সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শিল্পী

একজন মানুষ শিল্পী হয়ে ওঠে কখোন ? এবং শিল্পের চর্চা করে কেনো ? - নিজেকে জোর করে শিল্পী ভাবার আগেই সেই প্রশ্নের উত্তর আমাদের খুঁজতে হবে । আমার মতে - (সংক্ষেপে ও সাধারণ ভাষায় লিখছি) - একজন মানুষ যখন - মানুষ ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা অনুভব করতে শুরু করে , সততাকে অনুভব করে ও সততার চর্চা করতে শুরু করে এবং পৃথিবীর সবকিছু সততা সহ বিজ্ঞানের সুত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারে বা ব্যাখ্যা করতে সচেষ্ট থাকে । এবং সেই মানবিক মানুষ যখন দেশ ও পৃথিবীতে একটি সুষ্ঠ সমাজ ব্যাবস্থা চায় - তখন সে প্রকৃত মানুষ হয় এবং এই মানুষ যখন - অন্য মানুষ বা সমাজ ও পরিবেশ প্রকৃতির জন্য ইতিবাচক কিছু একটা করতে নিজের ভেতর দায়ীত্ববোধ উপলব্ধি করে - তখন সে শিল্পের যে কোনো একটা বা একের অধিক মাধ্যম বেছে নেয় - তার সৃজনশীল কাজ করার উদ্দেশ্যে ও আবেগ প্রকাশের জন্য - তাকেই তো আমরা শিল্পী বলতে পারি । তাই তো ? সুতরাং একজন লেখক বা শিল্পী তো মানুষ , সমাজ ও পরিবেশ প্রকৃতির কল্যান বাদ দিয়ে - অবশ্যই জনপ্রিয় হতে বাজারে বিক্রি হওয়ার জন্য তার শিল্পকর্ম তৈরী করবেনা !! সে তার কাজটা যেই সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে করতে চেয়েছে - সেই উদ্দেশ্যটাকেই তার কাজে ...

নারীবাদ বা নারীমুক্তির সংগ্রাম

নারী মাত্রেই নারীবাদী নন। নারীবাদী মাত্রেই নারী নন। পিতৃতান্ত্রিক সমাজবাস্তবতায় নারীবাদ নারীর অন্তিম অর্জন না প্রাথমিক শর্ত সেই নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে, কিন্তু এটা খুব সত্যি, নারীবাদ পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে নারীর অন্যতম প্রতিরোধ। কিন্তু বর্তমান ধনতান্ত্রিক পুঁজিবাদী বিশ্বে নারীবাদ কি আদৌ নারীর রক্ষাকবচ হয়ে উঠতে পেরেছে? এই প্রশ্নগুলির সাথে আমরা কতটুকু পরিচিত। আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের সাথে এই প্রশ্নগুলিই বা কতটুকু সংশ্লিষ্ট? আমি বলছি আমাদের সাধারণ জনসাধারণের কথা। আমাদের দৈনন্দিন পারিবারিক জীবনচর্চার সামাজিক পরিসরে নারীবাদের প্রাসঙ্গিকতাই বা কতখানি? এবং নারী নিজে কি ভাবে দেখে থাকে এই বিষয়গুলি? না বিষয়টি এতটাই ব্যাপক ও বৈচিত্রময় যে, এক কথায় এর কোন উত্তর হয় না। কিন্তু আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের পরিসরে, আমাদের সামজিক রীতিনীতির পরতে পরতে উত্তর রয়ে গিয়েছে প্রতিটি প্রশ্নেরই। পিতৃতন্ত্রের স্বরূপ ও ইতিহাস নির্ণয়ের দিকে না গিয়েও একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, কালের নিয়মেই পিতৃতন্ত্রের প্রকরণ ও অনুষঙ্গেও বদল ঘটেছে বিস্তর। আধুনিক প্রযুক্তির বিপ্লব ও ধনতন্ত্রের একচ্ছত্র বিশ্বায়নেই ঘটেছে এই পরিবর্তন। ...

