সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কোন কোন দেশ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর শত্রু?


কোন কোন দেশ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর শত্রু?


সৌদি আরব ও চীন। এই দুটি দেশ চায়না তাদের দেশে ইসলামিস্টদের বাড় বাড়ন্ত হোক। কিন্তু এই দুটি দেশ খুব ভাল করে চায় অন্যদেশে ইসলামীত্ব বাড়ুক। ইসলাম ক্যান্সারের ভাইরাসের মতো আক্রান্ত করুক। ইসলাম নিয়ে অন্য দেশগুলো পেরেশানে থাকুক। ইরাক সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ইসলামিক সেস্ট তথা আইএসের সন্ত্রাসবাদ দেখে সৌদি আরব বুঝে ফেলেছে তারা যদি ইসলামের রক্ষনশীল নিয়মগুলো আঁকড়ে ধরে থাকে তাহলে সামনে ভয়াবহ বিপদ ছাড়া আর কিছু নেই। আর দেশ তথা দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষকে এর পরিস্থিতির জন্য ভয়াবহ মাসুল দিতে হবে।


 এমন কি দীর্ঘ দিনের লালিত রাজতন্ত্রের আসন থেকে ক্ষমতাচ্যুতও হতে পারে তারা। তাই তারা ইসলামের রক্ষণশীল নিয়মগুলো আস্তে আস্তে ঝেড়ে ফেলে উদার হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। সৌদি আরব নিজেই ইসলামের বিভৎস পথ থেকে সরে আসতে চায়লেও কিন্তু অন্য উন্নয়নশীল মুসলিম দেশগুলো ইসলাম থেকে সরে এসে উদার হোক তা সৌদি আরব চায় না। তারা এখনো সমানভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে মসজিদ-মাদ্রাসা ভিত্তিক ইসলামের প্রচার ও প্রসারের জন্য বিশাল বহরে অর্থ অনুদান দিয়ে থাকেন। সৌদি আরব এই  অনুদান এখনো বন্ধ করেনি। বাংলাদেশের মাদ্রাসা গুলোয় ঝাঁক ঝাঁক চরমপন্থী ইসলামিস্ট তৈরির নৈপথ্যে থাকে সৌদি আরবের বিশাল একটা অনুদানের অংশ।


চীন। বর্তমান চীন দেশটি ধর্মপ্রান মুসলমানদের জন্য সাক্ষাৎ এক নরক বললে অত্যুক্তি হয়না৷ এখানে মুসলমানদের জন্য নুন্যতম ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই। আর চীন সরকার যেভাবে পারে সেখানে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা জোর করে কেড়ে নেয়। ইসলামের ভাইরাস যাতে আক্রান্ত করতে না পারে তার জন্য কিছুদিন আগে আরবী হরপের লেখা নিষিদ্ধ করেছে চীন। চীনের জিনজিয়াং নামে একটা প্রদেশ আছে, যেখানে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এখানে চীন মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণ করে ঠিক মধ্য যুগীয় বর্বর কায়দায় সীমাহীন দমন নিপীড়ন চালিয়ে। যখন ইচ্ছে তখন মুসলমানদের ধরে নিয়ে শাস্তি দেয়। উইঘুরে লক্ষ লক্ষ মুসলমানের জীবন যাত্রা চীন অবরুদ্ধ করে রেখেছে। যেখানে মুসলমানদের নুন্যতম মানবাধিকার নেই।


