিক প্রেমিকাদের মধ্যে যা হচ্ছে সেটাও নিউরোলজিক্যাল পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে ধর্ষণই। শুধু মেয়েটা অভিযোগ করছেনা বিধায় আমি আপনি এটাকে ধর্ষণ হিসেবে ডিফাইন না করলেও নিউরোলোজিক্যাল মেকানিজম কিন্তু সেই অতিরিক্ত ডোপামিন সার্জ।

“ইড” চালিত অশিক্ষিতরাই ধর্ষণ করবে।
আর ইগো চালিত পুরুষেরা এক্ষেত্রে ভিন্ন পথ অবলম্বন করবে।
-- হ্যালো ...বেব্বি ...তুমি তো হেভবি সেক্সি!! রুম ডেট করবা?? পার্ক সেক্স করবা??
--- হারামজাদা, তুই তো একটা লুচ্চা, রেপিস্ট, চরিত্রহীন। দূরে গিয়ে মর...!!!

অথচ এই ছেলেটাই যদি সোজা কথাটা সোজাভাবে না বলে, একটু ঘুরিয়ে, মেয়েটাকে পাম দিয়ে বলতো, তাহলে চরিত্র হীন এই ছেলেটাই হতো মেয়েটার চোখে কুল এবং স্মার্ট!!! বান্ধবী এবং পরিচিত মহলে ছেলের প্রশংসায় ষষ্ঠমুখ হয়ে যেত এবং সেই ক্ষেত্রে রুম ডেট, পার্ক সেক্স অপরাধ হিসাবে গণ্য হয় না। হাজার হোক ...জানুই তো ...

বুঝতে পারলেন না??
এক শ্রেণীর বঙ্গীয় লুলনা ফেবুতে নানা ভঙ্গিমায় নানান ভাবে ফটু আপলোড করে আর আমাদের প্রগতিশীল লিচুরা সেখানে - "খুব সুন্দর, মাশা-আল্লাহ্, অসাধারণ, ওয়াও, ঠিক যেন জলপরী" “বৃষ্টিতে ভিজলে তোমাকে আরও ভাল লাগবে” টাইপের কমেন্ট করে।
কমেন্ট থেকে পরিচয়, পরিচয় থেকে পরিণয়।
একবার পরিণয় হলেই শেষ! অতঃপর রুম ডেট, পার্ক সেক্স এবং লিটনের ফ্ল্যাটে যাওয়া...... সবই তখন বৈধ। ইদানীং কিছু জেনারেশন নেক্সটের লিচুগিরি এতটাই বেড়ে গেছে যে তারা ফেবুতে স্ট্যাটাস প্রসব করে - In a open relation with ..............., In a closed relation with...........
যে মেয়েটা একটু আগে রিকশায় তার জানুকে কিস করে এসেছে, পার্কে ইটিস-পিটিস করে এসেছে লিটনের ফ্ল্যাটে কাপড় খুলেছে তাকে রাস্তায় টিজ করে দেখেন তো একবার!!!
কি হয় সেটা observe করেন!!
Slang ইউজ করে এই মেয়েটাই আপনাকে ""ভদ্রতা"" শেখাবে!! অথচ একটু আগেই ব্যাভিচার করলো সে!!!
লিটনের ফ্ল্যাটে গিয়ে মজা নেয়াটা যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। সেখানে কে আগে পা ফাক করবে, কে কতটুকু কাপড় তুলবে, ফাইনাল খেলার দৃশ্য ভিডিও করা হবে কিনা, সেটা একান্তই তাদের নিজস্ব ব্যাপার!!! কিন্তু এই ভিডিওটাই যখন ফাস হবে, ছেলেটা যখন এই সহজলভ্য মেয়েটাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানাবে তখন ছেলেটা হবে প্রতারক ও ধর্ষক, তাকে জেলেও যেতে হতে পারে!!!
ক্যান ভাই, ছেলেটাকে এখন নতুন করে প্রতারক বলার কী আছে! সে তো আগে থেকেই লিচু!!! এবং মেয়েটাও নষ্টা!!!
এখানে জাস্ট ইড ফলো না করে ইগোর মাধ্যমে ইড পূর্ণ করা হয়েছে।

আর বাংলাদেশের সংবিধানের কোথায় লেখা আছে যে, স্বেচ্ছায় দুইজন নর নারী যৌনক্রিয়া করলে পরবর্তীতে বিবাহ করতে বাধ্য থাকবে??
অথবা বিবাহ করার শর্তে, স্বেচ্ছায় দুইজন নর নারী যৌনক্রিয়া করতে পারবে??