স্মৃতির পাতায় একজন অনন্ত বিজয় দাসের খোঁজ

অনন্ত বিজয় দাস ও "যুক্তি" ছোট কাগজের প্রথম সংখ্যার সাথে আমার কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে - বছর ছয়েক আগে একটা ও বছর দুয়েক আগে একটা - মোট দুইটা স্মৃতিচারণ লিখেছিলাম সেই স্মৃতি নিয়া - কিন্তু সেই লেখাগুলো এখন কোথায় আছে কে জানে !! তাই আজ আবার নতুন করে লিখতে বসলাম - যাইহোক , 2007 সালের মাঝামাঝি থেকে 2008 সাল পর্যন্ত "যুক্তি" ছোট কাগজ বিষয়ে - অনন্তের সাথে আমার কয়েকবার মুঠোফোনে কথা হয়েছে ও দেখা হয়েছে ঢাকার শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে । আজিজ মার্কেট থেকে যুক্তি ছোট কাগজের প্রথম সংখ্যার শদুয়েক কপি এবং দ্বিতীয় সংখ্যার আরো শতখানেক কপি বিক্রি করে প্রচার করেছিলাম নিজের স্ব-উদ্যোগে স্ব-প্রণদিত হয়ে । তখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাহবাগ কাটাবন কেন্দ্রিক লেখক পাঠক ছাত্র শিক্ষক সাংস্কৃতিককর্মী  বুদ্ধিজীবী রাজনীতিবিদ কেউই কিন্তু যুক্তি পত্রিকাকে চিনতো না । হলো কি - আমি একদিন শাহবাগের আজিজ মার্কেটে ছোট কাগজ কেনার জন্য ঘোরাঘুরি করছিলাম - ঘুরতে ঘুরতে তক্ষশীলায় ঢুকলাম - নতুন কোনো ছোট কাগজ এসেছে কি না খুঁজতে ছিলাম , দেখলাম - এককোনায় ধুলার আস্তরণ সহ অযত্নে পরে থাকা নতুন একটা ছোট কাগজ - নাম ...

ধর্মান্ধ বেকুবের নিস্ফল দূরাশা

শুধু গাছের ভালোটা খাওয়ার লোভে যে লোকেরা তলারটা না খেয়ে হেলাফেলা করে , শেষে গাছেরটা কিন্তু তাদের খাওয়া নাও হইতে পারে !! তেমনি অতিলোভী মুর্খ আহাম্মক ধর্মান্ধ বেকুবেরা কল্পনার স্বর্গবেহেশেতের লোভে দুনিয়াদারি ছাইরা দিয়া - মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিষ্ফল দূরাশায় দুনিয়ার সুখশান্তি হারায় ।  - আর মৃত্যুর পর তারা স্বর্গবেহেশতও পায় না , কারণ স্বর্গবেহেশের তো অস্তিত্বই নাই । যার অস্তিত্বই নাই - সেই জিনিস পাওয়া কেমন সম্ভব !! ?? এই সাধারণ কথাটা ধার্মিকেরা না বুঝলেও - সহজাত জিজ্ঞাসুর নিতান্ত বালক মাত্রেও বোঝে - নগত যা পাও , হাত পাইতা নাও ; বাকির নাম ফাঁকি । 'ধর্মান্ধ বেকুবের নিস্ফল দূরাশা' - খান ওয়াহিদুজ্জামান (25-29 এপ্রিল 2020)

অনাহূত আমি

জন্মাবার পর যখন জ্ঞান হলো চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলাম ভয়াল সমুদ্রের মাঝে মা-বাবা নামক ছোট্ট এক ডিঙ্গির কোলে আদরে শাসনে ভাসছি - - - - আর কিছুটা বড় হয়ে মনে হলো - চতুর্পাশে যারা আছে তাদের একগাদা শত্রুর বলা ছাড়া ভিন্ন কোনো শব্দে ডাকা যায় কি ! ? - - দিনেদিনে বুঝলাম এ পৃথিবী আমার নয় । ততদিনে বাবা ও মা চলে গেছেন প্রকৃতির নিয়মে - - আর আমি , মানুষরূপী স্বার্থান্ধ ভন্ডদের ঠোক্কর খেতেখেতে উপলব্ধি করছি - আমি বড় একা !! এতো একা , এতো নিঃসঙ্গ যে মন খারাপ হলে অন্তত একটু কথা বলার জন্য হলেও কাউকে ডেকে পাইনা , হায় , আমার কথা বোঝার মতোনও আশেপাশে কেউ নাই । এইসব কারণেই বুঝতে পারি , এই পৃথিবী আমার নয় । 'অনাহূত আমি' - খান ওয়াহিদুজ্জামান ( 21.02.2020 )