 ওখানে মুসলিমদের রোজা, নামাজ ও আযানের উপর আছে চীন সরকারের কড়া বিধি নিষেধ। চীন চায় না ইসলাম নামক বিষবৃক্ষটি তাদের অঞ্চলের মহীরুহ হয়ে সাম্প্রদায়িক ভাইরাস ছড়াক। কিন্তু চীন চায় ভারতে ইসলামী চরমপন্থীরা বিস্তার লাভ করুক। ভারতকে অস্থিতিশীল রাখুক। তাই তারা বন্ধু হিসেবে বেছে নিয়েছে ভারতের চির বৈরী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে। পাকিস্তানের মদদপুষ্ট সন্ত্রাস গৌষ্ঠি জইশ মুহম্মদের প্রধান মাসুদ আজাহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জে সন্ত্রাসের তালিকায় তালিকাভুক্ত করতে ভারতের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ভারত যত বারই রাষ্ট্রপুঞ্জে মাসুদ আজাহারেরকে সন্ত্রাস হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য তাদের দাবী প্রেস করেছে, তত বারই চীন রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থায়ী সদস্যের অধিকার বলে ভেটো দিয়েছে। দ্বিতীয় মেয়াদে নরেন্দ্র মৌদি ক্ষমতায় এসে মাসুদ আজাহারেরকে রাষ্ট্রপুঞ্জে সন্ত্রাস হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এবার অবশ্য চীন ভেটো প্রদানে বিরত থেকেছে।

আমরা জানি যে, চীন পাকিস্তান পরম বন্ধু। সেই পাকিস্তানের জম্মলগ্ন থেকেই চীন পাকিস্তানের বন্ধু হিসেবে পাশে থেকে আসছে। পাকিস্তানের দুর্দিনে ঋণের ঢালা নিয়ে সব সময় সহায়তা করেছে। তবে আমেরিকা এক সময় পাকিস্তানের পরম বন্ধু ছিল। এখন আস্তে আস্তে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে। পাকিস্তানের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল আফগানিস্তানের পরম বন্ধু সোবিয়েত ইউনিয়নকে ঠেকাতে। তখন সোবিয়েত ইউনিয়ন ও আমেরিকা স্নায়ুযুদ্ধ ছিল চরমে। ১৯৭৯ সালের দিকে আফগানিস্তানে যখন সোবিয়েত ইউনিয়নের সমর্থিত সরকারের টলমল অবস্থা, আরে দিকে তালেবানদের উত্থান। সব মিলিয়ে আফগানিস্তান তখন যুদ্ধ কবলিত এক দেশ। আফগানে একদিকে সোবিয়েত ইউনিয়নের সৈন্য, আরেক দিকে তালেবানদের বিদ্রোহ। সোবিয়েত ইউনিয়ন ভেবে ছিলো এই যুদ্ধে তারাই জয়ি হবে। কিন্তু শেষমেষ পারেনি। তারা সৈন্য নিয়ে ফিরে গিয়েছিল। আমার এই লেখার উদ্দেশ্য সোবিয়েত ইউনিয়ন ও আফগান যুদ্ধের ইতিহাস অবতারণা করা নয়, কিভাবে ইসলামের ভাইরাস তালেবানদের এখানে উত্থান হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করা।
সম্ভবত সোবিয়েত ইউনিয়ন ও আফগান তালেবানদের যুদ্ধ প্রায় ১০ বছর স্থায়ী ছিল। ১৯৯০ এর দিকে সোবিয়েত ইউনিয়ন এর সৈন্য পাততাড়ি গুটিয়ে চলে যায়। সোবিয়েতকে ঠেকাতে আফগানিস্তানের তালেবানকে সেই সময় সৃষ্টি করা হয়েছিল, যে তালেবান সৃষ্টির পেছনে প্রত্যক্ষ মদদ ছিল আমেরিকার। অর্থ থেকে শুরু থেকে অস্ত্র  প্রশিক্ষণ সহ সমস্ত কিছু সহয়তা দেয়া হতো তালেবানদের। পাকিস্তানে এদের প্রশিক্ষণ চলত। আবার সেখানে সৌদি আরবের পেট্রো-ডলারও যুক্ত ছিল। সোবিয়েত ইউনিয়ন খুব জেদের বসে ওখানে পরে না থেকে চলে এসে খুব বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিল। অথচ ইতিহাসের আজ কি নির্মম পরিহাস। সোবিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ইসলামিক ভাইরাস যে তালেবানকে আমেরিকা সৃষ্টি করেছিল, আজ সেই আমেরিকাকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে তাদেরই সৃষ্ট সন্ত্রাস গোষ্ঠী তালেবানদের সাথে।
আমেরিকার সাথে তালেবানদের যুদ্ধ হয়েছিল সেই ২০০২ সালে। এই যুদ্ধ ১৭ বছর ধরে চলছে। এখনো পর্যন্ত এর কোনো সুরাহা হয়নি। আমেরিকা না পারছে চলে আসতে না পারছে দেশটির তালেবান সমস্যা সমাধান করতে। তালেবান সমস্যা আমেরিকা জন্য এই এক অস্বস্তিকর অবস্থা।
ও হ্যাঁ যা বলছিলাম, চীন ও পাকিস্তানের বন্ধুত্বের কথা। এতকাল পাকিস্তানের পরম বন্ধু ছিল আমেরিকা ও চীন। এখন আমেরিকার সাথে পাকিস্তানের সেই ঝিগিরি বন্ধুত্ব আর অটুট নেই। এখন পাকিস্তানের একমাত্র কাছের বন্ধু বলতে আছে চীন। স্বাভাবিক ভাবে একটা প্রশ্ন জাগে যে, চীন কি সত্যিই পাকিস্তানের প্রকৃত বন্ধু? যদি প্রকৃত বন্ধু হয় তাহলে আজকের পাকিস্তানের অবস্থাটা এই জায়গায় কেন? পাকিস্তানের সাথে সন্ত্রাসবাদ তকমা জড়িয়ে গেল কেন?  কেন পৃথিবীর অধিংকাশ সভ্য দেশগুলো জানে যে পাকিস্তান একটা সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র? কেন বলে যে, পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি জঙ্গি সন্ত্রাসের আতুর ঘর? একজন প্রকৃত বন্ধু দেশ কি কখনো চায় তার পরম বন্ধু দেশটি হরহামেশা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ কার্যকলাপে লিপ্ত থাকুক?  কিন্তু চীন সব সময় চাই পাকিস্তান জঙ্গী কার্যকলাপ করে সব সময় ভারতের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে থাকুক। কারন ভারত হল দক্ষিন এশিয়ার উদীয়মান এক পরাশক্তি। যা নয়া সাম্রাজ্যবাদী চীন কোন ভাবেই মানতে পারছে না। আচ্ছা পাকিস্তান এই চীনের সাথে বন্ধু বন্ধু করে অর্থনীতিতে কয় ইঞ্চি এগিয়ে গেছে? তাদের জিডিপির গতি কতখানি বেড়েছে? তাদের শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার কতোটা উন্নতি হয়েছে? এগুলি পাকিস্তান রাষ্ট্রের বলদ পরিচালকরা কখনো ভেবে দেখেছেন কি? তারা রাষ্ট্রীয় ভাবে শুধু ভেবেছিল ভারতে কিভাবে মুম্বাই হামলা করা যায়, কিভাবে উরি হামলা করা যায়, কিভাবে পুলওয়ামা হামলা করা যায়, কাশ্মীরি যুবকদের জঙ্গিবাদে মদত দিয়ে কিভাবে কাশ্মীরকে অস্থির রাখা যায়, এই নিয়ে তারা মত্ত ছিলো।