জানুকে কিস করলেই যে কোন মেয়েকে রাস্তায় টিজ করতে হবে এমন কোন কথা নাই। আবার লিটনের ফ্ল্যাটে ঢুকলেই যে সেটা ভিডিও করে বাজারে দিতে হবে এটাও সঠিক নয়। ফেসবুকে বঙ্গীয় লুলনাদের ছবি আপলোড করা, সে ছবিতে লুচু সম্রাটদের "খুব ছুন্দর, মাশাআল্লাহ, ওয়াও, হেভভি লাগছে" টাইপের কমেন্ট, পরিচয়, এবং পরিচয় শেষে পরিণয় এবং সবশেষে লিটনের ফ্ল্যাটে যাওয়াটা – এই ব্যাভিচার চক্রের প্রত্যেকটি কাজই এক একটি ভুল কাজ এবং সেটার ভিডিও প্রকাশ করা আর একটা ভুল কাজ। ভুলের সংখ্যা বাড়ছেই বৈ কমছে না।

কিন্তু ভুলের শুরুটা কোত্থেকে???

শুরু হচ্ছে “ইড” কে নিয়ন্ত্রণহীন এবং সুপার ইগোকে দুর্বল করে দেওয়ার সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক মেকানিজম থেকে। এই মেকানিজম ব্লক না করে শুধু আইন করে ধর্ষণ বন্ধ করতে পারলে যুক্তরাষ্ট্র ধর্ষণে টপ হত না।
ডিয়ার গার্লস ...
আপনারা যদি বিশ্বাস করে কাপড় তুলেই দেন, তাহলে সেই বিশ্বাসের অমর্যাদা করার মতো লোকের অভাব হবে না। আপনি রাস্তাঘাটের ইভ টিজারদের এড়িয়ে চলেন, আর বয়ফ্রেন্ডের কাছে গিয়ে আবেগে কাপড় খুলে ফেলেন!!! মাইন্ড ইট! সব থেকে বড় অমর্যাদা করবে সেই মানুষটাই যার জন্য আপনি আবেগের বশে কাপড় তুলেছেন। চারপাশে একটু তাকান, পানির মতো পরিস্কার হয়ে যাবে সব!!

মূল্যবোধহীন সমাজ বড়ই কঠিন !!
এখানে লিচুরা শকুনের মতো চোখ মেলে থাকে শিকারের অপেক্ষায়!! ধর্ষণে টপ লিস্ট অকুপাই করে সাউথ আফ্রিকা, আমেরিকা, ইন্ডিয়ার মত নারী স্বাধীনতার সোল এজেন্টরা।
আর নারীবাদী পুরুষদের বিশ্বাস করবেন!!!
প্রত্যেক নারীবাদী পুরুষই একেক জন ভণ্ড লিচু এবং পাভলভের সেই কুকুর, তাতে সন্দেহ থাকলে এদের মিষ্টি কথায় বিশ্বাস করে একবার এক্সপেরিমেন্ট করে দেখেন না! (ক্ষয়ক্ষতির জন্য আমি দায়ী নই)।
হতে পারে তারা আবেগের ফাঁদ নিয়ে অপেক্ষা করে অথবা জোর জবরদস্তি করে!
আপনি ডিসাইড করেন যে, আপনি শিকারে পরিনত হবেন কিনা! ফাঁদে পা দেবেন কিনা!
আবার বলছি, নিজের সম্মানটা সবার আগে নিজেকেই রাখতে হয়!

ইড চালিত ধর্ষকদের জন্য মৃত্যুদন্ডের আইন এক সময় রাষ্ট্র করবে সামাজিক চাপে।
কিন্তু ইগো চালিত লিচুরা যে কৌশলে ধর্ষণ করছে সেটাতে আমার আপনার আপত্তি নেই।
রাস্তায় যেই অশিক্ষিত বখাটে আমার বোনকে একবার ধর্ষণ করল – তার বিচারের দাবীতে আমি সোচ্চার।

আর যেই শিক্ষিত লিচু আমার বোনকে প্রেমের নামে বারংবার ধর্ষণ করছে, তাকে আমি কুল, স্মার্ট প্রগতিশীল বলব এবং পারস্পরিক সম্মতিতে অবাধ যৌনাচারকে ব্যক্তি স্বাধীনতা বলে চালিয়ে দিলে, আমাদের অবস্থা ও ইন্ডিয়া আমেরিকার মত হবে।

আমরা কি সেটাই চাচ্ছি??

- সাইবার মুজাহিদ
লিখেছেনঃমুহাম্মদ আব্দুল কাইযূম। 
অনলাইন ব্লগার। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