দ্বি-পাক্ষিক সংলাপ

‘এই ছেমরি , তুই যে এমন পোলা গো সাথে সারাদিন রাইত মুঠোফোনে ঘুসুর-ঘুসুর ফুসুর-ফুসুর করিস , সত্যি করে বল , আসলেই কি তুই কখনো কারো প্রেমে পড়িস ?’ - ‘ও , সব দোষ হইলো মাইয়া গো ? পোলা গো কোনো দোষ নাই ! ? ক্যান , মাইয়া দেখলেই তোদের কি , জাইগা ওঠে না রোশনাই ? তোদের রাতগুলা যায় কথা বলে , দিন তো তোদের যায় না , যাদের সাথেই মিথ্যা করে কথা বলিস , হুম ! কেউই তোদের পায় না !!’ 'দ্বি-পাক্ষিক সংলাপ' - খান ওয়াহিদুজ্জামান ( 26-04-2020 )

কাজল , তোমায় ভুলি নাই

বিন্দু থেকে বৃত্তাবধি আলোর কণা জ্বলবে স্বাধীনতা বজায় রাখতে , কথা ঘাষফুলটাও বলবে ! বিশৃঙ্খলার মেঘে সত্যকে ঢেকে রাখতে - অন্ধকারের দেয়াল যতো তৈরী করো , হায় ! একনায়কের দেয়াল ফুঁরে প্রান্তিকের বস্তিতেও , অপার সূর্যের আলো পৌঁছে যায় । তাই - ভুলি নাই , কাজল তোমায় ভুলি নাই - দস্যুবৃত্তির এই রাষ্ট্রে তোমাকে ছেড়ে যাই নাই । কাজল তোমায় ভুলবো না , তোমাকে ছেড়ে যাবো না ; এই নীরাশায় তোমাকে ছেড়ে বেঁচে থাকতে পারবো না । *(কী ! ? কাজলকে চিনতে পারলেন না ! ? কাজল একটা প্রতিকী নাম । একজন রাজনৈতিক সচেতন প্রতিবাদী বাঙালীর প্রতিক । সরকারের দুর্নীতি ধরিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ করার কারণে - যেই কাজলকে স্বৈরাচারী সরকার বারবার জেলে ভরে ।) 'কাজল , তোমায় ভুলি নাই' - খান ওয়াহিদুজ্জামান (22এপ্রিল - 03মে , 2020)

যখন দাঁড়াই প্রতিচ্ছবির সামনে

শরীরটা আমার । তাই আমার শরীর নিয়া আমি কি করবো সেই স্বাধীন সিদ্ধান্ত একমাত্র আমিই নিতে পারি । আমার নিজের শরীর নিয়া আমি কি করবো সেইটা আমার ইচ্ছা ও আমার সিদ্ধান্ত - অন্যেরা এই ব্যাপারে কোনো মাতব্বররি ও স্বৈরাচারীতা করতে পারবেনা । ঠিক আছে ? বুঝাইতে পারলাম ?  অতএব , নারীর শরীর ও নগ্নতা এমন কোনো নিষিদ্ধ কিছু না , যে নারীর শরীর সহ প্রত্যেক মানুষের শরীর ঢেকে রাখতেই হবে বা প্রয়োজন ছাড়াই অতিরিক্ত কাপড় দ্বারা অবরুদ্ধ করে রাখতেই হইবে ?? পোশাক আমরা ব্যবহার করবো শুধু আমাদের শরীরকে নিরাপদ রাখার জন্য , কাউকে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সুবিধা দেয়ার জন্য না ।  কিন্তু - কেউ যদি বিভিন্ন পোশাক পরিধান করার মাধ্যমে একটা নতুন ধরন ও শৈলী বা ঢংএ নিজেকে উপস্থাপন করে সেইটা যারযার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও পছন্দ বা ইচ্ছা - এতে অন্যদের বাঁধা দেয়া ও সমালোচনা করার কিছুনাই , আর করলেও সেটা হবে মূর্খতা , বোকামী ও মূঢ় বেকুবের মতো অর্থহীন একটা কাজ ।  আমার ফেবুর প্রফাইল ছবিতে কেনো নারীর নগ্ন শরীরের ছবি ব্যবহার করলাম , জানেন ? এখন বলছি - করলাম কারণ , আমাদের মূর্খ অসভ্য কুপমুন্ডক সমাজের আমজনতারা বংশপরম্পরায় ...