--সৌদি আরব পালটে যাচ্ছে, সৌদি আরব বর্তমানে বুঝতে পারছে সবকিছু নিয়ে খেলা যায়, কিন্তু ইসলাম নিয়ে খেলা যায় না। ইসলাম নিয়ে খেললে পরবর্তী তার দেশটি আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, তিউনিসিয়া ও পাকিস্তানের মতো পরিনতি বরণ করতে হতে পারে। এই জায়গায় চীন তো খুব পরীক্ষীত একটা খেলোয়ার। তারা পাকিস্তানে জঙ্গি উৎপাদনে উৎসাহিত করলেও কিন্তু নিজ দেশে মুসলমানদের দমন করে কঠোরভাবে। যাতে তাদের দেশে ইসলামি জঙ্গীর বীজ অঙ্কুরেই ধ্বংস হয়ে যায়। বাংলাদেশও সৌদি আরবের পেট্রো-ডলারের বাইরে নয়। এদেশের অধিকাংশ মাদ্রাসাগুলো চলে সৌদি আরবের অনুদানে। যেখান থেকে তৈরি হয় ইসলামি  ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা। যাতে এই ধর্মান্ধ মৌলবাদরা পরবর্তীতে সৌদি আরবের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। একদিকে সৌদি আরব ইসলামের প্রচার ও প্রসারের নামে অনুদান দিয়ে দিয়ে মুসলিমদের রাষ্ট্র ব্যবস্থাগুলোকে ইসলামি করন করছে, আরেক দিকে চীন নিজের নয়া সাম্রাজ্যবাদ স্বার্থের জন্য বন্ধু বলে বলে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে উজ্জীবিত করে পুরো রাষ্ট্রীয় কাটামো জর্জরিত করে দিচ্ছে।  এই থিওরি পাকিস্তান যত আগে বুঝে তত তাদের রাষ্ট্র ও জনগনের জন্য মঙ্গল।