বাঙালি এবং লেখকের জীবন

লেখকের বেঁচে থাকার প্রথম শর্ত তার পরিবারের স্বীকৃতি।এখানে স্বীকৃতির অর্থ হচ্ছে-লেখালেখি যে একটি কাজ,অন্য মতোই একটি কাজের, এবং সেই কাজের জন্য মনোযোগ,সময় এবং শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়-এই বোধটা তৈরী হওয়া।লেখালেখিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে নাই বা ধরা হলো। কিন্তু এটি যে একটি কাজ,এই স্বীকৃতিটা পরিবার থেকে আসা খুব প্রয়োজন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিশ্রুতি বান লেখক শেষ পর্যন্ত যে লেখক হয়ে উঠতে পারে না,লেখক জীবন যাপন করতে পারেন না,লেখালেখির জগত থেকে তাদের যে অকাল বিদায় নিতে হয়,তার সবচেয়ে বড় কারণ এটাই।লেখালেখিকে পারিবারিক ভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া।দেশের অন্য সব মানুষদের মতোই বেশির ভাগ পরিবারে লেখালেখি একটি নেহাৎ ই শখের জিনিস।তারুণ্য বা অংকুরোদ্গমী যৌবনে যৌনতার চুলকানিরও পেয়ে বসে আমাদের দেশের মানুষদের।তখন তাদের লেখাকে বাবাহা দেয় বাড়ির ভাবীরা,কাকা-জ্যাঠারা,সহপাঠীরা,বা তার কোন প্রেমিক-প্রেমিকাও।কখনো কখনো এমনকি বাবা মাও।তারা সকলেই অবচেতনে,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানে যে,এই চুলকানি বেশিদিন থাকবে না।কিন্তু যার ক্ষেত্রে থেকে যায়,অর্থাৎ যে বুঝে যায় যে লেখক হওয়াটাই তার ভবিতব্য,সমস্যাটা তার ক্ষ...

রোজাহত বিদ্যানন্দ বা এক নিমিষেই

শুরু করি রুদ্রের কবিতা দিয়েই..... ভুল ভেঙে গেলে ডাক দিও, আমি মৃত্যুর আলিঙ্গন ফেলে আত্মমগ্ন আগুন ললাটের সৌমতায় তোমার লিখে দেবো একখানা প্রিয় নাম- ভালোবাসা । বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর লোগো  ২.বিদ্যানন্দ একসময় নিজেদের নাম পরিবর্তন করার জন্য ভোটা-ভোটি করেছিলো।কিন্তু সেইসময় হয়তো, ৯০% মুসলমান বাঙ্গালী সেই সংগঠন এর সাথে ছিলো না এর জন্য ভোটা ভোটিতে বিদ্যানন্দের নামটা পরিবর্তন হয়নি। এখন যেহেতু ৯০% হইয়া গেছে সেহেতু নামটা ইসলামীকরণ করা যেতেই পারে। ফেসবুক এর কল্যাণে ইসলামিক কিছু নামের প্রস্তাব এসেছে। এই যেমন,শফীনন্দ, ইলেমানন্দ,কিতাবানন্দ,মোল্লানন্দ,কুরানানন্দ,আল্লানন্দ,বা ধরেন আল্লার দান। খুজলে এরকম আরো অনেক নামের প্রস্তাব পাওয়া যাবে। এগুলোর যেকোন একটা নাম রেখে দিলেই হয়। আল্লাও খুসি আপনিও খুসি আপনার আমার প্রাইম জোকারও খুসি বলা যায় এতে। ৩.বিদ্যানন্দের এরকম মুষড়ে পড়াতে বেশির ভাগ লোকের মতামত হইলো মুলসম্যানদের লাফালাফিই হয়তো কারণ। বেশির ভাগ বলতে এই কারণেই আমাদের এই কমিউনিটিতে বেশি দেখি যাদের সেক্যুলার সমাজের চিন্তা ভাবনা দেখে আসছি তাদের কথাই বলতেছি। কিন্তু সহজ ভাবে একটু চিন্...