লিখেছেন-অপ্রিয় কথা

↑PREVIOUS-ইসলাম এবং যৌনতা 

NEXT-আরব্য সংস্কৃতির দাস এবং বাংলাদেশি মিসকিনদের অবস্থা

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জাতীয়তাবাদ আরেকটি ধর্ম বই

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। বা দদূএকটি রূপ আধ্যাত্মিকতা ও ধর্ম হিসাবে মানুষের দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থার দ্বিতীয় বড় চালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রস্তরযুগে আরো একটি ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল। মানুষেরা নিজেদের গ্রাম বা নগরকে কেন্দ্র করে একটি সামষ্টিক পরিচিতি অনুভব করে শুরু করেছিল। বোধ করি তখন থেকেই মানুষের দলবদ্ধতার তৃতীয় চালক জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। বর্তমানে সারা দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদ নানান চেহারায় দলবদ্ধতার সবচাইতে শক্তিশালী চালক হিসাবে বিদ্যমান। একটি নৃগোষ্ঠী যখন পুঁজিবাদী হতে শুরু করে, যখন সে একটি কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্র গঠন করে তখনই সে একটি জাতিতে পরিণত হয়। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ আমাদের দেশের রাজনীতিতে কাছাকাছি আছে ইতিহাসের শুরু থেকে। মহাভারত থেকে আজকের খালেদা-হাসিনার রাজনীতিতে ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ একে অন্যের হাত...

গাজওয়াতুল হিন্দ

গাজওয়াতুল হিন্দকে বর্তমান বাংলাদেশ ভারত ও নেপাল শ্রীলংকার জিহাদীরা তাদের মনে আটকে রেখেছে। এই বিষয়ে নানা মতাভেদ থাকলেও সকল মুসলিম জিহাদীরা মনে করে বা আ শা করে যে ইসলাম সারা পৃথীবিতে এই জিহাদের মাধ্যামে প্রতিষ্টা হবে। তারা এটাকে মর্যাদার্পূণ জিহাদ বলে মনে করে। ইসলামের ভিত্তির অন্যতম হলো জিহাদ। ইসলাম প্রতিষ্ঠাকালীন প্রচুর যুদ্ধ করা এবং হত্যার পরেই মানুষ ভয়ে ইসলামকে গ্রহন করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ভায়রাস বলা হয় ইসলামকে। এই ভায়রাস আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে গাজওয়াতুল হিন্দকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে জিহাদীরা তাদের দলে লোক বেসি করার জন্য অনলাইনে সহ নানা জাগাতে ঠিক এই ভাবে মুসলিমদের উপর প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে "গাজওয়াতুল হিন্দ বা ভারতবর্ষের যুদ্ধ সম্পর্কে কি আপনি অবগত? আপনি কি কাফের মুশরিকদের সাথে লড়াই করতে প্রস্তুত?" ইসলামীষ্ট  জিহাদীরা ঠিক এভাবে চাই যে সারা পৃথিবীতে সবচে’ বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটা হবে হিন্দুস্তান তথা ভারতের হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের যা সমস্থ জ্ঞানি ইসলামি স্কলার এবং আলেম উলামা জানে। মুসলমানদের জন্য এটা খুব বড়  জিহাদ এবং এই জিহাদের গুরুত্ব অপরিসীম। এই...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...