শাড়ি

'নারীর পোশাক শাড়ি' - এইটা কে বা কারা আইন করে , নীতিমালা করে নির্ধারণ করলো !! ?? শাড়ির মতো ছয় গজের এমন বিশাল একটা কাপড়কে সায়াব্লাউজ সহকারে পরিধান করার পর একজন মানুষ কি সচ্ছন্দে চলাফেরা বা কাজ করতে পারে , বুঝি না !! ?? শাড়িকে যদি নারীর পোশাক হিসেবে নির্ধারণ করা হবে - তাহলে পুরুষ কেনো চার গজের ধুতি ও ফতুয়া পড়বেনা ?? পুরুষ ঐতিহ্যময় পোশাক ধুতিফতুয়া ত্যাগ করে যদি ভিন্ন কোনো আরামদায়ক ও কাজে সাহায্যকারী পোশাক পরতে পারে - তবে নারী কেনো শাড়ি ত্যাগ করে অন্য কোনো আরামদায়ক ও কাজে সাহায্যকারী পোশাককে বেছে নেবেনা !! ?? না , ভারতবর্ষের বাঙালীর ঐতিহ্যময় পোশাক শাড়িধূতিকে আমি অসম্মান করছি না । বরং আমি চাই ভারতবর্ষের বাঙালীর ঐতিহ্য টিকে থাকুক । তবে সেইসব ঐতিহ্যকে আমি টিকিয়ে রাখতে চাই যা যৌক্তিক , বিজ্ঞানভিত্তিক অর্থ্যাৎ বিজ্ঞানের সুত্র দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় ও যা সময় ও যুগোপযোগী ইত্যাদি ; বাকিটা ঐতিহ্য হিসেবে জাদুঘরে সংগ্রহ থাকুক । সুতরাং ভারতবর্ষের বাঙালীর ঐতিহ্যময় পোশাকের মধ্যে যেইসব পোশাকগুলো কাজ ও চলাফেরার জন্য পরতে সাবলীল ও আরামদায়ক - আমার মতে সেইসব পোশাকই ভারতবর্ষের বাঙালী নারীপুরু...

অমানবিক এই অযথা বেঁচে থাকা

বেঁচে থাকার ন্যুনতম একটা অর্থ তো অবশ্যই চাঈ , চাই । কোনো একটা অর্থ দাঁড় করাতে না পারলে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে না পারলে - অমানবিক যন্ত্রণা ও কষ্ট সহ্য করে , প্রতিনিয়ত নিজের ভালো লাগাকে ত্যাগ করে , স্বার্থপর ভন্ড নেতাদের কাছে হার মেনে , পরের জন্য নিজেকে নিঃশ্বেষ করে দিয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি যন্ত্রণার মাঝে অযথা বেঁচে থেকে নিজেকে পিশে মারবো কেনো !! ?? তার চেয়ে এই কষ্টকর জীবনটার সমাপ্তি ঘোষনা করাই তো ভালো !! আমি - এই জীবনে কতবার যে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম তার সংখ্যা মনে নাই - - - খান ওয়াহিদুজ্জামান (04.04.2020)

অরিজনাল সিন অব পারভারশন

লেখকঃআবু তাহের তারেক। গ্রামে পারভারশনের পরিমাণ শহরের চাইতে কম। গ্রামে মূলত বিচার বেবস্থার হর্তাকর্তারা নৈরাজ্যমূলক কামকাজ যেমন খুন-গুম-মারামারি-নারী নির্যাতন এইগুলা করে। এর বাইরে, এদের মইদ্যে একটা সেক্সুয়াল কনসেন্টমূলক পরিবেশ বিরাজ করে। নারীদের কাম নারীরা করে। পুরুষের পাশাপাশি থাইকাই। ফলে, তাদের নিজেদের মইদ্যে আলাপের, ভুল বোঝাবুঝির, সমঝোতার স্পেইস সবসময় থাকে। শহরে বা বা উপশহরে মানুষের লগে মানুষের মিশামিশির এমন স্কৌপ নাই। এইখানে হিন্দুর জাতপ্রথার মত শিক্ষিতে অশিক্ষিতে, ধনীতে গরীবে, সুন্দরে অসুন্দরে বিভেদের দেওয়াল। প্রতিটা বাড়িতে দেওয়াল। দেহে দেওয়াল। মনে দেওয়াল। গ্রামের যে মেয়েটা শহরের সাহেব লোকদের বই পড়ে ইশকুল কলেজে, তাইও এই দেওয়াল সোসাইটির বাসিন্দা হয়। এই দেওয়াল সোসাইটির বড় যে প্রব্লেম তার অইন্যতম হইল সেক্সুয়াল পারভারশন। আপনারা দেখবেন প্রতিটা শহরের কোনায় কোনায় মাগিদের আনাগোনা। বাসায় বাসায় মাগিব্যাবসা। কিন্তুক, গ্রামের মানুষদের মইদ্যে এই মাগিবেবসা প্রায় নাই। কেনেনা, তাদের সেক্সুয়ালিটি, সেক্সুয়াল কনসেন্ট, অবাধ মিলমিশ তারারে মানসিকভাবে অসুস্থ/পারভার্ট হইতে দেয় না। শহরে বিচত্র ...

সমসাময়িক ঘটনা

সমসাময়িক ঘটনা... মসজিদে নামাজ বন্ধ হাওয়ার পরে এলাকাই নানা রকমের সমালোচনা হচ্ছে। এলাকার কুখ্যাত শিবিরের বড় ভাই তো সেদিন রাগে দুঃখে বলেই দিছে মসজিদের আর দরকার নাই বন্ধ করে দেন মসজিদ। এলাকার এই বড় ভয়ের দুঃখ দেখে আমারও মন টা খারাপ হয়ে গেলো। ব্যাচারা তো আর সেখানে বসে জিহাদের পরিকল্পনা করতে পারবেনা। ভারতীয় নায়িকাদের গনিমতের মাল হিসেবে পাওয়ার জন্য দুয়া মুনাজাত করতে পারবেনা। এই ইন্ডিয়ান গনিমতের মালের জন্য বড় ভয়ের আমি কতো কান্নাকাটি করতে দেখেছি। মাঝে মাঝে তো আমি আবাক হয়ে যেতাম ভাইরে দেখে, বাড়ি একটা বউ থাকার পরেও কিভাবে আল্লার কাছে গনিমতের মালের জন্য কান্দে। যাই হোক বিষয় ওটা ছিল না বিষয় ছিল মসজিদ বন্ধের পর ওই বড় ভায়ের সাথে দেখা করে আমি বল্লাম ভাই চিন্তা টেনসন করেন না। মসজিদ আবার খুলবে। আর না খুল্লেই বা কি আল্লা তো বলেই দিছে মুমিনদের জন্য সব স্থান মসজিদ। আপনে বাড়ি নামাজ পড়বেন। ভাই আমার কানের কাছে এসে নিরবে একটাই কথা বলল 'সজিব তুমি কি মানো ইসলামে ছোঁয়াছে বলে কোন রোগ নেই! আরে কি যে বলেন ভাই আমার মতো খাঁটি মসুলমান এইডা মানবেনা। করোনা ভয়ে মসজিদ বন্ধ এই জালেম সরকার করলেও কোন ব্যাপার না। এই...

স্বাধীনতা

আমার কাছে স্বাধীনতা ও মুক্তির অন্যতম শর্ত হলো মত প্রকাশের স্বাধীনতা , নিজের ভালো লাগা অনুযায়ী সাহিত্য , সংস্কৃতি , শিল্পের চর্চা করা । সুতরাং শিল্পী , সাহিত্যিক , সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব , বুদ্ধিজীবী ইত্যাদিদের বন্দি করে , অত্যাচার করার মাধ্যমে তাঁদের কাজের ক্ষেত্র খর্ব করে থাকে যেই রাষ্ট্র , দেশ ও সমাজ - সেই রাষ্ট্র , দেশ ও সমাজ মোটেই স্বাধীন নয় । আসলে একজন লেখকের যা লিখতে ইচ্ছা করবে বা একজন শিল্পীর যেই শিল্পকর্ম করতে ইচ্ছা করবে তিনি সেইটাই লিখবেন বা করবেন , সেই স্বাধীনতা লেখক-শিল্পীর থাকতেই হবে যদি সভ্যতার বিকাশ চান , যদি মানবতাকে এগিয়ে নিতে চান , যদি জীবনটাকে বৈচিত্র্যময় ও আনন্দময় করতে চান । কিন্তু এইটা নিয়া পাঠক দর্শক শ্রোতারা কিছু বলে লেখক-শিল্পীকে বিব্রত করে কোনো সীমাবদ্ধতা তৈরী করার অধিকার নাই । পাঠকের ভালো লাগলে পড়বে , ভালো না লাগলে এড়িয়ে যাবে কিন্তু লেখককে না লেখার পরামর্শ দেয়া বোকামী , নির্বুদ্ধিতা এবং অমানবিকতা । - এই ব্যাপারটা আমি যখনই বুঝতে পেরেছি তখন আত্ম-অনুশোচনায় ভুগেছি , এবং তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেইসব লেখক-শিল্পীর কাছে ক্ষমা চাইবো - যাদের একস...